|
|
|
|
বিএড কলেজে গণ্ডগোল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বিএড কলেজের এক ছাত্রকে মারধর করে শিক্ষকরা থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন। প্রতিবাদে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেন পড়ুয়ারা। সোমবার সকাল থেকে হলদিয়ার সুতাহাটায় ‘ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন’ নামে ওই কলেজের গেটের বাইরে বিক্ষোভে বসেন পড়ুয়ারা। পরে অবশ্য কলেজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংগঠন ‘আই কেয়ারে’র মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক অঞ্জন সেন অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
রবিবার ছিল কলেজের প্রাক্তনী পুনর্মিলন উৎসব। পুরো অনুষ্ঠানটির আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকেন এক জন শিক্ষক। এ বারেও অনুষ্ঠানের মাঝেই পরের বছরের জন্য আহ্বায়ক নির্বাচনে নাম ছিল বাংলার শিক্ষক অশোক বেরা ও ইংরেজির ভবেশ প্রামাণিকের। পরে ভবেশবাবুকে আহ্বায়ক হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়। সেই রাতেই দুর্ব্যবহারের অভিযোগে ধীরেন ঘোষ নামে এক মদ্যপ পড়ুয়াকে অশোক বেরা ও তাঁর এক সহকর্মী মারধর করে থানায় নিয়ে গেলে পড়ুয়ারা ক্ষেপে ওঠেন। ধীরেন ঘোষের বক্তব্য, “আমি মদ্যপ থাকলেও দুর্ব্যবহার করিনি। আসলে আমি আহ্বায়ক নির্বাচনে পড়ুয়াদের মত নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এর ফলে ধীরেনবাবু মনোনীত হওয়ায় আমার উপর প্রতিশোধ নিয়েছেন অশোকবাবু।” অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কলেজের সম্পাদক মদনমোহন মাইতি অবশ্য বলেন, “ছাত্রদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই ছেলেটি মদ্যপ অবস্থায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। আমরা তাই ওঁকে থানায় নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমিই ফিরিয়ে নিয়ে এসেছি।”
শিক্ষকের জামিন। ক্লাসে চার ছাত্রকে বেত দিয়ে মারধরে অভিযুক্ত মারিশদা থানার মুড়িসাই বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের পার্শ্বশিক্ষক মিহিরশঙ্কর মান্না জামিন পেলেন। বুধবার মারিশদা থানার পুলিশ মিহিরবাবুকে কাঁথি আদালতে হাজির করলে বিচারক ৫০০ টাকার জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। |
|
|
|
|
|