মেরেকেটে আর একশো মিটার। তার পরেই সেই বরফ সৌধ, ধৌলাগিরি। ঝড়টা উঠেছিল ঠিক তখনই।
হাতের আড়াল, হাঁটু মুড়ে বসে পড়া, কোনও প্রতিরোধই ঠেকাতে পারেনি ক্রমশ তীব্র হয়ে ওঠা সেই তুষার ঝড়। অসহায় চোখেই দেখতে হয়েছে, অন্য একটি দলের দুই অভিযাত্রী ঝরা পাতার মতো পড়ে যাচ্ছেন বহু নীচে, অগাধ বরফের সাম্রাজ্যে। তার পর এক সময় তিনি নিজেও গড়িয়ে পড়ে গিয়েছেন। কত দিন যে সেই খোলা আকাশের নীচে পড়েছিলেন, এখন আর মনেও নেই।
শনিবার কাঠমান্ডু হাসপাতালের শয্যায় মোবাইল কানে তিনি শুধু বলেছেন, “বড় ক্লান্ত লাগছে রে!”
এ দিনই বেস ক্যাম্প থেকে এভারেস্টজয়ী পর্বাতারোহী বসন্ত সিংহ রায়কে নামিয়ে আনা হয়েছে কাঠমান্ডু শহরে। সেখানেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
সমতলের সমস্ত জল্পনা থামিয়ে নিজেই মোবাইলে কথা বলেছেন, তাঁর পর্বতারোহণ ক্লাব ম্যাক-এর সভাপতি প্রমথেশ দাশ মহাপাত্র ও ছেলে রমিতের সঙ্গে। তবে বেশি ক্ষণ কথা বলতে পারেননি। বার বারই বলেছেন, ‘বড্ড ক্লান্ত লাগছে।’ |
তবু তারই মধ্যে জানিয়েছেন, তাঁর আক্ষেপের কথা। তাঁর বারো ক্লা সের পড়ুয়া ছেলে রমিত বললেন, “বাবার সঙ্গে সামান্য কথা হয়েছে। তার মধ্যেই বাবার গলায় কী আক্ষেপ! মাত্র একশো মিটারের জন্য শৃঙ্গ ছোঁয়া হল না। বাবার পক্ষে এটা মেনে নেওয়া সত্যিই কঠিন।”
আর তুষার ঝড়ের অভিজ্ঞতা? রমিত বললেন, “বাবারা তখন সর্ব্বোচ্চ গন্তব্য থেকে মাত্র একশো মিটার নীচে। ধৌলাগিরি আরোহণটাও তখন প্রায় হাতের মুঠোয়। বাবাও নিশ্চিত ছিলেন। তখনই হঠাৎ বিরূপ হয়ে ওঠে প্রকৃতি। শুরু হয় প্রচণ্ড তুষার ঝড়। সেই ঝড়েই একটি অভিযাত্রী দলের দুই সদস্যকে নীচে পড়ে যেতে দেখেন বাবা। শেষ পর্যন্ত নেমে আসার সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। কিন্তু বেশি দূর নামতে পারেননি। ঝড়ের ঝাপটায় পড়ে যান বাবাও। বরফের মধ্যে খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকতে হয়েছিল।”
কত ক্ষণ? রমিত জানান, তা আর বলতে পারেননি বসন্তবাবু। সে সময়ে তাঁর জ্ঞান ছিল কিনা তা-ও স্পষ্ট নয়। তবে এ দিন কাঠমান্ডু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, বসন্তবাবুর শরীরে তেমন কোনও জটিলতা নেই। প্রমথেশবাবুর সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। বসন্তবাবু তাঁর কাছে জানতে চান, কোন হাসপাতালে ভর্তি হবেন। বসন্তবাবুর সঙ্গে বেশি কথা না হলেও, হাসপাতালে যে চিকিৎসকের অধীনে রয়েছেন তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে প্রমথেশবাবুর। প্রমথেশবাবু বলেন, “শরীর খুবই দুর্বল। ইসিজি হয়েছে। খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি।”
ম্যাক সূত্রে জানা গিয়েছে, বসন্তবাবুর সহ-যাত্রী দেবাশিস বিশ্বাসকেও বেস ক্যাম্পে নামিয়ে আনা হয়েছে। নেমে এসেছেন মলয় মুখোপাধ্যায়ও। তবে, কপ্টারে নয় হেঁটেই নীচে নেমেছেন তাঁরা।
|
মুর্শিদাবাদের মাধবপুর গ্রাম থেকে ১৩৭ কেজি গাঁজা-সহ এক তরুণী-সহ ৩ জনকে পুলিশ ধরে। আটক হয় একটি গাড়ি। ধৃত তরুণীর বাড়ি কোচবিহারে। পুলিশ জানায়, কোচবিহার থেকে ওই গাঁজা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মাধবপুর গ্রামে। |