|
|
|
|
টুকরো খবর |
মা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ পাঁশকুড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সিলিং-ফ্যান থেকে একই শাড়ির ফাঁস লাগানো মা ও মেয়ের ঝুলন্তদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতা ঊষা সেন (২৮) ও তাঁর আড়াই বছরের মেয়ে সৃজতির বাড়ি পাঁশকুড়া থানার মহতপুর গ্রামে। শনিবার সকালের ঘটনা। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই বধূ। তদন্ত চলছে।” উষাদেবীর স্বামী জগবন্ধু সেন রেলকর্মী। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার মেয়ে ঊষার সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। পুলিশকে জগবন্ধুবাবু জানান, নববর্ষের দিন প্রতিবেশীদের মধ্যে মিষ্টি বিলি নিয়ে তাঁর মা উমাদেবীর সঙ্গে অশান্তি হয় ঊষা র। তার জেরেই এই ঘটনা বলে জগবন্ধুবাবুর দাবি। তিনি বলেন, “অশান্তি মেটাতে শুক্রবার মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। দোতলার ঘরে স্ত্রী ও মেয়ে আমার সঙ্গেই শুয়েছিল।” জগবন্ধুবাবু জানান, এ দিন ভোরে তিনি একতলায় শৌচাগারে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর দো’তলায় উঠে দেখেন, ঘরের মধ্যে সিলিংফ্যান থেকে ঊষাদেবী ও সৃজতির দেহ ঝুলছে। স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল ভৌমিকের কথায়, “ওঁদের বাড়ির সবাই চুপচাপ থাকত। কেন এমন ঘটল বুঝতে পারছি না।” ঊষাদেবীর বাবা স্বপন দে বলেন, “কোনও মানসিক আঘাত থেকেই আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।
|
বধূ খুন, নিখোঁজ প্রতিবেশী
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
এক গৃহবধূকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার কেশিয়াড়ি ভুঁইয়াবাড় এলাকার ঘটনা। নিহতের নাম সারথি সোরেন (৩৬)। তাঁকে খুনে অভিযুক্ত শেখ সইদুল ইসলামের অবশ্য খোঁজ পায়নি পুলিশ। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ও তার বাড়ির লোক পলাতক। সারথির পরিবারের লোকজনের সন্দেহ, ধর্ষণের চেষ্টায় বাধা পেয়ে ওই কাণ্ড ঘটায় সইদুল। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, সারথি ও সইদুলের ঘনিষ্ঠতা ছিল। কেশিয়াড়ি ভুঁইয়াবাড় এলাকাটি পাঁশকুড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেখানেই বাড়ি সারথিদের। ওই তরুণীর স্বামী বাবলু পেশায় শ্রমিক। দম্পতির দুই ছেলেও রয়েছে। বাবলুদের পাশেই সইদুলের বাড়ি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই বধূ বিশেষ প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই তাঁর চিৎকার শুনে তাঁর দেওর শিবু সোরেন ঘটনাস্থলে আসার
আগেই সইদুল সারথিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। রাতেই পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠায়। শিবু বলেন, “চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি বৌদি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সইদুলকে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ও আমাকে ঠেলে ফেলে পালায়। মনে হয় ধর্ষণে বাধা দেওয়াতেই ও বৌদিকে খুন করল।” একই কথা জানিয়ে অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পাঁশকুড়ার উপ-পুরপ্রধান নন্দ মিশ্র। পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় গাড়ি চালক সইদুলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। |
|
|
|
|
|