বাঁকুড়া উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আঙুর চাষের একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল। তালড্যাংরায় ওই দফতরের খামারে বৃহস্পতিবার হওয়া কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ছাতনার বিধায়ক শুভাশিস বটব্যাল, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফল ও উদ্যান পরিচর্যা বিষয়ের অধ্যাপক সত্যনারায়ণ ঘোষ এবং জেলা প্রশাসনের কিছু আধিকারিক। |
তালড্যাংরায় উদ্যান পালন বিভাগের খামার। —নিজস্ব চিত্র। |
এই খামারে আঙুর চারা উপাদন ও গবেষণা কেন্দ্র গড়েছে উদ্যান পালন দফতর। খামারে প্রায় এক একর জায়গায় আঙুরের চাষ শুরু হয়েছে। চাষের তত্ত্বাবধানের মূল দায়িত্বে রয়েছেন সত্যনারায়ণবাবু। দফতর সূত্রে জানা গেল, গত মরসুমে এখানে আঙুরের ফলন এত ভাল হয়েছিল যে, জেলার নানা জায়গায় বিক্রিও হয়েছে। তবে, এ বছর তুলনামূলক ভাবে ফলন কম হয়েছে। এর জন্য আবহাওয়ার খমখেয়ালিপনাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত বছর জেলার ১০০ জন চাষি এখান থেকে আঙুরের চারা কিনে নিয়ে গিয়ে আঙুর চাষ শুরু করেছেন। অন্যান্য জেলা থেকেও আঙুরের চারা কেনার জন্য তালড্যাংরার এই খামারে আসছেন অনেকে। এ দিন খামারের আঙুর বাগানে গিয়ে দেখা গেল পূষা, উর্বশী, অর্কা, নীলামনির মতো উন্নত জাতের আঙুর ফলেছে বাগানে। সত্যনারায়ণবাবু বলেন, “বাঁকুড়ায় আঙুর চাষের সম্ভাবনা প্রচুর। এখানের আঙুর মহারাষ্ট্রের আঙুরের থেকেও মিষ্টি।” তিনি জানান, আঙুর চাষকে আরও বড় আকার দিতে জেলা প্রশাসন বিশেষ পদক্ষেপ করছে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের আওতায় আঙুর বাগানের পরিচর্যার কাজটি নিয়ে আসার চিন্তাভাবনাও চলছে। |