বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে জনসচেতনতা তৈরির কাজ করছে ‘স্নেহা’ (সোসাইটি ফর নেচার এডুকেশন হেলথ অ্যাওয়ারনেস)। ইতিমধ্যে এই সংগঠন জলদাপাড়া, খাউচাঁদপাড়া, জলঙ্গি বিট, সাঁতালী বনবস্তি, গরুমারা সংলগ্ন সরস্বতীপুর, রামসাই বনবস্তি-সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে শিবির করেছে। নাটক, সেমিনার, বিতর্কসভা, তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, সুস্থ থাকার কর্মবিধি, পরিবেশের প্রভাব নিয়ে প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া করলার দূষণ সমস্যা ও তার প্রতিকারের উপায়, বন দফতরের হাতি কি ভাবে কাজ করে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র ‘জলসুন্দরীর কথা’ এবং ‘মাহুত বন্ধু রে’। |
প্রসূতিরা কি কি সরকারী সাহায্য পেতে পারেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘সুস্থ জীবনের জন্য’। জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থায় অরণ্য সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা আর্থ-সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে ‘টাই অফ ফ্রেন্ডশিপ’ বা ‘মৈত্রীর বন্ধন’-এ। দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নায়ডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে রেড পান্ডা, স্নো লেপার্ডের মতো বিরল প্রাণীদের প্রজননের মাধ্যমে সংরক্ষণের বিষয়, চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রাণীর খাদ্যাভাস, খাদ্য সরবরাহের প্রণালী, চিকিৎসা পদ্ধতি এ সব কিছুই ধরা রয়েছে ‘মিশন সারভাইভাল’ বা ‘নতুন পৃথিবী’ তথ্যচিত্রটিতে। |