আজ সকালে পঞ্চায়েত ভোটের দিন ক্ষণ নিয়ে আলোচনা করতে মহাকরণে প্রশানিক বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ও পঞ্চায়েত সচিব সৌরভ কুমার দাস। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় ও এডিজি আইন শৃঙ্খলা বাণীব্রত বসু।
এই বৈঠকে ভোট প্রক্রিয়ার দু’ টি সম্ভাব্য সূচি তৈরি করেছে রাজ্য সরকার—
•
প্রথম প্রস্তাব অনুযায়ী তিন দফায় ভোট করা হবে ২৪, ২৮ জুন ও ২ জুলাই , গণনা হবে ৪ জুলাই।
•
দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুযায়ী তিন দফায় ভোট করা হবে ২৬, ৩০, ও ৩ জুলাই, গণনা হবে ৬ জুলাই।
বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে ৫ জুলাই। তার আগেই পুরো ভোট প্রক্রিয়াটাকে শেষ করে ফেলতে চাইছে রাজ্য। মহাকরণ সূত্রে খবর রাজ্যের প্রস্তাবিত সূচি নিয়ে আজ দুপুরে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। কিন্তু ভোটের দিন ক্ষণ নিয়ে মতপার্থক্যের জেরে বৈঠকে মেলেনি কোন জট কাটার ইঙ্গিত। আগামী কাল সব রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
|
আজ মুম্বইয়ের বিশেষ টাডা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সঞ্জয় দত্ত। কোনও রকম ঝুঁকি এড়াতে তাঁর বাড়ি, আদালত চত্বর ও জেলকে চূড়ান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়। মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রথমে তাঁকে বাড়ি থেকে এসকোর্ট করে আর্থার রোড জেলে নিয়ে যাওয়া হবে। ওখানে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়ে গেলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে। তাঁর এই জেল যাত্রায় তাঁর সঙ্গে যান স্ত্রী মান্যতা, বোন প্রিয়া, পরিচালক মহেশ ভট্ট-সহ আরও অনেকে। ধুমপানের, বাড়ির খাবার ও ওষুধ খাওয়ার অনুমতি চান সঞ্জয়। তাঁকে একমাসের জন্য বাড়ির খাবার ও ওষুধ খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও ধুমপানের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা তা এক সপ্তাহ পর জানানো হবে।
|
আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং, গ্রেফতার শ্রীসন্থ |
আবারও ম্যাচ গড়াপেটার ছায়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এ বার প্রেক্ষাপট বহুল চর্চিত ২০১৩ আইপিএল। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল ক্রিকেটার এস শ্রীসান্থ। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের আরও ২ ক্রিকেটার, অঙ্কিত চহ্বন ও অজিত চাণ্ডিলাকে। সেই সঙ্গে দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সাত জন বুকিকেও। আরও ২ বুকির খোঁজে তল্লাসি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। |
গত সাত দিন ধরে গুরগাঁওয়ের ২ বুকির ফোনে আড়ি পেতেই এই স্পট ফিক্সিংয়ের হদিশ পায় দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। এই স্পট ফিক্সিংয়ের জাল বহুধা বিস্তৃত বলেই আগাগোড়াই পুরো অপরেশনটিকেই গোপন রাখা হয়। এমনকি গতকাল মুম্বই ম্যাচের পর যখন তাঁদের ট্রাইডেন্ট হোটেল থেকে ধরা হয়, তখন মুম্বই পুলিশকেও কিছু জানানো হয়নি। শ্রীসন্থকে মুম্বইয়ে তাঁর বন্ধুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত মোহালি ও মুম্বই ম্যাচে ফিক্সিং করার জন্য ওই তিন ক্রিকেটারকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ও ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১২০বি ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে তাঁদেরকে পেশ করা হবে আদালতে। প্রসঙ্গত ২০১২ সালে একটি বেসরকারি চ্যানেলের স্টিং অপরেশনের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন চার আইপিএল ক্রিকেটারকে। গত বছর আইপিএলে মাদক কাণ্ডের জেরে ধরা পড়েন আরও ২ ক্রিকেটার। ২০১৩ পেপসি আইপিএলেও অন্তত ১২ ম্যাচ ফিক্সিং হয়েছে বলেই সন্দেহ করছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশের নজরে আছেন একাধিক ক্রিকেটার। তাঁদেরকেও যে কোনও সময় গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার নীরজ কুমার। এই ঘটনায় আন্ডার ওয়ার্ল্ডেরও যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে তদন্তে সব রকম সাহায্য করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস কর্তৃপক্ষ। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ওই তিন ক্রিকেটারকে আইপিএল থেকে নির্বাসন দিল বিসিসিআই।
এই ঘটনায় তিনি অত্যন্ত দুঃখিত এবং দোষ প্রমাণ হলে উপযুক্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসন। |