আমতার গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছে হরিনাম সংকীর্তন। কোথাও অষ্টপ্রহর, কোথাও ষোল প্রহর। হরিনামের পালা-গানে আমাদের আপত্তি নেই। পালাগান শুনতে বেশ ভালই লাগে। কারও ধর্মে আঘাত নয়। আমাদের প্রশ্ন মালসা ভোগ নিয়ে। প্রায়ই শুনি মালসা ভোগ খেয়ে অসুস্থ হওয়ার কথা। আমতার মহিষামুড়ি গ্রামের মালসা ভোগ খেয়ে ২০১০ এবং ২০১২ সালে শিশুসহ প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ বছরও আমতার চানুলিয়া গ্রামে এই ভোগ খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন প্রায় শ’তিনেক মানুষ। তদন্তে দেখা গেছে মালসা ভোগের ব্যবহৃত জল থেকেই রোগ ছড়ায়। এ ছাড়া, চিঁড়ে ও গুড় থেকেও ভোগ খারাপ হতে পারে। সকলের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আমরা চাই, মালসা ভোগের জল-চিঁড়ে-গুড় পরীক্ষা করে নেওয়া হোক। থানায় থাকুক তদন্ত কমিটি। এ বিষয়ে আমি গ্রামীণ পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
দীপঙ্কর মান্না। আমতা।
|
ডানকুনি কোল কমপ্লেক্স-সংলগ্ন বিশাল মাঠটির জল নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় মাঠটি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। বর্ষাকালে জমা অতিরিক্ত জল বেলানগর ডানকুনির মাঝে বিশাল জলাশয়গুলি সেই জল ধারণ করত। বর্তমানে ওই জায়গায় রেলের দুটি কারখানা নির্মিত হচ্ছে। এতে অঞ্চলটির আমূল পরিবর্তন ঘটবে ঠিকই, তবুও জল নিকাশির বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার। বর্ষায় বেলানগর, ডানকুনি, গরলগাছা ও জগদীশপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। অন্যদিকে হাওড়া ও হুগলির সীমানা নির্দেশক নালাটি মজে গেছে। ওই নালা সংস্কার করে বালিখালের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত করলে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। এই বিষয়ে অবিলম্বে হুগলি ও হাওড়া জেলার সেচ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। মজে যাওয়া নিকাশি নালাটির সংস্কার চাই।
লক্ষণ সাঁতরা। দাদপুর, হুগলি।
|
হাওড়া পাঁচলার রঘুদেবপুর সূভাষস্মরণি অর্থাৎ পাঁচলা মোড় থেকে ফিডার রোড বাউড়িয়া ডোমজুড় পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে সাধারণের চলাচলের রাস্তা মূল রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করে চওড়া করা হচ্ছে। ফলে সাধারণের চলাচলের বিন্দুমাত্র রাস্তা নেই। রাস্তার উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করার জন্য যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, রাস্তা চওড়া হোক। কিন্তু পাশ দিয়ে অন্তত ৩-৪ ফুট সাধারণের চলাচলের জন্যে ফুটপাথ থাকুক, না হলে পথ চলাচল করা বিপজ্জনক হয়ে পড়বে। সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
সুপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। রঘুদেবপুর।
|
হরিপাল হাওড়া-তারকেশ্বর রেল লাইনের একটি জনবহুল স্টেশন। এই স্টেশনে যতগুলি রাস্তা এসে মিশেছে, তার মধ্যে হরিপাল স্টেশন থেকে জেজুর ভায়া হড়া-গোপীনগর সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা। এই রাস্তায় মোটর বাইক, মোটর ভ্যান, ট্রেকার, লরি অহরহ চলে। কিন্তু রাস্তাটির অবস্থা বহু দিন ধরে খুবই খারাপ। খানা-খন্দে ভর্তি। হেঁটে চলাচল করা ভীষণ বিপজ্জনক, স্কুল, কলেজ, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস এবং আরও অনেক সরকারি দফতর ওই রাস্তায় রয়েছে। প্রত্যহ কিছু না কিছু দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। যে কোনও মুহূর্তে বড় রকমের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। উপরোক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
জয়দেব বিশ্বাস। হড়া, হরিপাল। |