স্কুল ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বোমা-গুলির লড়াই বাধল সিপিএম এবং তৃণমূলের। সোমবার বিকেলে হাড়োয়ার আটপুকুর গ্রামে এই ঘটনায় জখম হয়েছেন দু’পক্ষের ১৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই তৃণমূলের। ওই দলের আরও তিন জনের খোঁজ মিলছে না বলে অভিযোগ। দুই তৃণমূল কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পাঠানো হয়েছে আরজি কর হাসপাতালে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে হাড়োয়ায়। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে।” |
ঘটনার জেরে সরগরম উত্তর ২৪ পরগনা জেলা রাজনীতি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিপিএম নেতা ভরত দাসের (ওই গ্রামেরই বাসিন্দা) নেতৃত্বে সিপিএমের লোকজন হামলা চালিয়েছে। জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথায়, “ক্ষমতায় থেকেও আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। সভাধিপতির নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে।”
সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেবের বক্তব্য, “জেলা সভাধিপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তারপরে একটা গণ্ডগোল হয়েছে। তবে ঘটনা বিস্তারিত না জেনে কিছু বলা সম্ভব নয়।” দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়। ভরতবাবু বলেন, “তৃণমূল সমর্থকেরা আমাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেয়। আমাদের এক কর্মীকে মারধর করা হয়। এরপরে গ্রামের মানুষ মিছিল করে স্কুলে যায়। আমাদের কর্মীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে আসার পরে হামলা করে তৃণমূল।”
আটপুকুর গ্রামের করঞ্জতলা সুহাসিনী বিদ্যাপীঠের স্কুলের পরিচালন সমিতি দীর্ঘ দিন বামেদের দখলে। সোমবার ছিল আসন্ন স্কুলভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তৃণমূল সমর্থকেরা বেলা ৩টে নাগাদ মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। বিকেল ৪টের সময় আসেন সিপিএম সমর্থকেরা। উত্তেজনার আশঙ্কায় পুলিশ আগে থেকেই হাজির ছিল। কিন্তু মারমুখী দু’পক্ষকে সামলাতে পারেনি তারা। পুলিশের সামনেই লাঠিসোঁটা নিয়ে মারামারি বেধে যায়। বোমা পড়ে। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে। |