|
|
|
|
টুকরো খবর |
ফের এবিজিকে দুষলেন পূর্ণেন্দু
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বন্দর থেকে এবিজি-বিতাড়নের দায় চেপেছিল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র বিরুদ্ধে। নানা মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। শিল্পশহর হলদিয়ায় সংগঠনের সভায় আবারও এবিজি-র বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। এবিজি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এসএমএসে শ্রমিক ছাঁটাই অন্যায্য। এমনকী তা শ্রম আইনও বিরুদ্ধ। ট্রাইবুন্যালে এর বিচার চলছে।” আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখেই শনিবার আইএনটিটিইউসি-র সম্মেলন হয়ে গেল হলদিয়ার মঞ্জুশ্রী সংলগ্ন এইচএফসি ময়দানে। সেখানে শ্রমমন্ত্রী নিজেদের বহু কৃতিত্ব দাবি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর অভিমত, বাম আমলে সিটুর দাপটে শ্রমিকদের নাভিশ্বাস উঠেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই জুলুম বন্ধ করেছে। মন্ত্রীর মতে, “সিটু জুলুম করে তোলা তুলত। আমরা সেই রেওয়াজ বন্ধ করেছি। ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে রাজ্যের একটি কারখানা ছাড়া আর কোথাও কোনও ধর্মঘট হয়নি। বরং ২০ মাসে একের পর এক বন্ধ কারখানা চালু হয়েছে।” সভায় শ্রমমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেত্রী দোলা সেন, সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ। হলদিয়ায় শিল্পায়নের বর্তমান সমস্যার জন্য শুভেন্দুবাবু কেন্দ্রের পরিবেশমন্ত্রকের শিল্প নিষেধাজ্ঞাকেই দায়ি করেছেন। তাঁর দাবি, “রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রক শিল্পে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। আমাদের আইনি লড়াই চলবে।”
|
রেললাইনে ঝাঁপ যুগলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। অতএব প্রেম আর পরিণতি পাবে না। এই আশঙ্কাতেই মালগাড়ির সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক তরুণ-তরুণী। শনিবার ভোরে টাটা-খড়্গপুর শাখার গিধনি ও কানিমহুলি স্টেশনের মাঝে জামবনির ফাগুয়াশোলের কাছে মৃতেরা হলেন জয়দেব মাহাতো (২৩) ও মমতা মাহাতো (১৮)। খড়্গপুরের রেল পুলিশ সুপার দেবাশিস বড়াল বলেন, “অনুমান, প্রণয় ঘটিত কারণেই ওই তরুণ-তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন।” শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন জামবনির বালিবাঁধ গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব ও মমতা। অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ জয়দেব চাষবাস করতেন। আর মমতা এ বার মাধ্যমিক দিয়েছিলেন। দু’জনের পরিবারেরই বক্তব্য, সম্পর্কের কথা জানা ছিল না। মমতার দাদা প্রশান্ত বলেন, “জয়দেব ও বোনের সম্পর্কের কথা জানতাম না। ঝাড়খণ্ডে বোনের বিয়ের সম্বন্ধ হয়েছিল। দোলের দিন আশীর্বাদও হয়ে গিয়েছিল।” আর জয়দেবের দাদা অজয়ের বক্তব্য, “ওরা দু’জন এক সঙ্গে নিখোঁজ হওয়ার পরই সন্দেহ হয়, ওদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল।” এ দিন বিকেলে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের পুলিশ মর্গে দু’জনের দেহ শনাক্ত করেন তাঁদের পরিজনেরা। |
|
|
|
|
|