সুষ্ঠু ভাবে যান নিয়ন্ত্রণ এবং যানজট সমস্যা মোকাবিলার জন্য শনিবার থেকে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হয়েছে অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকায়। এত দিন শুধুমাত্র পুর এলাকার শেরপুর কালীবাড়ি মোড়, চৌরঙ্গি মোড় এবং কল্যাণগড় মোড়ে ওই সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু ছিল। পুরসভার উদ্যোগে এ বার তা ছড়িয়ে দেওয়া হল বিল্ডিং মোড় এলাকা ও বনবনিয়ার মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে। ওই ব্যবস্থা দেখভালের দায়িত্বে থাকছেন পুরসভার কর্মীরাই।
শনিবার স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সোমবার পুর এলাকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেল, আগের চেয়ে যানজট কম। দু’দিনে কোনও দুর্ঘটনাও ঘটেনি। তবে, অনেক যান-চালককেই দেখা গেল নতুন ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন হননি। তাঁরা নিজেদের ইচ্ছামতো গাড়ি চালাচ্ছেন। মানছেন না সিগন্যাল। |
পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের সমীর দত্ত বলেন, “স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে পুর এলাকায় যানজট কমবে। দুর্ঘটনাও এড়ানো যাবে। ওই ব্যবস্থা চালু করতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। এ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে পুরসভার তরফে প্রচার চালানো হবে। সিগন্যাল ব্যবস্থায় রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজানোর পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।”
সাধারণ মানুষ অবশ্য মনে করছেন, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হলেও গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা না হলে যানজট পুরোপুরি কাটবে না। কেননা, অনেকে সিগন্যাল না-ও মানতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ থাকবে না। তবে, অশোকনগর থানার সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনই সব মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করার মতো পরিকাঠামো তাদের নেই।
স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থার উদ্বোধন করা ছাড়াও শনিবার শহরের ছ’টি জায়গায় ‘টাওয়ার লাইট’-এরও উদ্বোধন করেন বারাসতের সাংসদ। গোলবাজার এলাকায় সাংসদ তহবিল এবং পুরসভার টাকায় তৈরি একটি ফোয়ারাও চালু করা হয়। সে দিন ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার প্রস্তাবিত সুইমিং পুলেরও শিলান্যাস করেন সাংসদ। |