এক দিনের জন্য হলেও ঘরে ফিরলেন তাঁরা। ছৌ নাচের মাধ্যমে উপস্থাপন করলেন পরশুরামের গুরুদর্শন পালা। উপস্থাপনের মঞ্চ, পুরুলিয়া তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মাঠে রাজ্য সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির মেলা। তাঁরা বলতে মেদিনীপুর সংশোধনাগারে থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা। তাঁদের মধ্যেও যে শিল্পীসত্ত্বা আছে তারই প্রমান দিলেন পুরুলিয়ার বাসিন্দা ওই ১৭ জন বন্দি। সম্প্রতি হওয়া এই অনুষ্ঠানে পরশুরামের ভূমিকায় নেচেছেন রঞ্জিত মাহাতো। তিনি বলেন, “এখানে অনুষ্ঠান করে আনন্দ পেয়েছি।” |
এই নৃত্যদলের প্রশিক্ষক অবিনাশ মাঝি বলেন, “আসলে পুরুলিয়ার মানুষের রক্তে ছৌনাচ রয়েছে। একটু অভ্যাস করাতেই ছন্দ পেয়ে গিয়েছেন শিল্পীরা। তারপরে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষও খুব সাহায্য করেছেন।” পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারের সুপার মধুসূদন সরকার বললেন, “এখানে যে সমস্ত শিল্পীরা ছৌনৃত্যে যে পালাটি উপস্থাপন করলেন তাঁরা সকলেই এই জেলার। এঁদের মধ্যেও শিল্পীসত্ত্বা রয়েছে, তারই প্রমান দিয়েছেন।” স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি প্রকল্প দফতরের শান্তিরাম মাহাতোর কথায়, “এঁদের মধ্যেও তো শিল্পীসত্ত্বা রয়েছে। এই ব্যাপারটা জাগিয়ে তোলা, তাঁদের সংস্কৃতি অভিমুখী করাই আমাদের লক্ষ্য।” |