প্রবন্ধ...
একটি কাহিনি এবং একটি প্রস্তাব

মস্যাটি পুরনো, অথচ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে সাধারণ মানুষ কেমন যেন পরাঙ্মুখ। অবশ্য বলা হবে যে, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের শ্রেণিভুক্ত যাঁরা, তাঁরা লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির শিকার, কাজ পাচ্ছে না বহু পরিবারের ছেলেমেয়েরা, সংসার চালানো প্রায় সাধ্যের বাইরে, এই অবস্থায় অনেককেই লোভের শিকার হতে হয়; ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’ কথাটা, ধরেই নেওয়া হয়, নিছক কথার কথা। পশ্চিমবঙ্গে একটি বিশেষ ‘চিট ফান্ড’-এর কীর্তিকলাপ এখন সেই আস্তিক মানুষগুলোকে হতভম্ব করে তুলেছে।
ঠিক তেত্রিশ বছর আগে প্রথম বামফ্রন্ট সরকার এমন একটি অসাধু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবার পর এই ধরনের ব্যবসাগুলি কিছু দিনের জন্য গা-ঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরের প্রশাসনিক শৈথিল্য, কিংবা আরও গুরুতর কোনও প্রশাসনিক বিচ্যুতি, সেই পুরনো লোকঠকানোর ধান্দাবাজিকে ফিরে আসতে দিয়েছে, কিছু কুচক্রী বিবেকহীন অসাধু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করেছে অবাধ সাম্রাজ্যবিস্তারে। তিন দশক আগে প্রথম বামফ্রন্ট সরকার জনগণকে আপ্রাণ বোঝাতে চেষ্টা করেছিল যে, দেশে এমন কোনও শিল্প বা ব্যবসা থাকতে পারে না, যাতে বিনিয়োগ করে ষাট-সত্তর-আশি-একশো শতাংশ মুনাফা হতে পারে। সঞ্চয়িতা নামক প্রতিষ্ঠানটি যখন লোককে ধোঁকা দিয়ে পয়সা লুটতে শুরু করে, তখন থেকে সরকার তত্‌পর হয়ে ওঠে। বেশ কয়েক সপ্তাহ কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে জনগণের কাছে আবেদন জানানো হয়: জেনেশুনে বিষ পান করবেন না। সরকারি টেলিভিশনেও সেই সতর্কবাণী দিনের পর দিন প্রচারিত হয়। কিন্তু তাতেও কোনও ফল না মেলায় প্রতিষ্ঠানটির সাহস আরও বেড়ে যায়। এই অবস্থায় বামফ্রন্ট মনস্থির করে: সতর্ক করা সত্ত্বেও যাঁরা এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন বা এর সঙ্গে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, তাঁদের কিছু ক্ষতি হবে, কিন্তু সমাজের সার্বিক স্বার্থের কথা ভেবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে উত্‌খাত না করে উপায় নেই।
এখানেই সমস্যা দেখা দিল। এ ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপরে কর্তালি করার একচ্ছত্র অধিকার কেন্দ্রীয় সরকারের, রাজ্যগুলির কোনও এক্তিয়ার নেই। তা ছাড়া গত সত্তর-আশি বছর ধরে দক্ষিণ ভারতের প্রায় সর্বত্র বহু চিটফান্ড সত্‌ভাবে কাজ করে যাচ্ছিল, সেটাও বিবেচনার মধ্যে রাখতে হত। দক্ষিণের রাজ্যগুলির প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে ব্যাঙ্কের শাখা তো নেই-ই, এমনকী ডাকঘরও অনেক দূরে, সে সব জায়গায় নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত কৃষিজীবী-শ্রমজীবী-গৃহবধূ-বিধবা-ছোট-ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ভুক্তদের প্রতি মাসে একটু-আধটু সঞ্চয়ের উপযোগিতা সম্পর্কে সজাগ করার জন্য এই সব প্রতিষ্ঠান কাজ করছিল। যাঁরা বিনিয়োগ করছিলেন, তাঁরা স্বাভাবিক হারেই সুদ পাচ্ছিলেন, যার মাত্রা কখনও শতকরা দশ ভাগ ছাড়িয়ে যায়নি। সুতরাং, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় সরকার দেশ জুড়ে এই ধরনের ফান্ডগুলিকে নিষিদ্ধ করবে সেটা প্রত্যাশিত ছিল না।
হাহাকার। সারদার তহবিলে বিনিয়োগকারীদের প্রতিবাদ। শিলিগুড়ি, এপ্রিল ২০১৩। ছবি: পি টি আই
এই রাজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থার দরকার ছিল। বামফ্রন্ট সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে যত বার যত ভাবে আবেদন পেশ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার এড়িয়ে গেছে। অথচ এই লোকঠকানো সংস্থাগুলিকে না ঠেকালেই নয়। অতএব বাধ্য হয়ে প্রথম বামফ্রন্ট সরকার কিছু কিছু বিকল্পের প্রস্তাব বহু বার দিয়েছিল এই সব ফান্ডকে আইনি নিগড়ে বাঁধার জন্য। কিন্তু কেন্দ্র এ সব ক্ষেত্রে নিজের একচ্ছত্র অধিকার এতটুকু ক্ষুণ্ণ হতে দিতে রাজি ছিল না। বার বার সংশোধন আইনের খসড়া করে পাঠানো হয়েছে, তাগাদা দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে গড়িমসি করা তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে।
প্রথম বামফ্রন্ট সরকার তার মেয়াদের প্রথম দু-বছরের মধ্যেই বার বার এ রকম নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল। এ দিকে সঞ্চয়িতা সংস্থাটিও ফুলে-ফেঁপে ওঠার উপক্রম, অন্য সংস্থাগুলিও উত্‌সাহিত হচ্ছে। এর মধ্যেই তারা ভুল বুঝিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এ ধরনের ঠগবাজির প্রকরণ বিদেশেও বহু পুরনো। পনজি (Ponzi) প্রকল্প নামে এই কুখ্যাত পদ্ধতি মানুষের বিশ্বাসপ্রবণতার উপরে নির্ভর করে। সঞ্চয়িতার ব্যবস্থাপনাতেও প্রতি মাসে নতুন বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত টাকার একাংশ খামে পুরে পুরনো বিনিয়োগকারীদের হাতে জনে জনে তুলে দেওয়া হত, থাকত খুশি করার মতো সুদের টাকা। কিন্তু সংগৃহীত টাকার সিংহভাগ যেত মালিক আর তার সাঙ্গোপাঙ্গদের পকেটে।
এই জোচ্চুরি আর চলতে দেওয়া যায় না, এ রকম সিদ্ধান্তে আসার পর ফ্রন্ট সরকার ব্যবস্থাগ্রহণে উদ্যোগী হল। গোপনীয়তা বজায় রাখতেই হবে, কারণ সরষের মধ্যেই ভূত ছিল, প্রশাসন আর পুলিশের মধ্যে দালালের অভাব নেই। একমাত্র অর্থমন্ত্রী ও অর্থসচিব নিজেদের মধ্যে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত কর্মপন্থা স্থির করে নিলেন। অর্থ দফতরের অধীনে বিক্রয়কর যথাযথ আদায়ের লক্ষ্যে একটি ছোট পুলিশবাহিনী ছিল। সেটিকেই কাজে লাগানো হল, সাধারণ পুলিশের কাউকে কিছু জানানো হল না। সঞ্চয়িতার বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করার কিছু কিছু অভিযোগ দায়ের করে সংস্থাটির একটি-দুটি প্রধান দফতরে হানা দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রের মতো কাজ হল। সঞ্চয়িতার প্রতিটি দফতরে পর দিন থেকে আমানতকারীদের ভিড় জমে গেল, প্রত্যেকেই দাবি করছেন যে, অবিলম্বে বিনিয়োগের টাকা ফেরত চাই। মূল প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেল। যাঁরা সরকারি সতর্কবাণী সত্ত্বেও লোভের বশে টাকা ঢেলেছিলেন, তাঁদের বড় একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। কিন্তু সরকারের তত্‌পরতায় রিসিভার বসিয়ে টাকার একাংশ উদ্ধার করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া গেল। তা সত্ত্বেও জনসাধারণের চার-পাঁচ হাজার কোটি টাকা তছরুপ হল। কিন্তু তখন যদি রাজ্য সরকার এমন কড়া ব্যবস্থা না নিত, তা হলে হয়তো আরও কয়েক বছরে এই সংস্থাটি লোক ঠকিয়ে লক্ষ কোটি টাকা উপার্জন করত, যে-টাকা সাধারণ মানুষের ফেরত পাবার বিন্দুমাত্র আশা থাকত না। সঞ্চয়িতার পরেও এমন ঘটনা ঘটে এবং বামফ্রন্ট সরকার তার একটি-দুটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
হালে যেটা ঘটেছে সেটা মারাত্মক। যা গুজব শোনা যাচ্ছে, সারদা নামক যে গোষ্ঠীটি সম্প্রতি পাখা মেলেছে, জনসাধারণকে বঞ্চিত করে তার সংগ্রহ নাকি ইতিমধ্যেই পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে। এই পুরো টাকাটা সংস্থার মালিক একাই ভোগ করেছে, না কি তার আশেপাশে কিছু সহযোগী মহাপাপী আছে, এই মুহূর্তে সেটা একটা মস্ত প্রশ্ন। লক্ষ করার বিষয় হল যে, বর্তমান রাজ্য সরকার এ বিষয়ে কুটোটি নাড়েনি, প্রতিষ্ঠানটিকে যথেচ্ছ ফুলে-ফেঁপে উঠতে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের কেষ্টবিষ্টুরা এদের অনুষ্ঠানে মঞ্চ আলো করে বসে থেকেছেন, টিভি ক্যামেরার সামনে হাসিমুখে মালিকের সঙ্গে গলাগলি করেছেন। বামফ্রন্টের আমলে তদন্ত করে এপক্ষ-ওপক্ষ কোনও পক্ষেরই কোনও রাজনীতিকের নাম পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে কিছু ব্যক্তির নাকি সঞ্চয়িতার সঙ্গে মাখামাখি ছিল, তাদের কোনও কোনও আপনজন নাকি নাম ভাঁড়িয়ে সঞ্চয়িতার জন্য ঘৃণ্যভাবে অর্থ সংগ্রহ করত। শোনা যায়, প্রধানত এই সন্দেহের বশেই তত্‌কালীন অর্থ মন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার সময় পুলিশ প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেছিলেন। কিন্তু এই সারদা প্রতিষ্ঠানের বেলায় গোটা জিনিসটা আরও ভয়ঙ্কর। কারণ, রাজ্যের শাসক দলের আগাপাশতলা এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সারদার মালিকের সঙ্গে এই দলের নেতা-চাঁইদের মাখামাখি সুবিদিত; তার বহু সাক্ষ্যপ্রমাণ খবরকাগজের বিবরণে এবং টিভির চিত্রমালায় চিরকালের জন্য ধরা থাকবে।
রাজ্য সরকার সমস্ত ব্যাপারটা খতিয়ে দেখার জন্য কমিশন গঠন করেছে। অভিজ্ঞতা বলে যে, কমিশনের কাজ হবে ঢিলেঢালা, ঢিমেতালে। যে-কোনও বিশদ অনুষ্ঠানের জন্য কমিশনকে নির্ভর করতে হবে রাজ্য পুলিশের ওপর; আমাদের গত দু’বছরের অভিজ্ঞতা এ সন্দেহ দৃঢ়বদ্ধ করবে যে, পুলিশ এই রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কেনা গোলাম, আর একটা অংশের অসাধুতা ও অকর্মণ্যতারও তুলনা নেই। রাজ্যের শাসক দলের কারও বিরুদ্ধে সামান্যতম অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করার সাহস থেকে তারা বিচ্যুত। সুতরাং, কমিশনের লীলাখেলাও শেষ পর্যন্ত প্রহসনে পরিণত হবার যথেষ্ট আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
একটি বিকল্প প্রস্তাব আমরা পেশ করছি। সারদা গোষ্ঠী আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে তাদের শাখাপ্রশাখা ছড়িয়েছে। সুতরাং চতুর্দিকে যাঁরা সর্বস্বান্ত হলেন, তাঁদের পক্ষ থেকে স্বচ্ছন্দে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো সম্ভব। এত বড় কেলেঙ্কারি ঘটেছে যে, এমনকী সুপ্রিম কোর্টের নিজে থেকেই ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার উদ্যোগ আদৌ অযৌক্তিক নয়। এটাও যোগ করা যায় যে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগে যেমন হয়েছে, সারদা গোষ্ঠীর ব্যাপারেও তেমনই সুপ্রিম কোর্ট নিজেই একটি অন্বেষক গোষ্ঠী তৈরি করতে পারেন। এই গোষ্ঠী কেবলমাত্র সুপ্রিম কোর্টের আজ্ঞাধীন হবে, অন্য কারও আওতায় থাকবে না। এই বিশেষ সতর্কতার একান্ত প্রয়োজন। আগামী বছর লোকসভার নির্বাচনে সংখ্যাধিক্য পেতে হলে বড় দলগুলিকে ছোট ছোট আঞ্চলিক দলের উপর নির্ভর না করে উপায় নেই, কাজেই কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার এ রাজ্যের শাসক দলকে চটাবার সাহস পাবে না। সি বি আই তো কেন্দ্রের আজ্ঞাবহ দাস। কাজেই সুপ্রিম কোর্টের উচিত হবে নিজের আস্থাভাজন দক্ষ পুলিশবাহিনী দিয়ে সারদা গোষ্ঠীর ব্যাপারে অনুসন্ধান চালানো।
যারা গরিব সাধারণ মানুষকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঠকিয়ে নিজেদের বিত্তবান করেছে এবং করছে, তাদের কোনও ক্ষমা নেই। তারা যে-ভেক ধরেই থাকুক না কেন, তাদের প্রতি নির্মম হওয়াই সামাজিক কর্তব্য ও দায়িত্ব। এই বিরাট পাপ-ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত প্রধান আসামি তার কয়েক জন শাগরেদের সঙ্গে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। নিজের অপরাধ যথাসম্ভব লঘু করার তাগিদে সে হয়তো তার পাপচক্রের সঙ্গে প্রধানত আর যারা-যারা যুক্ত, তাদের নাম উল্লেখ করতে তত্‌পর হবে; এই তালিকায় রাজ্যের শাসক দলের বেশ কয়েক জন চাঁইয়ের নাম না থাকাটাই হবে আশ্চর্যের ব্যাপার। মূল অপরাধীটিকে তাই রাজ্য পুলিশের জিম্মায় রাখা আদৌ উচিত নয়। যত দিন সে রাজ্য পুলিশের আওতায় আটকা থাকবে, তাকে স্তব্ধ করবার জন্য নানা রকম ছলচাতুরির আশ্রয় নেওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি, এমনকী প্রতিটি মুহূর্তে তার জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে অবিলম্বে আবেদন পেশ করা উচিত, যাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত তার নিরাপত্তার দায়িত্ব সুনিশ্চিত করতে বিকল্প ব্যবস্থার নির্দেশ অনুগ্রহ করে অতি দ্রুত ঘোষণা করেন। প্রধান প্রধান অপরাধীদের মধ্যে কেউই যাতে আইনকে ফাঁকি না দিতে পারে, তার জন্যই এই বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.