চিটফান্ড সংস্থার মালিক ও কর্মী আত্মঘাতী দুই জেলায় |
বাড়ির ছাদে ঝুলন্ত অবস্থায় এক চিটফান্ড কোম্পানির মালিকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম জয়ন্ত সরকার। তাঁর বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি ‘হ্যালো ইন্ডিয়া’ নামে একটি একটি সংস্থা চালাতেন। সংস্থার হেড অফিস রয়েছে কলকাতার মানিকতলায়। জয়ন্তবাবুর একটি পোশাক তৈরিরও কারখানা ছিল। কিন্তু সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে পরিবারসূত্রে খবর। জয়ন্তবাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন, গত রাতে বিপ্লব, আব্দুল ও অরিজিত্ নামে তিন ব্যক্তি জয়ন্তবাবুর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রায় মধ্য রাত পর্যন্ত তাঁদের আলোচনা হয়। তার পর ওই তিন ব্যক্তি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আজ সকালে বাড়ির লোকেরা জয়ন্তবাবুর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, আমানতকারীরা বেশ কয়েক দিন ধরে টাকা ফেরত্ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেও আত্মঘাতী হওয়ার মানুষ তিনি নন। খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।
অন্য দিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে অফিস ঘর থেকে উদ্ধার হল এক চিটফান্ড কর্মীর দেহ। তাঁর নাম সঞ্জয় সরকার। তিনি এসএমসি নামে একটি চিটফান্ড সংস্থায় কাজ করতেন। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
|
ক্যানিং শাখায় রেল অবরোধ ছাত্রদের |
আজ সকালে শিয়ালদহের ক্যানিং শাখায় বিদ্যাধরপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করলেন ছাত্র ও অভিভাবকরা। ১২ বগির ট্রেন চালানোর দাবিতে এই অবরোধ বলে জানা গিয়েছে। ফলে, ওই স্টেশনে আটকে শিয়ালদহ-ক্যানিং লোকাল। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ট্রেন আটকে থাকার ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার নিত্য যাত্রীরা। ছাত্র ও অভিভাবকদের অভিযোগ, ১২ বগির ট্রেন না চালালে নিত্য দিন অসুবিধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। তার উপর যাত্রীদের ভিড়ের চাপ! সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যাতায়াত করতে হয় তাঁদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেল পুলিশ।
|
আত্মঘাতী চিটফান্ড এজেন্টের বাবা |
আত্মঘাতী হলেন ভুঁইফোড় অর্থলগ্নি সংস্থার এক এজেন্টের বাবা। মৃতের নাম জগদীশ রায়। ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুরের নাটাগড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জগদীশবাবুর ছেলে অ্যানেক্স-এর এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন। রাজ্য জুড়ে চিটফান্ড নিয়ে তোলপাড়ের জেরে গতকাল বেশ কিছু আমানতকারী জগদীশবাবুর বাড়িতে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বেশ কয়েক দিন ধরেই আমানতকারীরা বাড়িতে আসছিলেন। এই ধরনের নিত্য ঝামেলা সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলেও অনেকে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে। |