বিশ্ব উষ্ণায়নের দাপটে ক্রমাগত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে কলকাতা। শনিবার জোকায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের সমাবর্তনে এসে এমন আশঙ্কার কথা জানালেন পরিবেশবিদ রাজেন্দ্রকুমার পচৌরি। তিনি জানান, ব-দ্বীপ এলাকায় হওয়ার ফলে উষ্ণায়ন ও দূষণের বেশি মাত্রায় পড়ছে এই শহরে। সাংহাই ও ঢাকার অবস্থাও একই। পরিবেশবিদেরা জানান, বিশ্ব উষ্ণায়নে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়ছে। বাড়ছে বন্যার আশঙ্কাও। বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ব-দ্বীপ এলাকার শহরগুলিও। পচৌরি জানান, উষ্ণায়ন ও দূষণ কমাতে সচেষ্ট না হলে এ রাজ্যের সম্পদ সুন্দরবনও হারিয়ে যেতে পারে। পরিবেশবিদেরা জানান, দূষণের পিছনে শিল্পসংস্থাগুলিরও দায়িত্ব থাকে। এ দিন আইআইএমের স্নাতকদের পরিবেশ নিয়ে সচেতন হতে অনুরোধ করেন পচৌরি। তিনি বলেন, “আবহাওয়ার পরিবর্তনে খাপ খাইয়ে নিতেই হবে এবং সে ক্ষেত্রে বাণিজ্য সংস্থাগুলির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।” পচৌরি জানান, পরিবেশ বিপন্ন হলে শিল্পবাণিজ্যও টিঁকে থাকতে পারে না।
|
বেআইনি মাটিকাটা বন্ধ করতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি পেলেন সরকারি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ পঞ্চায়েতের রামনগর এলাকায়। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বলাগড়ে গঙ্গার ধার বরাবর গজিয়ে উঠেছে বেশ কিছু ইটভাটা। তারাই বেআইনি ভাবে মাটি কাটে। যার জেরে গঙ্গাতীরের গ্রামগুলিতে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বলাগড় ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক মানস রায়ের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল অভিযান চালায় রামনগর এলাকায়। অভিযোগ, জনা ছ’য়েক সশস্ত্র দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাজির হয়। মাটি কাটা বন্ধ করতে চাইলে হয় মরতে হবে, না হলে বহু দূরে বদলি হতে হবে বলে হুমকি দেয় তারা। এলাকা ছাড়েন আধিকারিকেরা। সন্ধ্যার পরে বলাগড় থানার সাহায্য নিয়ে ফের ঘটনাস্থলে আসেন মানসবাবু। বেআইনি মাটি কাটার যন্ত্রের হদিস মেলে। রাতে বলাগড় থানায় অলোক দাস ও সুকুমার খাঁড়া নামে দু’জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম রায় বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই নিন্দনীয়। দলমত নির্বিশেষে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” জেলাশাসক মনমীত নন্দা বলেন, “রিপোর্ট পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
প্রতিস্থাপিত গন্ডারের মৃত্যুর ঘটনার মধ্যেই পুনর্বাসিত একটি গন্ডারের বাচ্চা হওয়ায় খানিকটা হলেও স্বস্তি ফিরল মানসে। এই নিয়ে মানস জাতীয় উদ্যানে গন্ডার শাবকের সংখ্যা দাঁড়াল ৪। মানসে এখন কাজিরাঙা ও পবিতরা অরণ্য থেকে প্রতিস্থাপিত ও পশু উদ্ধার কেন্দ্র থেকে পুনর্বাসিত মোট ১৯ টি পূর্ণবয়স্ক গন্ডার রয়েছে। পশু চিকিৎসক ভাস্কর চৌধুরি জানান, ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার গন্ডার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অধীনে ২০০৭ সালে প্রথম যে গন্ডারটিকে মানসে পাঠানো হয়েছিল, তারই আজ বাচ্চা হয়েছে। মা মানসী ওরফে গঙ্গা ও শাবক আপাতত সুস্থ রয়েছে। তাদের কড়া নজরে রাখা হয়েছে। মানসীকে ২০০৪ সালে, কাজিরাঙার বন্যার সময় উদ্ধার করা হয়েছিল। এখন তার বয়স নয় বছর ৪ মাস। এ দিকে, ২ এপ্রিল, শিকারিদের হাতে প্রাণ দেওয়া গন্ডারটির শাবককে আপাতত উদ্ধার করে বাসবাড়ি হাতি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রাখা হয়েছে।
|
চিতাবাঘের হানায় মৃত্যু হল ৯ বছরের এক মেয়ের। পৌড়ি জেলার একেশ্বর এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটি ঘরের বাইরে খেলছিল। তখন চিতাবাঘটি মেয়েটিকে টেনে জঙ্গলে নিয়ে যায়। মেয়েটির বন্ধুদের চিৎকারে গ্রামবাসীরা চিতাবাঘটির পিছু ধাওয়া করে। |