রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সর্বজিতের |
দীর্ঘ ২৪ বছরের বন্দিজীবনের পর আজ অন্তিম শয্যায় সর্বজিত্ সিংহ। পঞ্জাবের ভিখিউইন্দ গ্রামে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। গতকাল বিকেলে সর্বজিতের দেহ বিশেষ বিমানে অমৃতসরে নিয়ে আসা হয়েছিল। অমৃতসর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে সর্বজিত্-এর নিজের গ্রাম ভিখিউইন্দ থেকেই তাঁর অন্তিম যাত্রা শুরু হয়। গ্রামের স্কুলে সর্বজিত্-এর মৃতদেহ রাখা হয়। সেখানে তাঁকে সম্মান জানান হাজার হাজার গ্রামবাসী। |
সর্বজিত্-এর শেষকৃত্য। ছবি: এএফপি |
নিরাপত্তার জন্য পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন রাহুল গাঁধী ও বিদেশ প্রতিমন্ত্রী-সহ একাধিক নেতা ও মন্ত্রীরা। সর্বজিত্-এর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন পঞ্জাব সরকার। আজ থেকে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বজিত্-কে জাতীয় শহীদের সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্জাব সরকার। আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থাকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও জানিয়েছে পঞ্জাব সরকার।
|
ভারতের জেলে পাক বন্দিকে মারধর |
জম্মুর কট ভালওয়াল জেলে এক পাকিস্তানি বন্দিকে মারধরের অভিযোগ উঠল একজন ভারতীয় বন্দির বিরুদ্ধে। রানা সানাউল্লাহ নামে ৬৫ বছর বয়সী ওই বন্দির উপর হামলা চালায় একজন প্রাক্তন ভারতীয় সেনা। গুরুতর আহত অবস্থায় সানাউল্লাহকে জম্মুর একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মস্তিষ্কের গভীর ক্ষতের কারণে এখন তিনি কোমায় আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরা। সানাউল্লাহ ভারতে ১৫ বছর ধরে বন্দি আছেন বলে জানা গিয়েছে। কট ভালওয়াল জেলে মোট বন্দির সংখ্যা ৬০০, এদের মধ্যে ৭০ জন পাক জঙ্গি। লাহৌরের কোট লাখপত জেলে পাক বন্দিদের দ্বারা আক্রান্ত সর্বজিতের মৃত্যুই এই হামলার কারণ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
|
আজ সকালে দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হল পাকিস্তানের সরকারি আইনজীবী জুলফিকার চৌধুরীর। তিনি পাকিস্তানের ২৬/১১ মামলার পাশাপাশি বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলারও আইনজীবী ছিলেন। আজ সকালে আদালতে যাওয়ার পথে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় বাইকআরোহী তাঁর ওপর হামলা চালায়। |
রাওয়ালপিন্ডির জঙ্গি দমন আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি জুলফিকার। ছবি: রয়টার্স |
জুলফিকারকে লক্ষ করে ১২টি গুলি ছোঁড়া হয় বলে খবর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরেও আরও ১৪-১৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে জুলফিকার ছাড়ও আরও দু’জনের। জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন। জুলফিকার পারভেজ মুশারফের কোনও মামলার শুনানিতে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাই সুপরিকল্পিতভাবেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
|