|
|
|
|
বল হাতে দানব বল ছাড়া মরমি |
দুই ফাস্ট বোলার। যখন বোলিং করতেন, সে সময় কাঁপতেন না এমন ব্যাটসম্যান বিরল। আজ, স্ত্রীদের দুরারোগ্য রোগে হারিয়ে
দু’জনেই দায়িত্বশীল পিতা। দুই কিংবদন্তি বোলারের বদলে যাওয়া জীবনের কথা লিখলেন মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় |
এটাই নিয়ম যে দোসরা জানুয়ারি, বছরের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই নামবে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দল।
কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন একটা অনন্য ঘটনা ঘটছে। ঐতিহাসিক সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড সেদিন অন্য রঙে ধুয়ে
যাচ্ছে। পুরো মাঠ সে দিন হয়ে উঠছে গোলাপি।
গোলাপি স্টাম্পসের পিছনে গোলাপি গ্লাভস পরা উইকেট রক্ষক। ব্যাটসম্যানদের প্যাডের ভিতরেও সেই গোলাপি রঙের ছোঁয়া। ব্যাটের হাতলেও গোলাপি রঙের গ্রিপ। এ ভাবেই ‘জেন্টলম্যান’স গেম’ মহিলাদের জীবনকে সম্মান জানায়।
ক্যুইজ কম্পিটিশন-এ যদি জিজ্ঞেস করা হয় এই বিস্ময়কর অভিব্যক্তি আর ‘রিয়েল মেন ওয়্যার পিঙ্ক’ ট্যাগলাইনের পিছনে কোন অস্ট্রেলীয়র উপস্থিতি? তা হলে দু’টো নাম আপনার মনে আসবেই।
শেন ওয়ার্ন আর স্টিভ ওয়। দু’জনেই মহিলাদের ভালবাসেন। যদিও বলা বাহুল্য ভালবাসার অভিব্যক্তিটা বেশ আলাদা! তবে এই দু’টো নাম বললে আপনি কিন্তু ডাহা ফেল!
সঠিক উত্তরটা হল গ্লেন ম্যাকগ্রা। সেই ম্যাকগ্রা, যিনি এক সময় সচিনের উইকেট নিয়ে আমাদের হৃদয় ভেঙেছেন। তাঁর ইস্পাত-কঠিন আবেগকে অনেকে অপছন্দও করেছেন। কিন্তু এটা কী করে অস্বীকার করবেন যে আধুনিক পেস বোলিং-এর অন্যতম লেজেন্ড এই অস্ট্রেলীয়।
দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে এ বার ফিরি ভারতীয় উপমহাদেশে। এখানেও ফাস্ট বোলিং-এর জীবন্ত কিংবদন্তি রয়েছেন। তিনি ওয়াসিম আক্রম।
আজকের কলকাতা তো তাঁকে ‘কলকাতা নাইট রাইডার্স’-এর বোলিং কোচ হিসাবেই বেশি চেনে। আর যাঁরা তাঁর সাক্ষাৎ পেয়েছেন, তাঁরা ওঁর সহজাত হাসি আর রসিকতায় ঋদ্ধ হয়েছেন।
জানেন কি, ওয়াসিম তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন বাঙালি রান্না? তাঁর মতে ভেটকি পাতুরি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ খাবার, সাক্ষাৎ দেবভোগ্য। তাই মাঝে মাঝে বুঝতে অসুবিধা হয় পাতুরি খাওয়া সেই মানুষটাই কী করে লাল ডিউস বলটা হাতে নিলেই ও রকম ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন!
ওয়াসিম আক্রম আর গ্লেন ম্যাকগ্রা। অবসরের পরেও অসম্ভব ‘জেন্টলম্যান’ দুই ক্রিকেটার।
|
|
|
হুমা ও ওয়াসিম আক্রম |
জেন ও গ্লেন ম্যাকগ্রা |
|
মনে পড়ে সেই ২০০১-এর বিখ্যাত ভারত-অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট সিরিজ।
সিরিজের মাঝে পার্ক স্ট্রিটের এক পাঁচতারা হোটেলে ক্রিকেট সংক্রান্ত ক্যুইজের অনুষ্ঠান ছিল। অতিথি ক্যুইজমাস্টার গ্লেন ম্যাকগ্রা আর অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। দু’জনেই তরুণ দর্শকদের সঙ্গে সাক্ষাতে আগ্রহী। অকাতরে সই বিলোচ্ছেন। হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীরা যখন সেই সই-শিকারিদের সরিয়ে দিয়েছেন, গ্লেনের হাতে তখনও পড়ে আছে একটা অটোগ্রাফের খাতা।
জোর করে ওই ঘরে আবার ঢুকলেন গ্লেন, আর সেই ছেলেটিকে খুঁজে বের করে তার হাতে অটোগ্রাফের খাতা ফেরত দিয়েই ছাড়লেন! সৌভাগ্যক্রমে ছেলেটির মুখ মনে রেখেছিলেন গ্লেন। সেলিব্রিটি সামলানো অভিজ্ঞ সেই সিকিওরিটি অফিসারও পুরো ঘটনা দেখে থ! স্বাভাবিক ভাবেই গ্লেনের আগে কাউকে এমনটা করতে দেখেননি তিনি।
কিন্তু গ্লেন তো এ রকমই। ‘না’ বলতে পারেন না। পাছে কেউ আঘাত পান। নিউ দিল্লির এক ফ্যাশন শোয়ে বিখ্যাত এক ডিজাইনারের শেরওয়ানি পরে র্যাম্পে হাঁটার কথা তাঁর। শেরওয়ানিটা ঠিকই ছিল, কিন্তু ওই শেরওয়ানির সঙ্গে পরতে হত এক জোড়া জুতো। দেখে মনে হবে এইমাত্র ‘গুপী গায়েন, বাঘা বায়েন’-এর সেট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে!
গ্লেনের সঙ্গে সে দিন র্যাম্পে হাঁটার কথা এক আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যানের। তিনি শুঁড় তোলা মোজরি জুতো পরতে কিছুতেই রাজি নন। যে মেয়েটি তাঁদের পোশাকের ব্যাপারে সাহায্য করছিলেন, তাঁর তো অবস্থা সঙ্গিন! উদ্ধারকর্তা হিসাবে এগিয়ে এলেন গ্লেন। সেই ব্যাটসম্যানকে বোঝালেন যে, মিনিটখানেকের বেশি সেই জুতো পরতে হবে না তাঁকে। আর জুতো পরা ছবি বাড়িতে যাওয়ারও কোনও সম্ভাবনা নেই।
তা হলে কি ক্রিকেট জগতে আগ্রাসনের প্রতিমূর্তি এই কিংবদন্তি পেস বোলাররাই খেলার মাঠের সব থেকে সভ্য মানুষ? তাঁরা কি খেলার মাঠেই সব রাগ উগরে দিয়ে আসেন, যাতে ড্রেসিং রুমে এক ফোঁটা রাগ ছাড়াই ফিরতে পারেন? নিশ্চয়ই একটা ‘প্যাটার্ন’ আছে এর মধ্যে।
একটু পিছনে ফেরা যাক। ধরুন, মাইকেল হোল্ডিং আর স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড। তাঁদের প্রজন্মের সব থেকে সফল আর ক্যারিশম্যাটিক ক্রিকেটার। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট যে আধিপত্য দেখিয়েছে, তার অন্যতম দুই কান্ডারি এই দু’জন। কিন্তু ভিভের ক্যারিশমা যেখানে সুপ্ত দম্ভ আর চিকলেট চিবোনোর স্বেচ্ছাচার, সেখানে মাইকেল কিন্তু একেবারেই সে রকম নন।
মাইকেলের সঙ্গে কথা বললেই বুঝতে পারবেন তাঁর সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ। বুঝতে পারবেন তাঁদের ব্যবহারের মাধুর্য। ধীর ও সহজ ক্যারিবীয় জীবনেরই একটা সংস্করণ যেন মাইকেল হোল্ডিং।
একই ভাবে, গ্রেগ চ্যাপেল আর ডেনিস লিলি-র সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটের সম্পর্ক তুলনা করলেও চমকে দেওয়ার মতো তথ্য পাবেন।
চ্যাপেল ভেবেছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট থেকে ‘কপি-পেস্ট’ করে ভারতীয় ক্রিকেট ব্যবস্থাকেই বদলে দেবেন। তাঁর উদ্দেশ্য সাধু, কিন্তু তাঁর পথ কোনও বিরুদ্ধ মত শুনতে প্রস্তুত ছিল না। সর্বোপরি গ্রেগ ভারতীয় ক্রিকেট ব্যবস্থাকে পালটাতে চেয়েছিলেন। রূপান্তর করতে চাননি।
এ বার চোখ ফেরান ডেনিস লিলির দিকে। যখন খেলতেন তাঁর লক্ষ্য থাকত ব্যাটসম্যানের খুলি। এক বার তো রেগে গিয়ে জাভেদ মিঁয়াদাদ তাঁকে ব্যাট হাতে তাড়া করতেও ছাড়েননি। কিন্তু যখন দায়িত্ব নিলেন এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনের, তখন ভারতীয় ক্রিকেটে পেস
বোলিং অনেক দূরের এক মরীচিকা। কপিল দেব ছাড়া চার দিকে শুধু স্পিনারদেরই আধিপত্য। ডেনিস কিন্তু তাতে দমে যাননি। টি এ শেখরের
সঙ্গে দিন-রাত কাজ করে স্পিনিং কালচারের মধ্যেই ধীরে ধীরে বোঝাতে পেরেছেন ফাস্ট বোলিং-এর গুরুত্ব। ডেনিস কিন্তু একটা সংস্কৃতির রূপান্তর করেছেন, অন্ধ ভাবে অস্ট্রেলীয় ব্যবস্থাকে চাপিয়ে দেননি।
সেই সংস্কৃতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটা আর আশ্চর্য নয় যে চেন্নাইয়ের সেই প্রতিষ্ঠানে ডেনিসের পদে গ্লেন ম্যাকগ্রার মতো একজন বসতে চলেছেন। শিক্ষক গ্লেন শেখাবেন পেস বোলিং-এর খুঁটিনাটি।
অবশ্য গ্লেন একা নন। ক্রিকেট জীবনের পরে ওয়াসিমও যেন নিজের মধ্যে থাকা শিক্ষক সত্তাটা খুঁজে পেয়েছেন। |
|
|
গ্লেন ম্যাকগ্রা |
ওয়াসিম আক্রম |
|
কথায় বলে, ভাল ছাত্র সব সময় ভাল শিক্ষক হয় না। তাঁরা তো ছাত্রদের সীমাবদ্ধতাই মানতে পারেন না। নিজেদের মতো এক্সেলেন্স আশা করেন ছাত্রদের থেকে।
ওয়াসিম কিন্তু সেই দলে পড়েন না। শেষ কয়েক বছর কেকেআর-এর বোলিং কোচ হিসাবে ওয়াসিম অভাবনীয় খেটেছেন জাভেদ উনদকট আর মহম্মদ সামির পিছনে।
মনে আছে গত শীতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামির ডেবিউ ম্যাচে কমেন্ট্রি করছিলেন ওয়াসিম। স্বাভাবিক ভাবেই ওয়াসিম চাইছিলেন পাকিস্তান যেন জেতে, কিন্তু তাঁর চিন্তা যেন আর এক জনকে নিয়ে বেশি ছিল। সেদিন, সামি যাতে ভাল বল করেন তার জন্যে মনে প্রাণে উৎকণ্ঠিত ছিলেন ইমরান খানের এই প্রিয় শিষ্য। সামি বল করতে যাওয়ার সময় তো ওয়াসিমের গর্ব সহজেই ধরা পড়ছিল তাঁর গলায়।
এটাই ওয়াসিম আক্রম। কোনও রাখঢাক নেই। অসম্ভব সরল। তাই আজও পুরনো বন্ধুদের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক তাঁর। আর ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক?
ফেসবুক প্রজন্মের ভাষায় তাঁরা ‘ফ্রেনেমিজ’। একই সঙ্গে ‘ফ্রেন্ড’ এবং ‘এনিমি’। একটা ঘটনা বলি তা হলে। একবার তাঁর বোলিং সহযোগী ওয়াকারকে কমেন্ট্রিতে খুব বিব্রত করেছিলেন ওয়াসিম।
অস্ট্রেলিয়াতে তখন দু’জনেই কমেন্ট্রি বক্সে। সেই সময় কী জানি কেন, ওয়াকার ইউনিস হাস্যকর এক অস্ট্রেলীয় উচ্চারণে কমেন্ট্রি করছিলেন।
সেই প্রসঙ্গের জের ধরেই ওয়াসিম বলেছিলেন, “ভাই ওয়াকার! তুমি তো অস্ট্রেলীয় হয়ে গিয়েছ! আজকাল নিজের বাড়ির লনটাও অস্ট্রেলীয়দের মতো নিজেই কাটো!” শোনা মাত্রই ওয়াকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আর তাতেই খুব মজা পেয়েছিলেন ওয়াসিম।
একটা সময় ছিল যখন একই ভাবে তাঁকেও কম বিব্রত করেননি ভারতীয় ফ্যানেরা। প্রায়ই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হত কেন তিনি ষোলো বছর বয়সি সচিন তেন্ডুলকরের প্রথম টেস্ট ম্যাচে হেলমেট লক্ষ করে বল করেছিলেন। সিমি গারেওয়াল তাঁর শো-তেও একই প্রশ্ন করেন। ওয়াসিমের জবাব ছিল, সচিনের বয়স তখন ষোলো ছিল ঠিকই। কিন্তু তাঁর নিজের বয়সও তো তখন মাত্র কুড়ি। কুড়ি বছরের পেস বোলার তো অমন বল করবেই।
সেই শো-টা নিয়ে কিন্তু অন্য একটা কারণে ওয়াসিম আক্রম যথেষ্ট বিরক্ত হয়েছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল ইচ্ছে করে সেটের লাইটিং এমন করা হয়েছিল যাতে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রী হুমার মুখের রুক্ষ দিকগুলো প্রকাশ পায়। কিন্তু সিমি গারেওয়াল নিজের উপর দিব্যি সফ্ট ফোকাস ব্যবহার করেছিলেন।
আজকে ওয়াসিম আর গ্লেন কোথাও যেন এক হয়ে গিয়েছেন। দু’জনের জীবনেই এক মর্মান্তিক মিল। তাঁরা দু’জনেই বিপত্নীক। আজ ছেলে-মেয়েদের একা হাতেই মানুষ করছেন কিংবদন্তি দুই ফাস্ট বোলার। চল্লিশ পেরোতে না পেরোতেই চেন্নাইতে মারা যান হুমা আক্রম। সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে আর পৌঁছতে পারেননি হুমা। রেখে যান দুই ছেলে তৈমুর আর আকবরকে। সঙ্গে ভেঙে পড়া ওয়াসিম।
হুমার কাছাকাছি যাতে সারা জীবন থাকা যায় তাই তাঁর মৃত্যুর পরই হুমার পারিবারিক বাড়ির কাছে নতুন বাড়ি কেনেন ওয়াসিম। আজও ক্রিকেট কমেন্ট্রির মধ্যে মধ্যে আপ্রাণ চেষ্টা করেন যাতে দুই ছেলের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো যায়। ওয়াসিমের কাছে হুমার এই চলে যাওয়া এক অপূরণীয় ক্ষতি। এমন কঠিন পরীক্ষার মুখে হয়তো ক্রিকেট মাঠেও কখনও পড়তে হয়নি তাঁকে। সেই যন্ত্রণার জেরেই আজকের ওয়াসিম কিছুটা হলেও উদাস। তারুণ্যের সেই প্রাণবন্ত আর উচ্ছল ওয়াসিম কোথাও যেন আজ অতীত।
গ্লেনও তাই। গ্লেনের স্ত্রী জেন অনেক দিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। রেখে গিয়েছেন আট আর দশ বছরের দুই সন্তানকে।
তাঁর চলে যাওয়ার পর হাজার হাজার সান্ত্বনা-জানানো এসএমএস পেয়েছিলেন গ্লেন। তবে মানুষকে চেনা যায় অন্য একটি কারণে। আশ্চর্যের ব্যাপার, যাঁরা এসএমএস করে সমবেদনা জানিয়েছিলেন, তাঁদের সবার এসএমএস-এর উত্তর গ্লেন নিজেই দিয়েছিলেন। এসএমএস-এই তাঁর জীবনের এই বিশেষ মানুষটির সম্বন্ধে অনেক কথা শেয়ার করেছিলেন।
আজকের গ্লেন তাঁর ক্ষতিকে সামলেছেন ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে। অস্ট্রেলিয়ায় ক্যানসার চিকিৎসার অন্যতম প্রতিষ্ঠান এটি। সিডনি টেস্টের গোলাপি হওয়ার কারণও সেটাই। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি আর ফাউন্ডেশনের ফান্ড বাড়ানো।
টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলোয়াড়, ঘোষক, এমনকী দর্শকদেরও উৎসাহিত করা হয় গোলাপি রঙের পোশাক পরতে। কয়েক লক্ষ টাকা ওঠে ফাউন্ডেশনের জন্য। এখন গ্লেন নিরলস ভাবে তাঁর সেই ফাউন্ডেশনের কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। বিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়া জিঙ্ক ক্রিম মাখা দানব যাঁকে টিভিতে দেখা যেত, সেটা শুধু উপরের প্রলেপটুকুই।
বাস্তবে পেস বোলাররা আসলে ‘জেন্টল জায়ান্ট’। তাঁদের সমস্ত আগ্রাসন শুধু বাইশ গজেই।
আর হ্যাঁ, আসল পুরুষমানুষ বলেই তাঁরা কিন্তু গোলাপি রং পরতে ভয় পান না। |
|
|
|
|
|