সাতসকালে হঠাৎই হানা এক বন্দুকবাজের। নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে গেল ১৩টি নিরীহ প্রাণ। এই দুর্ঘটনাই মঙ্গলবার সকালে ঘুম ভাঙাল দক্ষিণ-পূর্ব বেলগ্রেডের ছোট্ট গ্রাম, ভেলিকা ইভাঙ্কার বাসিন্দাদের।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম জুবিসা বগদানভিক। ১৯৯১ সালের ক্রোয়েশিয়া যুদ্ধে সার্বিয়ার যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করেছে সে। গত বছরই অবসর গ্রহণ করেছে সার্বিয়ার সেনাবাহিনী থেকে। দীর্ঘদিন সেনাবাহিনীতে থাকার দরুন তার বাড়িতে ছিল একাধিক অস্ত্রশস্ত্র।
এ দিন সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাৎই হাতে একটি ‘নাইনএমএম’ বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে জুবিসা। প্রথমেই খুন করে নিজের ছেলেকে। গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় পাড়া প্রতিবেশীর। ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসতেই তাঁরা দেখেন উন্মত্ত অবস্থায় একের পর এক গুলি করে চলেছে জুবিসা। বাধা দিতে গিয়েও লাভ হয়নি। অবসরপ্রাপ্ত ওই সেনার গুলিতে মুহূর্তের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন ১৩ জন।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অধিকাংশের। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন জুবিসার আত্মীয় পরিজন। রেহাই পাননি স্ত্রীও। গুরুতর জখম অবস্থায় বেলগ্রেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই নিজেকে গুলি করে জুবিসা। তবে ব্যর্থ হয় আত্মহত্যার চেষ্টা। স্ত্রীর সঙ্গে এই মুহূর্তে বেলগ্রেড হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন সে।
সার্বিয়ার ইতিহাসে এ হেন ঘটনা বিরল। এর আগে ২০০৭ সালে এক বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ন’জনের। তবে মঙ্গলবারের হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও ধোঁয়াশাই পুলিশের কাছে। জুবিসার কোনও মানসিক সমস্যা ছিল কী না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |