ত্রিপুরা হাইকোর্টের উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
অবশেষে ত্রিপুরার দীর্ঘ দিনের একটি দাবি পূরণ হল। ত্রিপুরা হাইকোর্টের উদ্বোধন হল। যাঁর হাত ধরে হাইকোর্টের উদ্বোধন হল, সুপ্রিম কোর্টের সেই প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরের কথায়, ‘‘রাজ্যের বহু দিনের দাবি পূরণ হয়েছে, তা বলব না। বরং বলব পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার পর নিজস্ব হাইকোর্ট প্রাপ্তির মাধ্যমে রাজ্যের নিজস্ব একটি অধিকার প্রতিষ্ঠা হল।’’ তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আইনের সাহায্য নেওয়ার অধিকার রয়েছে। এটা বাস্তবায়িত করার জন্য দেশে একটি ‘আইনি আন্দোলন’ চলছে। |
|
ত্রিপুরায় নতুন হাইকোর্ট উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের
প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীর ও ত্রিপুরার প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্ত। |
কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবে দেশের দরিদ্র মানুষকে আইনি সাহায্য দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন, তার ব্যাখা করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “রাজ্যের সর্ব স্তরে, এমনকী প্রত্যন্ত অঞ্চলে দরিদ্র মানুষ যাতে দেশের আইনি ব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারেন, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে রাজ্যের জেলা স্তরে ‘প্যারা-লিগাল ভলানটিয়্যার’ নিযুক্তি এবং এবং ‘লোক আদালত’ গঠন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি জেলার জন্য ১ কোটি টাকা করকে বরাদ্দ করছে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আফতাব আলম, ত্রিপুরা হাইকোর্টের সদ্য নিযুক্ত প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্ত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ কে গোয়েল প্রমুখ। |
|
হাইকোর্টের নতুন ভবন। |
ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার প্রায় ৪০-৪২ বছর পর রাজ্যের নিজস্ব হাইকোর্টের দাবি পূরণ হয়েছে। সারা রাজ্যে এখনও প্রায় ৫৫ হাজার মামলা অমীমাংসিত অবস্থায় রয়েছে। এ কথা উল্লেখ করে গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এ কে গোয়েল বলেন, ‘‘গুয়াহাটি হাইকোর্টে বছরে ৩ হাজার মামলার মীমাংসা হয়। সেখানে ত্রিপুরা হাইকোর্টে ৬৭০০ মতো মামলা পড়ে রয়েছে। আশা করি এর দ্রুত মীমাংসা হবে।’’
|
ছবি উমাশঙ্কর রায়চৌধুরী |
|