দিল্লিতে অমিত মিত্রকে হেনস্থা, অভিযুক্ত এসএফআই |
এসএফআই কর্মী সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ দিল্লিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে বিক্ষোভ দেখানোর নামে কার্যত হেনস্থা করল এসএফআই কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের মধ্যে মহিলারাও ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গের যোজনা আয়তন নিয়ে যোজনা কমিশনের উপাধ্যক্ষ মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়ার সঙ্গে বৈঠক করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লিতে গত কালই গিয়েছিলেন অমিত মিত্র। আজ সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার সময় যোজনা কমিশনের দফতরের সামনেই এই ঘটনা ঘটে। ৬২ বছরের অমিতবাবুর মাথায় যে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, সেটির গায়ে সিপিএমের দলীয় পতাকা জড়ানো ছিল বলে অভিযোগ।
অর্থমন্ত্রীর ধুতিও ছিঁড়ে গিয়েছে এই হঠাত্ ‘আক্রমণে’। বিক্ষোভের মুখে আটকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রীও। ঘটনার পরে উত্তেজিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। “পুলিশ কোথায় ছিল?” —এই প্রশ্ন তুলে তাঁর মন্তব্য, “নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে।” |
“গায়ে হাত দেওয়া উচিত্ হয়নি, এটা বিক্ষোভের রাস্তা নয়”— ঘটনার পর নিন্দাসূচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। তবে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সমর্থকেরা। ঘটনার সময় তিনি বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
অন্য দিকে আজ বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন, “পুলিশ কোথায় ছিল?” তাঁর কথায়, “আমি টেলিফোনে সমস্ত খবরটা পেয়েছি। তাতে জানতে পেরেছি, সবাই ছাত্র নয়, বহিরাগতরাও এই বিক্ষোভে ছিলেন।” প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ দেখানোর গণতান্ত্রিক অধিকার সবার যে আছে সে কথা স্মরণ করিয়ে বিমানবাবু জানিয়েছেন, “কিন্তু, এ ক্ষেত্রে যে ভূমিকা পালন করা হয়েছে, আমরা সেটা অনুমোদন করছি না। অবাঞ্ছিত ঘটনা। নিন্দা করছি।”
একই সময়ে তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের মহাসচিব
পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “আমরা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আমরা আন্দোলনেও নামছি।” পাশাপাশি তিনি রাজ্যের ব্লক স্তর থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত সর্বত্র প্রতিবাদ মিছিল ও ধিক্কার মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল কর্মীদের। মহল্লায় মহল্লায় জনমত তৈরি করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে অমিত মিত্রের উপর এই আক্রমণে দিল্লি ও রাজ্যের সিপিএম যৌথ ভাবে জড়িত। দিল্লির প্রশাসনও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না বলে জানান তিনি।
|
আজ বণিকসভার আমন্ত্রণে কলকাতায় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের বক্তব্য রাখেন। পশ্চিমবঙ্গ
পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হওয়ার জন্য ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, তা তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতকে ভারতের মূল পথ প্রদর্শক যে বাংলাই ছিল তা তিনি মুক্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন। তাঁর সহাস্য মন্তব্য, “এখানে আমি বাংলা ও গুজরাতের মধ্যে তুলনা টানতে আসিনি। সেটা আমি নির্বাচনের সময় করে থাকি।” |
তিনি যখন কংগ্রেস শাসনের শেষে গুজরাতের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেছিলেন, তখন তাঁকে দীর্ঘ এক দশক ধরে ‘প্যাচ ওয়ার্ক’ করতে হয়েছিল। তবেই গুজরাত আজকে এই জায়গায় পৌঁছেছে। তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গেও সেই ‘প্যাচ ওয়ার্ক’ চলছে এবং তার সুফল অবশ্য মিলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে ছাড়েননি। তিনি বলেছেন, “কেন্দ্র দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। গুজরাতও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বারবার বঞ্চিত হয়েছে।” প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘রণংদেহী’ ভাবনা ছেড়ে এই মুহূর্তে সপারিষদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তায় আগ্রহী। মোদী আরও বলেছেন, ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে আজকে গুজরাত অনেক রাজ্যের কাছে ‘আদর্শ’। ফলে বৈষম্য তো দূরে থাক, পশ্চিমবঙ্গকে প্রায় একই পঙক্তিতে বসিয়ে তিনি বলেছেন, বর্তমান রাজ্য সরকার ‘সঠিক পথে’ চলছে। যার ফল ভবিষ্যতে অবশ্যই পাওয়া যাবে। ‘ভারত পথিক’-এর এই তত্ত্ব কেউ মানুন বা না মানুন, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন তিনি ‘সঠিক পথে’ই লোকসভা নির্বাচনের সমীকরণের দরজা খুলে রেখে গেলেন।
|
ছাত্রকে শাস্তি দিতে গায়ে গরম চা |
চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র নিতাই পাত্রকে শাস্তি দিতে তার গায়ে গরম চা ঢেলে দিলেন শিক্ষিকা। গত কাল ঘটনাটি ঘটেছে উল্টোডাঙার সারদাপ্রসাদ ইনস্টিটিউটে। ঘটনার পর স্থানীয় এক জন ডাক্তারের কাছে নিতাইকে নিয়ে গেলে তিনি চিকিত্সা করতে অস্বীকার করেন। পরে, নিতাইকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিত্সা করিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। আজ সকালে বেশ কিছু অভিভাবক স্কুলের সামনে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এ সবে আমল দিতে রাজি হয়নি। পরে মানিকতলা থানার পুলিশ আসায় স্কুল কর্তৃপক্ষ কথাবার্তায় রাজি হয়। যদিও পুরো ঘটনাকে ‘নিছকই দুর্ঘটনা’ বলেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে স্কুলের তরফ থেকে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্কুলের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ দেখান বেশ কিছু অভিভাবক। পরে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে অবস্থান তুলেও নেন তাঁরা।
|
দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে উদ্ধার গ্রেনেড |
দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে একটি পুকুরের মধ্যে গ্রেনেড উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত গ্রেনেডগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য খবর দেওয়া হয়েছিল বিএসএফকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। জওয়ানরা সেখানে পৌঁছে গ্রেনেডগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কী ভাবে ওই পুকুরের মধ্যে গ্রেনেড এল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পুরো ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |