ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া বল কুড়োতে নেমেছিল আট বছরের শিশুটি। হঠাৎ মুখোশ পরা এক যুবককে দেখে চমকে ‘চোর’ বলে চেঁচাতেই ঘটল বিপত্তি। শিশুটিকে চেপে ধরে গলায় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে চম্পট দিল মুখোশধারী। শিশুটি বেঁচে গেলেও সোমবারের এই ঘটনার পরে কার্যত আতঙ্কে রয়েছেন বি ই কলেজ এলাকার এক আবাসনের বাসিন্দারা।
পুলিশ জানায়, বি ই কলেজ ফার্স্ট গেটের সামনে একটি চারতলা আবাসনে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন বালি জুট মিলের সুপারভাইজার সুধীর সিংহ। সোমবার ফ্ল্যাটের ছাদে প্রতিবেশী বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছিল তাঁর বড় ছেলে যশোবর্ধন। ছাদ থেকে বল পড়ে গেলে তা কুড়োতে যায় সে। অভিযোগ, নীচে মুখোশ পরা এক যুবককে ঘুরতে দেখে চমকে ওঠে শিশুটি। |
দুষ্কৃতীর ধারালো অস্ত্রে শিশুজখম হাওড়ায়। |
পুলিশ জানায়, মুখোশ পরা যুবকটি শিশুটির নাম জানতে চায়। নাম বলেই ‘চোর’ বলে চেঁচিয়ে ওঠে যশোবর্ধন। তখনই তার গলায় আঘাত করে পালায় ওই দুষ্কৃতী। যশোবর্ধনের চিৎকারে ছুটে আসেন অন্য বাসিন্দারা। হাসপাতালে তার গলায় তিনটি সেলাই করা হয়। রাতে শিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
পুলিশ জেনেছে, ঘটনার সময়ে আবাসনের গেটে নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। কোনও সিসিটিভিও নেই। ফলে কে ঢুকেছিল, স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। প্রোমোটিং ও সিকিউরিটি এজেন্সির বিষয়ে সুধীরবাবুদের পারিবারিক ব্যবসা। সংক্রান্ত বা ব্যক্তিগত কারণে এই ঘটনা কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সুধীরবাবুর স্ত্রী শ্বেতা জানান, বাচ্চারা খেলার সময়ে তিনি ও অন্য মহিলারা ঘরে গল্প করছিলেন। যশোবর্ধনের চিৎকারে গিয়ে দেখেন, তার গলা দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। শিশুটির কাকা মিন্টু সিংহ বলেন, “আমি ও দাদা অফিসে ছিলাম। খবর পেয়েই হাসপাতালে যাই। কে এ কাজ করল, বুঝতে পারছি না।” হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার অজেয় রানাডে বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।” |