রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ |
গত কাল বিকেলে দিল্লিতে অমিত মিত্রকে হেনস্থার পর থেকে শুরু। আজ সকাল পর্যন্ত গোটা রাজ্য জুড়ে সিপিএম তথা বামফ্রন্টের অসংখ্য পার্টি অফিস পোড়ানো হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন বামফ্রন্টের প্রচুর দলীয় কর্মী সমর্থক। কোথাও কোথাও হামলার আশঙ্কায় ঘরছাড়া হয়েছেন স্থানীয় নেতা কর্মীরা। একই ঘটনার জেরে হাওড়ার বাগনানে আক্রান্ত হলেন সিপিএম প্রাক্তন বিধায়ক আক্কেল আলি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নতুন করে হামলার খবর আসছে বাঁকুড়া, হাওড়া, বীরভূম-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে। সব ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল। যদিও দলের তরফ থেকে সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলা হয়েছে। গত কাল সন্ধ্যায় তৃণমূল ভবন থেকে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলীয় ‘কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের’ শান্ত ও সংযত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। একই কথা শোনা গিয়েছিল সাংসদ মুকুল রায়ের মুখে। কিন্তু কথা ও কাজের মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা গেল। একটি অভিযোগ যদিও সর্বত্র শোনা যাচ্ছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে পুলিশ কম থাকার জন্য ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আবার কোথাও তারা থেকেও নিষ্ক্রিয় ছিল।
তৃণমূলের ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের’ হাত থেকে রক্ষা পেল না প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। দফায় দফায় তৃণমূল সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবন ও ল্যাবরেটরিতে ঢুকে কার্যত সব কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন রেজিস্ট্রার প্রবীর দাশগুপ্ত। তিনি আরও জানিয়েছেন, সকাল ১১টা থেকে বারবার পুলিশের সাহায্য চাওয়া হলেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল। এমনকী পুলিশের বক্তব্য ছিল ‘আমাদের কাছে কিছু করার পার্মিশন নেই’। যদিও এই ঘটনা নিয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
|
তামিলনাড়ুতে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত ২, আহত ৩৪ |
আজ ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তামিলনাড়ুতে একটি ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ রেলের জেনারেল ম্যানেজার রাকেশ মিশ্র জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুর চিত্তেরি স্টেশন পার করার পর যশোবন্তপুর-মুজফ্ফরপুর এক্সপ্রেসের ১১টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। তার মধ্যে ২টি কামরা সম্পূর্ণ উল্টে যায়। ঘটনায় ৩৫ বছর বয়সী সোরেন বোদি নামে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৩৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যান। রাকেশ মিশ্র আরও জানিয়েছেন, উদ্ধার কর্মীরা খুব দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার কাজ শেষ করেছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
|
রেড রোডে পুলকার দুর্ঘটনা, গুরুতর আহত ২ |
শহরের ব্যস্ততম সময়ে রেড রোডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল একটি পুলকার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রেড রোডে ঢোকার মুখে হঠাত্ই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায় গাড়িটি। তারপর রাস্তার ডিভাইডার ভেঙে পাশের লেনে উল্টে পড়ে। পুলকারটিতে মহাদেবী বিড়লা গার্লস স্কুলের ১১ জন ছাত্রী ছিল। ঘটনায় চালক ও এক ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রীদের অভিভাবকদের যোগাযোগ করলে তাঁরা এসে ছাত্রীদের বাড়িতে নিয়ে যান। ছাত্রীদের অভিযোগ, চালক খুবই বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। |