সবার রঙে রং মেশাতে |
|
|
|
হাতে বন্ধুত্বের রং। চোখে মুখে আবির। এই প্রথম একসঙ্গে।
স্বস্তিকা ও পাওলি। এক্সক্লুসিভ ফোটোশ্যুট আনন্দplus-এর জন্য |
ছবি: দেবাশিস মিত্র; স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের মেক আপ ও হেয়ার: নবীন দাস; স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের স্টাইলিং: অজপা মুখোপাধ্যায়; স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের জুয়েলারি: স্টুডিও আই; পাওলির মেক আপ: অনিরুদ্ধ চাকলাদার; পাওলির স্টাইলিং: স্যান্ডি; পাওলির হেয়ার: শ্যামলী দাস; পরিকল্পনা: গৌতম ভট্টাচার্য; রূপায়ণ ও বিন্যাস: ইন্দ্রনীল রায় |
|
পাকা রং, কাঁচা ভালবাসা
তারকারা কে কাকে রং দেবেন? দোলের দিন কোন স্মৃতি তাঁদের তাড়িত করে? শুনলেন সংযুক্তা বসু |
শ্রাবন্তী
শাহরুখের সঙ্গে রং খেললে বেশ হত
রং দেখলে আমার পাগল পাগল লাগে। দোলে রং খেলব না এটা ভাবতেই পারি না। ছোটবেলায় কোনও ছেলেই রং মাখাতে পারেনি। কী করে পারবে?
আমাদের সাত বোনের ওপর এক দাদা ছিল, সে দোলের দিন পাহারায় থাকত যাতে বোনেদের গায়ে বাইরের ছেলেরা রং না দেয়। আমরা বাড়ির ভিতর ফুলটু মস্তিতে দোল খেলতাম। বেহালায় আমাদের বাড়ির সামনে ছিল বয়েজ স্কুল। স্কুলের ছেলেরা আমাদের রং দেবে বলে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকত। কিন্তু দিতে পারত না। বোনেরা মিলে ওপর থেকে তাদের দিকে রং-জল ভরা বেলুন ছুড়তাম। এখন আমার যাদের সঙ্গে খুব দোল খেলতে ইচ্ছে করে তাদের মধ্যে শাহরুখ খান অবশ্যই এক জন। বেশ হত যদি ওর সঙ্গে দোল খেলতাম।। আর শাহিদ কপূরের সঙ্গে দোল খেললেও মন্দ হয় না।
আজ দোলে: আমার দিদির বাগানবাড়িতে বড় করে দোল হচ্ছে। সেখানে আমিই রান্নাবান্না করব। খুব মজা হবে সারাদিন। |
|
সৃজিত মুখোপাধ্যায়
মেয়েরা চায় পাকা রং দিতে
আমার বয়স তখন ঠিক আঠারো। আমাদের হাউজিংয়ের একটি মেয়েকে আবির মাখিয়েছিলাম। একটু টেনশন তো হয়েই ছিল। রং দেওয়া তো শুধু রং দেওয়া নয়। তার ভেতর আর একটা অন্য কিছু কথা বলার ইঙ্গিত ছিল। তো যাই হোক মেয়েটি কিন্তু দূরে সরে যায়নি। আপত্তিও করেনি। বরং সেও রং দিয়েছিল। তবে বাদুড়ে রং দিয়েছিল। বড্ড বিচ্ছু মেয়ে ছিল। আসলে মেয়েরা এই রকমই। তারা চায় এমন রং দিতে যাতে সে রং অনেক দিন গায়ে লেগে থাকে, মনেও। আর ছেলেরা দেয় আবির। একবার স্নান করলেই উঠে যায়। তারা অত পাকা রং দেওয়া পছন্দ করে না। দোল আমার কাছে খুব প্রিয় উত্সব। জেএনইউ-তে যখন পড়তাম তখন জমিয়ে হোলি খেলেছি। সেখানে আয়োজন করে ভাং নিয়ে আসা হত হোলির দিন। পরবর্তী কালে অনেক মেয়েকেই দোলে আবির দিয়েছি। কিন্তু স্মৃতির রং বা রঙের স্মৃতি বলতে কিন্তু আমার কাছে সেই আঠারো বছরের দোল।
আজ দোলে: এডিটর বোধাদিত্য মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নতুন ছবির এডিটিং-এ ব্যস্ত থাকব। বোধাদিত্য ছাড়াও দোল খেলব আমার এডিটিং মেশিনের সঙ্গে। এখন নতুন নতুন মেয়েদের বদলে নতুন নতুন চিত্রনাট্যের সঙ্গে দোল খেলতে ইচ্ছে করে। বাংলা ছবিকে রাঙিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। আঁতলামো মনে হচ্ছে? তা হলে বলি আমার দোল খেলতে ইচ্ছে করে মোনিকা বেলুচি বা সালমা হায়েকের সঙ্গে। কিন্তু সেখানেও অনেক মুশকিল। রং মাখাতে গেলে ওঁরা প্রশ্ন তুলবেন কেন আমি এ ভাবে রং মাখাচ্ছি। উত্সবের তাত্পর্যটা যে কী বোঝাতে বোঝাতেই বেলা গড়িয়ে যাবে। |
|
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়
বেনাড্রিল দিয়ে দোল খেলা
তখন সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। রং কাকে মাখাব সব ঠিকঠাক। শুধু আবিরটুকু লাগাতে পারলেই হল। ঘটনাক্রমে সে মেয়ে আমার বৌ চূর্ণী। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোতেই পারলাম না। বাবা আটকে দিলেন। সারাটা সকাল জানলার ধারে বাবু হয়ে মুখ গোমড়া করে বসেছিলাম। দেখছিলাম রাস্তায় সবাই তাদের মনের মতো মানুষকে রং মাখাচ্ছিল। পুরো দোলটাই ডিপ্রেসড হয়ে কেটেছিল। তার পরের বছর বাবার নিষেধ মানিনি। বেরিয়ে পড়েছিলাম। গিয়েছিলাম চূর্ণীদের বাড়িতেই দোল খেলতে। সেখানে গিয়ে দোলের রোম্যান্স উধাও। আবির, রাধাকৃষ্ণ সব ভুলে গেলাম। চূর্ণীর মতো শান্ত মেয়ে এমন উদ্দাম ভাবে দোল খেলবে ভেবে উঠতে পারিনি। বাদুড়ে রং থেকে, বেনাড্রিল সিরাপ, চিংড়ি মাছ ধোয়া জল সব কিছু দিয়েই দোল খেলেছিল ও। সে এক সাঙ্ঘাতিক দোল। খুব ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তবে মনে মনে খুব আনন্দই হয়েছিল। চূর্ণীর সেই দোল খেলা বসন্তের উদ্দামতা ভেবেই ভাল লেগেছিল।
আজ দোলে: আমাদের বাড়ির ছাদে। ফুলের পাপড়ির আবির দিয়ে। দেখে মনে হয় খেয়ে নিই এত সুন্দর রং আর গন্ধ। গানবাজনা হবে। সুর আর সুরা দুইই থাকবে। আমার বাড়ির গ্রে রঙের টাইলস লাগানো মেঝে নানা রঙের ছাপে ভরে যাবে। খেলা শেষ হতে হতে তিনটে তো বাজবেই। তার পর মাংস-ভাত আর স্নানের পালা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বড়রা স্নান করবে আগে। ছোটরা তো চাইবে তাদের গায়ের রং যাতে না ওঠে। পরের দিন স্কুলে গিয়ে দেখাতে হবে তো কী জব্বর রং খেলা হয়েছে। |
|
দেব
মেক আপের রঙে হোলি
কোনও দিনই দোল খেলার কোনও নেশা ছিল না। মুম্বইতে যখন থাকতাম বাড়িতে বসে মা-বাবা-বোনের সঙ্গেই দোল খেলতাম। কলকাতায়ও রং খেলতে খুব ভয় পাই। আজেবাজে রঙ দিয়ে দোল খেলা হয়। তা ছাড়া শ্যুটিং-এ বেরোতে গেলে দোলের রং তো গায়ে থাকলে চলবে না। কোনও দিন কোনও মেয়েকে রং মাখিয়েছি বলে মনে পড়ে না।
তবে একটা দোলের স্মৃতিই আমার খুব মনে পড়ে। মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলাম ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’র শ্যুটিংয়ে। সেটা ছিল শ্যুটিংয়ের শেষ দিন। আমরা পুরো ইউনিট মেক আপের রং দিয়ে দোল খেলেছিলাম। দোল খেলতে খেলতে রাস্তায় নেমে পড়েছিলাম। স্থানীয় লোকজন হাঁ হয়ে আমাদের কাণ্ডকারখানা দেখছিল। খুব মজা হয়েছিল সেই দোলে। সেই দোলে শুভশ্রীও ছিল। কিন্তু তখনও ওর সঙ্গে তত বন্ধুত্ব হয়নি।
আজ দোলে: হায়দরাবাদে থাকব ‘রংবাজ’ ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য। ছবির পরিচালক রাজা চন্দের থেকে আমি ইন্ডাস্ট্রিতে সিনিয়র। বলা যায় না ইচ্ছে হলে ওকে রং মাখিয়ে দিতে পারি। |
|
রূপঙ্কর
বৌদিকে রং মাখিয়েছিলাম
যৌবনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রচুর মেয়েকে রং মাখিয়েছি। মেয়েরা বরাবরই আমার খুব ফ্যান। গানের জন্য নয়, আমি ছিলাম দুর্দান্ত ফাস্ট বোলার। সেই কারণেই মেয়েরা আমাকে পছন্দ করত।
ক্লাস ইলেভেনে যখন পড়ি, পাড়ার একটা বাড়িতে ঢুকে বৌদিকে রং মাখিয়েছিলাম। প্রথমে মুখে রং মাখাই। তার পর সারা গায়ে। বৌদি প্রথমে মোটেই রাজি হননি রং খেলতে। কিন্তু আমি ও ভাবে আপাদমস্তক রং দেওয়ার পর তিনিও আমাকে প্রচণ্ড রং মাখিয়েছিলেন। প্রথমে মুখে, তার পরে সারা গায়ে। যদি দাদা বাড়িতে থাকতেন আমাকে আর ও ভাবে
রং মাখাতে হত না। ধরে মার দিত সোজা। ভাগ্যিস দাদা তখন বাইরে গিয়েছিলেন।
আজ দোলে: পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে। এখানেই দোলের আয়োজন। আমার স্ত্রীও আছে। আছেন আরও বেশ কয়েক জন মহিলাও। তাদের সকলের সঙ্গেই দোল খেলব। শুধু দোল খেলব বললে ভুল হবে, রঙে চুবিয়ে দোল খেলব। আর নেশা? নেশা ছাড়া দোল হয় নাকি? সকাল থেকে নেশা, সেই নেশার ঘোর কাটবে দোল পূর্ণিমার রাত পেরিয়ে কাল সকালে। |
|
মিমি চক্রবর্তী
শিবঠাকুরকে রং মাখাতে চাই
উত্তরবঙ্গে খুব জমজমাট দোল খেলতাম। বাড়ির লোকজন, কাজিনরা, তাদের বন্ধুরা মিলে। খুবই হইচই হত। বন্ধুবান্ধব বাদ দিয়ে প্রথম অচেনা পুরুষ বলতে যাকে রং মাখিয়েছিলাম সে হল সুদীপ নামের এক ছেলে। আমার প্রথম সিরিয়ালে অভিনয় করেছিল। দোলের একটা সিনে ওকে রং মাখাতে হয়েছিল। তেমন বিশেষ কোনও অনুভূতি হয়নি। কী করেই বা হবে? চার বার ওই রং মাখানোর দৃশ্যটা এন জি হয়েছিল। আর প্রচুর বকুনি খেয়েছিলাম শট ওকে হচ্ছিল না বলে। মনে মনে যাকে খুব রং মাখাতে ইচ্ছে করে তিনি হলেন শিবঠাকুর। আমি শিবঠাকুরের খুব ভক্ত। জানি পার্বতী রেগে যেতে পারেন এতে। কিন্তু যদি কোনও দিন সুযোগ পাই পার্বতীকে বলে নিয়েই শিবঠাকুরকে রং দেব।
আজ দোলে: কলকাতার বাইরে বেড়াতে এসেছি মা-বাবার সঙ্গে। কোথায়? সেটা বলা যাবে না। |
|
সোমলতা আচার্য চৌধুরী
বয়ফ্রেন্ডের জন্য মন কেমন করত দোলের দিন
বয়ফ্রেন্ড যখন জীবনে এল তার সঙ্গে দোল খেলতে খুব ইচ্ছে করত। ঘটনাক্রমে তার সঙ্গেই আমার বিয়ে হল। সেটা পরের কথা। আসানসোলে মামার বাড়ির কাছে ও থাকত। কলকাতায় থাকতাম আমি। কলকাতার বন্ধুরা সকলেই চাইত আমি এখানেই দোলটা কাটাই। বাড়ির লোকজনেরও সেটাই ইচ্ছে থাকত। তাই প্রায় দোলেই কলকাতায় থেকেছি। কিন্তু মন পড়ে থাকত আসানসোলের রং-এ। শেষ দু’তিন বছর আমি আসানসোলে গিয়ে ওর সঙ্গে দোল খেলি। প্রথম যে দিন ওকে রং দিলাম সেদিনের কথা ভুলতে পারব না। দারুণ একটা অনুভূতি হয়েছিল। আমি আবির পছন্দ করলেও আমার বয়ফ্রেন্ড খুব হুল্লোড়বাজ ছিল। সে বাদুড়ে রং-এর সঙ্গে ডিমটিম মাখিয়ে রং তৈরি করে গায়ে দিত।
আজ দোলে: মাস চারেক হল আমার বিয়ে হয়েছে। বয়ফ্রেন্ড এখন স্বামীরূপে গুরগাঁওতে পোস্টেড। আর আমি কলকাতায়। যেতে পারলাম না। মার্চ মাসের প্রথমেই একবার ঘুরে এসেছি। কলকাতাতেই বন্ধুদের সঙ্গে দোল খেলতে খেলতে ওর কথা মনে হবে। |
|
তনুশ্রী
এ বার দোলে স্পেশাল কে বলব না
যখন টিন এজ এল মামার বাড়ির পাড়ায় দোল খেলতে যেতাম। সেখানে একটি ছেলের মনে হয় আমার প্রতি ‘ক্রাশ’ তৈরি হয়েছিল। অপরিচিত ছেলে বলতে সেই আমাকে প্রথম ‘সে ভাবে’ রং দেয়। আমি বোঝার আগেই সে রং লাগিয়েছিল। আর তাতেই বুঝেছিলাম এ রং-এর মানে আলাদা। আমার যে দু’তিন জন ছেলের প্রতি ক্রাশ ছিল তাদের সত্যি কথা বলতে কি জীবনে রং দেওয়া হয়ে ওঠেনি। সোজা কথায় তাদের রং দেওয়ার মতো সাহস বা স্মার্টনেস আমার তৈরি হয়নি। হয়তো চাইনি মনের গোপন ইচ্ছে তাদের কাছে ধরা পড়ে যাক। দোল এলে মনের ভেতর কেমন একটা যেন অনুভূতি এখনও হয়। কীরকম সেই অনুভূতিটা বোঝাতে পারব না। এখনও আমার বেশ কিছু মানুষকে উজাড় করে রং দিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তারা কারা বলব না।
আজ দোলে: কলকাতাতেই আছি। বন্ধুবান্ধবেরা বাড়িতে আসবে, তাদের সঙ্গেই দোল খেলব। এই বন্ধুবান্ধবের মধ্যে স্পেশাল কেউ আছে কিনা বলব না। স্পিকটি নট। |
|
অঙ্কুশ
ইচ্ছে ছিল আবির দিয়ে সিদুঁর পরাব
ক্লাস এইটে যখন পড়ি তখন একটি মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম হয়। কিন্তু বাড়িতে মুখে সে কথা বলার সাহস ছিল না। সেই মেয়েকে রং দেওয়ার ইচ্ছেটা যখন প্রবল হয়ে দাঁড়াল আমার বন্ধুবান্ধবেরা খুব সাহায্য করেছিল। মা-বাবাকে বন্ধুরা ফোন করে বলেছিল, তাদের কারও এক জনের বাড়িতে রং খেলা আর খাওয়াদাওয়া হবে। সেখানেই আমার প্রেমিকাকে ডাকা হয়েছিল। রং দিয়েছিলাম মন ভরে। কলেজে পড়ার সময় আর একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম হয়। দোল খেলাটা তাদের বাড়ির ছাদেই হয়েছিল। জব্বর ভাবে হোলি খেলেছিলাম তার সঙ্গে। ইচ্ছে ছিল আবির দিয়ে সিদুঁর পরিয়ে দেব। কিন্তু সেটা সাহসে কুলোয়নি।
আজ দোলে: বর্ধমানে আছি। এখানেই ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে দোল খেলব জমিয়ে। গত তিন-চার বছর শ্যুটিং থাকার দরুণ দোল খেলতে পারিনি। এ বার শ্যুটিং নেই। কিন্তু আমার বন্ধুবান্ধবের দলে কোনও মেয়ে নেই। রং মাখাব এমন কোনও ব্যক্তিগত বান্ধবীও নেই। দু’বার প্রেম করে যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। |
|
ঋধিমা
স্লো-মোশন হোলি
ক্লাস টেনে যখন পড়তাম তখন একজনকে আমার খুব মনে ধরেছিল। সিনেমায় যে রকম দোল হয়, হিরো হিরোইনকে রং মাখাবার সময় দৃশ্যটা স্লো মোশন হয়ে যায়, ঠিক সেইরকমই রং দিয়েছিলাম আমরা। বুকের ভেতর ঢিপঢিপ করছিল একটু। কিন্তু কোনও অন্যায় তো করিনি। শুধুই রং খেলেছিলাম।
আজ দোলে: কলকাতাতে আছি। সারাদিন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে প্রচুর আড্ডা হবে। তবে রং খেলব না। শ্যুটিং আছে কয়েকদিন পরেই। |
|
|