স্কুলে ভর্তির আগে থেকেই কম্পিউটারের মাউসে সচ্ছন্দ ছিল ছোট্ট ছেলেটা। কখনও ছবি আঁকত, কখনও বা গেম খেলত। ছেলের এই অভ্যাসে বাবা-মা বিরক্ত হতেন। কম্পিউটার ছেড়ে বই পড়ার জন্য বকাবকি করতেন। সেই কম্পিউটারের সূত্রেই ছেলের সাফল্য এখন বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
মেদিনীপুরের ছেলে সপ্তম শ্রেণির অনুভব ঘোষ সাইবার অলিম্পিয়াডে প্রথম হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের এই পরীক্ষায় এশিয়ার ১৪টি দেশের এক হাজার শহরের ২৪ হাজার স্কুলের কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রী যোগ দিয়েছিল। সকলের মধ্যে সেরা হয়েছে অনুভব। অনুভবের মা মন্দিরাদেবী বলছিলেন, “আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও পরীক্ষায় ছেলে প্রথম হবে ভাবিনি। এই সাফল্য ওকে আরও উত্সাহিত করবে।” তাঁর কথায়, “ছোটবেলা থেকেই ও কম্পিউটার নিয়ে বেশি উত্সাহী। সুযোগ পেলে কম্পিউটারের সামনে বসতে পড়ত। এখনও তাই।” অনুভব মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু মহারাজও বলেন, “ওর সাফল্যে আমরা খুশি।” |
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অনুভব। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
‘সায়েন্স অলিম্পিয়াড ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থা এই পরীক্ষা পরিচালনা করে। সায়েন্স, ম্যাথমেটিক্স, সাইবার এবং ইংলিশ এই চারটি বিভাগে শ্রেণি ভিত্তিক পরীক্ষা হয়। গত বছর এই পরীক্ষা দিয়েছিল অনুভব। তখন সে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সম্প্রতি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। আগামী ১৬ জুন দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। অনুভবদের দেশের বাড়ি গড়বেতার আমলাগোড়ায়। তবে সাত বছর হল বাবা-মায়ের সঙ্গে সে মেদিনীপুর শহরের ডাকবাংলো রোডের এক আবাসনে থাকে অনুভব। তার পড়াশোনার জন্যই পরিবারের মেদিনীপুরে আসা। বাবা অভিজিত্ ঘোষ সর্বশিক্ষা দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার। মা মন্দিরাদেবী গৃহবধূ। এক সময়ে স্কুলে পার্শ্ব-শিক্ষকতা করতেন। যখন তিনি আমলাগোড়ায় থাকতেন। পরে সেই চাকরি ছাড়েন। মন্দিরাদেবীর কথায়, “ওর পড়াশোনার জন্য মেদিনীপুরে চলে আসি।” খেলাধুলোর প্রতি তেমন আগ্রহ নেই। সময় পেলে গল্পের বই পড়ে সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্র। তার কথায়, “কম্পিউটারই আমার পছন্দের বিষয়। এখন নিজে গেমও তৈরি করতে পারি।” ভবিষ্যতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার করার ইচ্ছে রয়েছে। বাবা-মাকেও ইচ্ছের কথা জানিয়েছে অনুভব। তার কথায়, “আমি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।”
ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাবাও। অভিজিত্বাবু বলছিলেন, “ছেলে আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে। ভাল তো লাগছেই।” |
ওবামার প্রশংসা
সংবাদসংস্থা • ওয়াশিংটন |
বিজ্ঞানে পারদর্শিতার জন্য এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রীর প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক বিজ্ঞান মেলায় কাঠকয়লা নিয়ে কটি কাজ দেখায় পোর্টল্যান্ডের বাসিন্দা ১৭ বছরের মেঘনা রাও। তার কাজ দেখে অভিভূত ওবামা জানান মেঘনার জন্য তিনি গর্বিত। প্রসঙ্গত এ বছর আমেরিকান ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের তরফে ‘ইয়ং নেচারালিস্ট’ পুরস্কার পেয়েছে মেঘনা। |