পঞ্চায়েত মামলার রায়ে অস্বস্তিতে সরকার |
আজ পঞ্চায়েত মামলার রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বৈরথে অবশেষে ‘জয়’ হল নির্বাচন কমিশনেরই। কমিশনের প্রায় সবকটি দাবিকেই মান্যতা দিল হাইকোর্ট । মূলত চারটি বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের এই মতবিরোধ চলছিল। প্রথমত, নির্বাচন কমিশনের দাবি মত ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটের বিপক্ষে ছিলেন রাজ্য সরকার। রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীই নিরাপত্তার দিক দিয়ে সক্ষম বলে দাবি ছিল রাজ্যের। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন ৩ দফায় ভোটে অনড় থাকলেও রাজ্যের দাবি ছিল ২ দফায় নির্বাচন। তৃতীয়ত, দফাওয়াড়ি জেলা বিন্যাস নিয়েও মতবিরোধ ছিল কমিশন ও সরকারের। চতুর্থত, পর্যবেক্ষক ও নির্বাচনের খরচ নিয়ে মতভেদ। আজ হাইকোর্টের রায়ে নির্বাচন কমিশনের দাবি মত কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই সমর্থন করেন বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার। জুন মাসেই সম্ভাব্য ভোটের দিন স্থির করার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এই রায়ে স্বভাবতই খুশি নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে ‘অবান্তর’ আখ্যা দিয়ে সোমবারের মধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।
|
স্বস্তি পেলেন না ‘মুন্নাভাই’। তাঁর সাজা পুনর্বিবেচনার আর্জি আজ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণকাণ্ডে বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখা ও সাক্ষ্য লোপাটের দায়ে সঞ্জয় দত্তকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যেই দেড় বছর তাঁর জেল খাটা হয়ে গিয়েছে। গত ২১ মার্চ তাঁকে সাড়ে তিন বছরের সাজা শোনায় শীর্ষ আদালত। সাজা ঘোষণার পরে ২৮ মার্চ সঞ্জয় দত্তের হয়ে ক্ষমাভিক্ষার আর্জি রাজ্যপালের কাছে জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু। গত ১৭ এপ্রিল সঞ্জয় দত্তের আত্মসমর্পনের সময়সীমা আরও চার সপ্তাহ বাড়িয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরে সাজা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদনপত্র জমা দেন তিনি। আজ সেই মামলার শুনানিতে এই আর্জি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। সঞ্জয়ের বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই এই যুক্তি দেখিয়ে আগামী ১৬ মে-র মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
|
সারদা কাণ্ডে আজ বিবৃতি দেবেন দেবযানী |
অবশেষে সারদা কাণ্ডে মুখ খুলতে চলেছেন ‘ম্যাডাম’ । তাঁর আইনজীবীরা জানান বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে লিখিত বিবৃতি দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন তিনি। অন্যদিকে গতকালই বিধাননগর আদালত থেকে বেরোবার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তদন্ত শেষে সবকিছু জানাবার কথা বলেছিলেন গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। তবে দেবযানীর এই বিবৃতিকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। বাস্তবিকই তিনি সত্য উদ্ঘাটন করবেন, নাকি প্রকৃতপক্ষে নিজেকে আড়াল করারই চেষ্টা করছেন তা নিয়ে যথেষ্টই ধোঁয়াশা রয়েছে। আজও নিউটাউন থানায় দফায় দফায় জেরা করা হবে সুদীপ্ত-দেবযানী ও অরবিন্দ চৌহানকে। অন্যদিকে কলকাতা-সহ আরও কয়েকটি জায়গায় আজ তল্লাশি চালানো হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বিধাননগরের এইচ এ ব্লকে সুদীপ্ত সেনের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
অন্যদিকে আজ ভোররাতেই দুর্গাপুর থেকে সারদা শাখার অপর এক আধিকারিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। নবদ্বীপ শাখার ডেভেলপমেন্ট অফিসার মানস ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে প্রচুর নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আজ দুপুরেই তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
গতকাল গভীর রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় সারদার এক ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অফিসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৩৫টি মোটরবাইক-সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি। রাজু সিংহ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই মূল অফিসঘরটি ভাড়া নেওয়া হয়। বিগত ৬ মাস ধরে ‘মা সারদা প্যালেস’ নামে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই অফিসটি বন্ধ ছিল বলে জানান রাজুবাবু।
|