কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসাবে নিজের শেষ বাজেটে কান্দি মহকুমায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদ-সহ সংলগ্ন জেলাগুলির বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ৪৩৯ কোটি টাকাও মঞ্জুর করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে এক বছর। দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত একটি টাকাও বরাদ্দ হওয়া তো দূর ওই প্রকল্পটির এখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্রও মেলেনি বলে আজ স্বীকার করে নিয়েছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। প্রকল্পটির ওই অগ্রগতি দেখে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রকল্পের কাজ আদৌ শুরু হবে কি না, তা নিয়ে এখন সংশয়ে সাংসদ অধীর চৌধুরী।
গত বাজেটে প্রণববাবু কান্দি মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৪৩৯ কোটি বরাদ্দ করেছিলেন। পরিকল্পনা ছিল ওই অর্থে ময়ূরাক্ষী, বেলে, ব্রাহ্মণী, দ্বারকার মতো নদীগুলিতে নাব্যতা বাড়ানো ও বন্যার জল ধরে রেখে সামগ্রিক ভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ হবে। এর ফলে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির ৮টি ব্লক ছাড়াও বীরভূমের মুরারই এলাকা উপকৃত হত। কিন্তু গত এক বছরে ওই প্রকল্পে একটি টাকাও বরাদ্দ না হওয়ায় আজ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় জলম্পদমন্ত্রকের সচিব এস কে সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। বৈঠকে জলসম্পদ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই প্রকল্পটি এখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়নি। ফলে অর্থমন্ত্রক টাকা বরাদ্দ করতে পারছে না। বিষয়টি জানার পরেই আজই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠক করেন অধীর। চিদম্বরম তাঁকে জানান, এ বিষয়ে ক্যাবিনেট নোট তৈরি হচ্ছে। তারপরেই মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে। কিন্তু সেই ছাড়পত্র শেষ পর্যন্ত কবে পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও আশ্বাস দিতে পারেনি অর্থ ও জলসম্পদমন্ত্রক। ফলে গত আর্থিক বছরের টাকা পাওয়া তো দূর, চলতি আর্থিক বছরেও ওই প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। অধীরের কথায়, “গত আর্থিক বছরের টাকা পাওয়ার আশা নেই। এখন কত তাড়াতাড়ি প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়, সেটাই দেখার। তা না হলে এ বছরেও কাজ শুরু করা সম্ভব হবে না।” |