টুকরো খবর
মজুরি চেয়ে বিক্ষোভ
১০০ দিন কাজের প্রকল্পে মজুরি না মেলায় পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে শতাধিক শ্রমিক বিক্ষোভ দেখালেন। কেন্দা থানার চাঁদড়া-নোয়াগড় পঞ্চায়েতে সম্প্রতি শতাধিক শ্রমিক বেলা ১১টা থেকে অবস্থানে বসেন। চাঁদড়া গ্রামের বাসিন্দা রিতা বাউরি, পুতনা মাহাতোরা বলেন, “দু’মাস আগে ১০০ দিনের প্রকল্পে জমি সমতল করার কাজ করেছিলাম। ১৩৭ জন শ্রমিক ৭ দিন কাজ করে করেছি। কিন্তু মজুরি পাইনি।” খেতমজুর সমিতির পুঞ্চা ব্লকের সম্পাদক বিনোদ মাহাতো অভিযোগ করেন, “দু’মাস ধরে শ্রমিকরা মজুরির দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে আনাগোনা করলেও কাজ কিছু হয়নি। প্রধান কেবলই হয়রান করেছেন। তাই আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।” শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, তাঁদের এড়ানোর জন্য অন্য রাস্তা দিয়ে প্রধান এ দিন অফিস থেকে বেরিয়ে যান। ওই পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান কল্যাণী সিংসর্দার অবশ্য ওই অভিযোগ মানেননি। তিনি বলেন, “অফিসের জরুরি কাজে আমি বাইরে আছি। মজুরি না মেটানোর অভিযোগ ঠিক নয়। ওই প্রকল্পে টাকা নেই। টাকা এলেই আমরা শ্রমিকদের প্রাপ্য মিটিয়ে দেব।” পুঞ্চার বিডিও সুপ্রতীক সিংহ বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ-অবস্থানের কথা জানি। ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে চাহিদা অনুপাতে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে টাকা পাইনি। দীর্ঘদিন ধরে যে সব শ্রমিক কাজ করে মজুরির টাকা পাননি, তাঁরা আগে টাকা পাবেন।”

ইস্তফা দিলেন কাউন্সিলর
পুরুলিয়া পুরসভায় কাউন্সিলরের পদে ইস্তফাপত্র দিলেন তৃণমূলের গীতা মণ্ডল। তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়েছিলেন। শুক্রবার বিকেলে পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে গীতাদেবীর ইস্তফাপত্র পত্র পৌঁছয়। পুরপ্রধান বলেন, “গীতাদেবী পারিবারিক কারণে পদত্যাগ করছেন বলে উল্লেখ করেছেন। এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে পরে কথা বলব।” মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় চেষ্টা করেও গীতাদেবীর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। পুরুলিয়া পুরসভায় এখন তৃণমূলের ১২ জন, কংগ্রেসের সাত জন ও সিপিএমের তিন জন কাউন্সিলর রয়েছেন। কাজেই গীতাদেবীর ইস্তফায় তৃণমূলের বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই রাজনৈতিক ওয়াকিবহালের মত।

চোলাই আটক, গ্রেফতার
বেআইনি ভাবে চোলাই, দেশি ও বিদেশি মদ বিক্রি এবং মজুতের অভিযোগে ইঁদপুরের চাকলতোড় গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে এক ব্যক্তিকে ধরল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে ৪০ লিটার চোলাই এবং ৪০ বোতল দেশি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার খাতড়া আদালত ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন। রঘুনাথপুর থানার বাবুগ্রামে বৃহস্পতিবার হানা দিয়ে পুলিশ এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ বোতল দেশি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করে। ওই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার স্বামী
স্ত্রীকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শ্যামল পাল। তাঁর বাড়ি রানিবাঁধ থানার অম্বিকানগর গ্রামে। বৃহস্পতিবার ধৃতের স্ত্রী জোৎস্না পাল রানিবাঁধ থানায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই রাতেই শ্যামলবাবুকে ধরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কুড়ি আগে রানিবাঁধের রুদড়া গ্রামের বাসিন্দা জোৎস্নাদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় শ্যামল পালের। শুক্রবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

বজ্রাহত দুই তরুণ
বাজ পড়ে মৃত্যু হল দুই তরুণের। শুক্রবার বিকেলে কাশীপুর থানার শ্যামপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন লক্ষ্মীকান্ত মাণ্ডি ও সগেন হাঁসদা। তাঁদের বয়েস ১৮-র আশেপাশে। এ দিন মাঠ থেকে গরু নিয়ে বানি ফেরার পথে তাঁরা ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে পড়েন। দু’জনে বজ্রাহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাশীপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। এ দিন ঝড়ে কাশীপুরের নপাড়ায় বৈশাখী মেলায় কিছু দোকান ভেঙে যায়।

দুই যুবকের অপমৃত্যু
একই গ্রামে দুই যুবকের অপমৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার মানবাজারের পাথরমহড়া গ্রামের একটি পুকুরে প্রতাপনারায়ণ দেব নামে এক যুবকের (৪০) দেহ ভেসে ওঠে। দুপুরে ওই গ্রামেরই মিষ্টি ব্যবসায়ী শিবু লোহারকে (৪২) গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় গোয়াল ঘরে পাওয়া যায়।

ধৃতের জেল হাজত
মেজিয়ায় শিশু খুনের অভিযোগে ধৃত যুবককে ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠাল বাঁকুড়া আদালত। বুধবার মেজিয়ার ইঁদাড়া গ্রামে এক শিশুকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়। ধৃত শ্রীকান্ত কেওরা মানসিক অবসাদগ্রস্ত বলে তাঁর পরিবারের দাবি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.