ফের গুলি রিষড়ায়। এ বার এক ঠিকাদারের দু’পায়ে গুলি করল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। গুলিবিদ্ধ ঠিকাদারের নাম দীপক কর্মকার। তিনি রেল লাইনের ধারে রং প্রস্তুতকারী সংস্থায় শেড খোলার কাজে নিযুক্ত। দীপকবাবুকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দু’য়েক ধরে ওই কারখানায় শেড খোলার কাজ চলছে। ওই কাজ পায় অমিয় কর্পোরেশন নামে কলকাতার একটি সংস্থা। তারা আবার দীপকবাবুকে ওই কাজের বরাত দেয়। দীপকবাবুর বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজারে। এ দিন কাজ চলছিল। বিকেল ৫টা নাগাদ কারখানার গেট থেকে বেরোতেই ৪ দুষ্কৃতী দীপকবাবুকে ঘিরে ধরে। মাথায় রিভলভারের বাঁট দিয়ে আঘাত করে। মাথা ফেটে যায়। এর পরেই দুই উরুতে দু’টি গুলি চালিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি লুটিয়ে পড়েন। দুষ্কৃতীরা পালায়। খবর পেয়ে রিষড়া থানার ওসি দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
দীপকবাবু জানান, মালদহের মতো দূরবর্তী জেলা থেকে তিনি এখানে কেন কাজ করতে এসেছেন, সেই প্রশ্ন করে দুষ্কৃতীরা। তারপরেই গুলি চালায়। হাসপাতালে শুয়ে তিনি বলেন, “এমনটা জানলে এখানে কাজে আসতাম না। সুস্থ হলেই ফিরে যাব।” পুলিশের একাংশের অনুমান, বাইরের ঠিকাদার এসে এলাকায় কাজের বরাত পাওয়ায় স্থানীয় কিছু লোকের স্বার্থে ঘা পড়ে। ভয় দেখাতেই ওই যুবককে গুলি করা হয়। অন্য কারণ আছে কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কিছু দিন আগেই রিষড়া স্টেশনে ট্রেনের মধ্যেই স্থানীয় পুরসভার এক প্রভাবশালী কাউন্সিলরকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ওই কাউন্সিলরেরও পায়ে গুলি করা হয়েছিল। পুলিশের অফিসারেরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, রিষড়ায় রেল লাইনের ধারে একটি রবার কেমিক্যাল কারখানার একটি আবাসন বিক্রির পরে টাকার বখরা নিয়ে হাজতে থাকা কুখ্যাত দুষ্কৃতী রমেশ মাহাতোর বিরাগভাজন হন সংশ্লিষ্ট লোকজন। এর পরেই ওই কাউন্সিলরকে ‘সমঝে দিতে’ পায়ে গুলি করে ওই দুষ্কৃতীরা। |