গত মাসেই বোলপুর-নানুর রাস্তায়, কাছে একটি পিকআপ ভ্যান আটকে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর চোখে লঙ্কাগুড়ো ছিটিয়ে লক্ষাধিক টাকা লুঠের ঘটনা ঘটেছিল। বৃহস্পতিবার সেই ছিনতাই হওয়া টাকার বেশ খানিকটা (১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা) উদ্ধার করল পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশ এক মহিলাকেও গ্রেফতার করেছে। এসডিপিও (বোলপুর) প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “মমতাজ বিবি নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার হেফাজত থেকে ছিনতাই হওয়া টাকার মধ্যে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, মমতাজ বিবির বাড়ি ইলামবাজার থানার পরাণচক গ্রামে। গত ২৩ মার্চ কাঁকরতলা থানার পাতারির জঙ্গলের কয়লার একটি পরিত্যক্ত খাদান থেকে ওই মহিলার স্বামী জান আলি মির্ধা-র (৩৩) পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। জেলার পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা তখন দাবি করেছিলেন, ওই ছিনতাইয়ের ঘটনায় জান আলি মির্ধা জড়িত ছিলেন। নিজেদের মধ্যে ছিনতাই করা টাকা পয়সা নিয়ে ভাগ বাটোয়ারার জেরে বাকিরা তাকে খুন করে। গত ৬ মার্চের ওই ছিনতাইয়ের ঘটনার যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করে জেলাপুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম ও বোলপুর থানা। প্রথমেই পুলিশ ওই পিক আপভ্যান চালককে গ্রেফতার করে। পরে বোলপুর ও ইলামবাজার থানা এলাকা থেকে শেখ রহিম ও শেখ তমাল নামে আরও দু’জন ধরা পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তিন জন ধরা পড়ার পরেই বোলপুরের ছিনতাইয়ের ঘটনায় জান আলি মির্ধার যুক্ত থাকার কথা উঠে আসে। কিন্তু তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপরে গত ২২ মার্চ কাঁকরতলা থানা এলাকা থেকে ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পেয়ারা রুইদাস ও উজ্জ্বল ডোম নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই জান আলি মির্ধার পচাগলা মৃতদেহের খোঁজ মেলে বলে পুলিশ জানিয়েছিল। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, জান আলিকে খুন করে ওই পরিত্যক্ত খাদানে ফেলে দেয় তার সঙ্গীরা। পুলিশ এখন ছিনতাই হওয়া বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |