র‌্যাম্প থেকে পার্টিতে
ড়িতে তখনও বারোটা বাজেনি।
দিল্লির রাস্তা তবুও বেশ নিঝুম। কিছু ক্ষণ আগেই প্রগতি ময়দানে শেষ হয়েছে ‘উইলস ইন্ডিয়া লাইফ স্টাইল ফ্যাশন উইক’-এর প্রথম দিনের শো। আর তার পর সবাই যাচ্ছেন ‘ফ্যাশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’র তরফে আয়োজিত এই সিজনের প্রথম আফটার পার্টিতে। যেখানে ফ্যাশন দুনিয়ার সবাই সংবর্ধনা জানাবেন ডিজাইনার রিতু কুমারকে। তাঁর পদ্মশ্রী পাওয়ার আনন্দেই এই উদ্যোগ।
কলকাতা ছেড়ে দিল্লি যাওয়ার আগে পইপই করে বলা হয়েছিল যে আজকাল দিল্লি মেয়েদের জন্য খুব একটা সুরক্ষিত নয়। নিজে সে ভাবে ভয় না পেলেও, সতর্কবার্তাটা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়নি। পার্টিটা হওয়ার কথা ছিল মেহেরাউলির এক রেস্তোরাঁতে।
মেহেরাউলি নামটা শুনেই দু’টো কথা প্রথমেই মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় কুতুব মিনার দেখতে যাওয়া এই মেহেরআউলিতেই। সেই স্মৃতিটা আবছা হয়ে যাওয়ার আগেই মেহেরাউলির আর একটা ঘটনা মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল।
জেসিকা লাল হত্যা কাণ্ড। ১৯৯৯ সালের ২৯ এপ্রিল। সেই অভিশপ্ত রাতে জেসিকা নামে এক মডেল খুন হন। এই কুতুব কোলোনেড-এর ‘ট্যামারিন্ড কোর্ট’ নামের এক বারে।
তালিয়া বেন্টসন
রাত বারোটার একটু আগে প্রগতি ময়দান থেকে গাড়ি ছুটল মেহেরাউলির দিকে। দিল্লির ট্র্যাফিক জ্যাম নেই তখন। রাস্তা বেশ ফাঁকা। প্রায় আধ ঘণ্টা থেকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে গাড়ি ঢুকল মেহেরাউলিতে। কিছু দূর গিয়ে ডান হাতে একটা বাঁক। গাঢ় কালো অন্ধকারের মধ্যে বাঁ দিকে একটা প্রকাণ্ড ছায়ার মতো দাঁড়িয়ে কুতুব মিনার। আবার পরের দিনের ট্যুরিস্টের অপেক্ষায়।
আর ডান দিকে অলিভ। এখানেই আয়োজিত হচ্ছে প্রথম আফটার পার্টি। লম্বা লম্বা বিদেশি গাড়ির ভিড় ঠেলে রিসেপশনে পৌঁছতে খানিকটা সময় লাগে। গেটে প্রত্যেক অতিথির হাতে একটা ব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়। একটা চিহ্ন, যার সহজ অর্থ হল আপনার পার্টিতে যাওয়ায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। আজকে আপনি আমাদের অতিথি।
খোলা আকাশের নীচে রেস্তোরাঁ। আর আফটার পার্টিটা ছাতে। ঘোরানো কাঠের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতেই এখটা গন্ধ নাকে এল। মোগরা ফুল। একটা গাছের (নিম বোধহয়) ডাল থেকে সারি সারি মোগরা ফুলের মালা ঝোলানো রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে গাছের ডাল দু’টোকে কেউ বুঝি ঝরা ফুলের মুকুট দিয়ে সাজিয়েছেন।
থিকথিক করছে মানুষ। সবাই ফ্যাশন দুনিয়ায় হোমরাচোমরা ব্যক্তিত্ব। ডিজাইনার এবং দেশি ও বিদেশি মডেল। আর এঁদের সবার থেকে একটু আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন উইলিয়াম ড্যালরিম্পল আর রাজনীতিবিদ মণিশঙ্কর আইয়ার।
একটা বিশাল কালো বড় পাত্রে রাখা প্রায় দু’শোটা গাঁদাফুল। ছোট একটা টেবিলের ওপরে রাখা। তার পাশে সাদা সোফা। বাঁ দিকে বার কাউন্টার। স্বাভাবিক ভাবেই সব থেকে বেশি ভিড় ওখানেই।
স্টেজের ঠিক সামনে একজন বিদেশিনী, মনোরঞ্জনের জন্য কারিওকেতে গান গাইছেন। লাস্যময়ী গলায় ইংরাজি গান। মোগরা ফুলের গন্ধ আর প্রায় প্রত্যেকের হাতের পানীয়তে একটা হালকা নেশা চারিদিকে।
আর নেশার জোরেই না কি শুধুমাত্র আনন্দের তাগিদে সেদিন প্রথমবার ডিজাইনার ওয়েন্ডল রডরিক্সকে শুনলাম জোর গলায় গান গাইতে। গোয়াতে থাকেন ওয়েন্ডেল। সেখানকার তাঁর এক প্রতিবেশীও নিমন্ত্রিত। প্রতিবেশীর কথা অনুযায়ী মাঝেমধ্যেই নাকি গিটার বাজিয়ে গান গাওয়া ওয়েন্ডেলের রিল্যাক্সেশনের অন্যতম উপায়। সে রাতে গাইলেন ‘সামারটাইম’।
রোহিত গাঁধী ও রিতু কুমার মনোবিরাজ খোসলা, ললিত ত্রেহান ও রোহিত বাল
দিল্লিতে এখনও গ্রীষ্মকাল আসেনি। শীতের একটু রেশ এখনও রয়ে গিয়েছে। ‘বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’ বললেও ভুল বলা হবে না। তবু ওয়েন্ডেলের পছন্দ ‘সামারটাইম’।
রিতুর পছন্দও তাই। কেউ কেউ ওয়েন্ডেলের সঙ্গে গলা মেলালেন আর তার পর এক অত্যন্ত আশ্চর্য দৃশ্য। রিতুর ওয়াল্টজ্ নাচ ডিজাইনার রোহিত গাঁধীর সঙ্গে। ঘুরে ঘুরে বেশ তালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছোট জায়গাতে ‘টুইর্ল’ করলেন সুন্দর ভাবে।
সামনে থেকে অন্যদের হাততালি। জেজে ওয়ালিয়া, তরুণ তাহিলানি, রোহিত বাল, রীনা ঢাকা, অঞ্জু মোদী—সবার মুখে হাসি। ‘‘রিতু আমাদের পথ দেখিয়েছেন’’ বললেন তাঁরা। তরুণ, রিতুকে ‘গডমাদার’ আখ্যা দিলেন। সারা দিন পার্টির আয়োজনে ব্যস্ত থাকা রোহিত বাল স্টেজে উঠে স্পিচ দিতে নারাজ। পার্টির এক কোনায় নিজের বন্ধুদের নিয়ে আড্ডায় মাতলেন তিনি। কেউ আলিঙ্গন করছেন। কেউ বা হাওয়ায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন উষ্ণ চুম্বন।
রিতুর ছেলে অমরিশ দারুণ খুশি। বললেন, “মায়ের সঙ্গে কাজ করে বুঝেছি যে তাঁর মতো নম্র আর চিন্তায় প্রগতিশীল মহিলার জুড়ি মেলা ভার।”
রিতু অবশ্যই উচ্ছ্বসিত। বললেন তাঁর পদ্মশ্রী ভারতীয় ফ্যাশন দুনিয়ার একটা বড় স্বীকৃতি।
এর পর শুরু হল বিদেশি মডেল তালিয়া বেন্টসনের গান। ফ্যাশন উইকে র‌্যাম্পে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে সে রাতে তাঁর অন্য পরিচয়। তিনি গায়িকা। সাপের মতো শরীর বেঁকিয়ে গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচছিলেন তালিয়া।
অল্প দূরেই রোহিত গাঁধী দাঁড়িয়ে। পুরো পার্টির উদ্যোক্তা তিনি। জিজ্ঞেস করলাম ফ্যাশন শো-এর আফটার পার্টিতে এমন কী থাকে যা অন্য কোনও পার্টিতে পাওয়া যায় না? “বুঝতেই পারছেন রিতু কুমারের পদ্মশ্রী পাওয়াটা আমাদের কাছে একটা বড় ঘটনা। এই পার্টিতে ফ্যাশন দুনিয়ার সব মানুষই রয়েছেন। তবে আমার মনে হয় যে, যদি পেশাদার কোনও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে এই ধরনের পার্টি আয়োজনের ভার দেওয়া হয় তা হলে চমকটা আরও বেশি হবে,” রোহিত বলেন।
রোহিত গাঁধী এবং সুনীল শেঠি
তৃতীয় দিনের এফডিসিআই পার্টি অন্য জায়গাতে। সাকেতের একটা মলে। মাঝরাতের পরে মল বন্ধ। তবে কাফে লুডাস-এ তখন সবে সন্ধে নেমেছে। কাফে নাম হলেও এটা আদতে একটা নাইটক্লাব। সেখানকার পরিবেশ একেবারেই আলাদা। ঢোকার সময় হাতে লিপস্টিক মাখানো ঠোঁটের ছাপ লাগিয়ে দেওয়া হল হাতে। ভেতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাঝে মাঝে স্ট্রোব লাইটের আলো এসে পড়ছে ডান্স ফ্লোরে। পার্টিতে ডিজাইনারের সংখ্যা অত বেশি নয়। চোখে পড়ল চন্দ্রাণী সিংহ ফ্লোরা, জয় মিত্র আর সমান্থ চহ্বাণকে। আর অবশ্যই এফডিসিআই-এর কর্ণধার সুনীল শেঠিকে। “সারাদিনের শো-এর পর সবাই মিলে আনন্দ করাটাই উদ্দেশ্য,” বললেন সুনীল।
ডিজে একটার পর একটা ইংরাজি গান বাজিয়ে যাচ্ছেন আর তার তালে সবাই আপন খেয়ালে নেচে চলেছেন ডান্স ফ্লোরে। মাঝে মাঝেই একটা গানের লাইন ভেসে আসে “আর ইউ রেডি?” সবাই সমস্বরে চিৎকার করে হ্যাঁ বলাতেই আবার সেই মিউজিক শুরু। রাত যখন প্রায় একটা ছুঁইছুঁই, হঠাৎ সবাই বলে উঠল ‘বলিউড’। কিন্তু ডিজের তখন সময় শেষ। দিল্লির সে রাতে একটাতে পার্টি শেষ করতে হবে। হঠাৎ সব আলো জ্বলে উঠল একসঙ্গে। অন্ধকার ডান্সফ্লোরটা এত আলোতে কেমন যেন অচেনা লাগছিল।
ফেরার পথে এক উঠতি মডেলের সঙ্গে পরিচয় হল। রোজ রাতে কোনও না কোনও আফটার পার্টিতে যাচ্ছেন তিনি। চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বললেন, “এই পার্টিগুলোই হল নেটওয়ার্ক করার শ্রেষ্ঠ জায়গা। কেউ কেউ তো শুনেছি এই সব পার্টিতে যাওয়ার জন্যই ছোটখাটো ডিজাইনারদের থেকে পোশাক ধার করেন। যদি এ ভাবে কারও নজরে পড়া যায়,” বললেন সেই মডেল। ‘‘তা আপনিও কি এই শার্টটা...?’’ প্রশ্নটা করার আগে আগেই উত্তর, “না না, এটা আমার। তবে ও রকমও করে অনেকে,” মুচকি হেসে বলেন তিনি।
ওয়েন্ডল রডরিক্স, রিতু কুমার আর মাঝে এক বিদেশিনী গায়িকা চন্দ্রাণী সিংহ ফ্লোরা আর সমন্থ চহ্বাণ
শেষ রাতের পার্টি হোটেল সম্রাটে। রবিবার গ্র্যান্ড ফিনালেতে মণীশ অরোরার শো শেষ হওয়ার পর থেকেই সবাই পার্টি মুডে। লাইভ মিউজিকের সঙ্গে র‌্যাম্পেই মডেলরা নাচতে শুরু করেছিলেন। এই মডেলরাই শো-এর শেষে গেলেন হোটেল সম্রাটের লাউঞ্জ বার কাম রেস্তোরাঁ ‘শিরো’য়। সেখানেই গ্র্যান্ড ফাইনালের আফটার পার্টি। দিল্লি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ‘শিরো’। রাস্তায় যেতে যেতে চোখে পড়ল বিভিন্ন দেশের হাই কমিশনের অফিস। রাত একটায় থমথমে গুরুগম্ভীর একটা পরিবেশ। চারদিক শুনশান। খুঁজলেও রাস্তায় একটা কম্বলমুড়ি দেওয়া ভিখারিরও বোধ হয় খোঁজ মিলবে না!
তবে হোটেলের ভিতর কিন্তু একেবারেই আলাদা। গ্র্যান্ড ফাইনালের পার্টি কি না জানি না, তবে এ কথা ঠিক যে এই পার্টিটা একেবারেই অন্য রকম। তিনটে তলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে সবাই বসে। পরের দিন আর শো নেই। নেই ডিজাইনার বা মডেলদের বেশি রাত জাগা নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তাও।
তিন তলার এক কোনায় বসে রোহিত বাল। পার্টির অন্যতম মুখ্য আকর্ষণ তিনিই। তাঁর বন্ধু মডেল ললিত ত্রিহানও সেখানে উপস্থিত। তবে ললিত এখন মডেলিং-এর থেকে সিনেমা করা নিয়ে ব্যস্ত। ফ্যাশন উইকে একটা শো-তে হেঁটেছেন। তাঁর জন্য পারিশ্রমিক নিয়েছেন আনুমানিক এক লক্ষ টাকা। আপাতত মুম্বইয়ের একটা বড় প্রোডাকশন হাউজে অ্যাসিস্ট্যান্ট পরিচালকের কাজ করছিলেন। “সামনে হিন্দি ছবি করছি। আমার বিপরীতে বলিউডের এক বড় নায়িকা। তবে তাঁর নাম বলতে পারব না,” বললেন ললিত। আর তার পর চলে যান আবার রোহিত আর মনোবিরাজ খোসলার কাছে।
গ্র্যান্ড ফিনালের আফটার পার্টির একটি মুহূর্ত
ওরিয়েন্টাল খাবার রয়েছে মেনুতে। আর পছন্দের নানা পানীয়। বিদেশি মডেলদের এই পার্টিতে বেশ রমরমা। র‌্যাম্প থেকে সোজা পার্টিতে এসেছেন। তাই মেক আপও তোলেননি। চোখের পাতার উপর মোটা গোলাপি রঙের আইশ্যাডো। কারও মাথায় ফুলের সাজ। ঠিক সেই পুরোনো অয়েল পেন্টিং-এর ছবির মডেলদের মতো দেখতে লাগছে তাঁদের। খোলা জানালার মতো হাওয়া খেলানো ডিজাইনে পিঠ কাটা পোশাকে নজর কাড়ছেন তাঁরা।
স্যুইম ওয়ার ডিজাইনার শিবম আর নরেশ ডান্স ফ্লোরে বেশ হিট। কলকাতার ডিজাইনার দেবও তাই। রোহিত বালের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন কলকাতার ডিজাইনার চন্দ্রাণী। তিন তিনটে ফ্যাশনের আফটার পার্টিতে গিয়েছেন তিনি। কেন এই আকর্ষণ? “আমরা সারা বছর খাটি। এই পার্টিগুলো হল আমাদের সেলিব্রেশন টাইম। আমাদের প্রাইভেট স্পেস এটা। শো চলাকালীন আমরা স্টল আর বায়ারদের নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তবে এই পার্টিগুলো একেবারেই আলাদা। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী আমার শো দেখতে পারেননি। স্টলে এসেছিলেন। রাতের পার্টিতে এফডিসিআই ওঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। উনি এসেছিলেন দশ মিনিটের জন্য। তাতে আমরা খুব খুশি,” বললেন চন্দ্রাণী।
রোহিত গাঁধী অবশ্য বলছেন যে এই আফটার পার্টিগুলো শীঘ্রই বেশ বড় আকার ধারণ করবে। অনেক বেশি মডেল, ডিজাইনার আরও বেশি হুল্লোড় আর ফুর্তি ফ্যাশন দুনিয়া না কি ভোল পালটানোর জন্য পা বাড়িয়েই ফেলেছে। “আর একটা সিজন যেতে দিন তা হলেই দেখবেন এই পার্টিগুলো কী ভাবে দেশের সব চেয়ে বড় পার্টিগুলোর মধ্যে জায়গা করে নেবে। অনেকটা অস্কারের পার্টিগুলোর মতো। লোকে জানতে চাইবে কে কোন গাউন পরে এল এই পার্টিতে,” রোহিত বলেন। আর তা শুনে ডিজাইনার নীল বেশ খুশি।
“গ্র্যান্ড ফিনালে পার্টিতে গিয়েছিলাম। ফ্যাশন দুনিয়ার সবাই এখানে থাকেন। বড় ডিজাইনার থেকে একেবারে নতুনেরাও। যদি আরও বড় ভাবে এই পার্টিগুলো হয় তা হলে বেশ ভালই হবে। কী জানি হয়তো, কে ‘বেস্ট-ড্রেসড’ তাঁকেও পুরস্কার দেওয়া হবে,” নীল বললেন।
মডেল লক্ষ্মী রানা গ্র্যান্ড ফিনালের পার্টিতে যেতে পারেননি। তবু রিতু কুমারের পার্টিতে ছিলেন। বললেন, “খুবই ভাল লেগেছিল ওখানে গিয়ে। ফ্যাশন দুনিয়ার জন্য এটা একটা পারিবারিক উৎসব। এখনও তাই অনেক মানুষই ক্যাজুয়ালি সেজেগুজে আফটার পার্টিতে যান। ইউ জাস্ট লেট ইয়োর হেয়ার ডাউন। তবে আমারও মনে হয় যে ভবিষ্যতে এই পার্টিগুলোকেও মানুষ অনেক বেশি সিরিয়াসলি নেবেন।”
পার্টি শেষ হতে হতে রাত দু’টো। রাতের দিল্লির রাস্তা তখন আরও ফাঁকা। মনের কোণে নিশুতি রাতে পার্টি-ফেরত মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা দানা বাঁধার আগেই চোখে পড়ল দিল্লি পুলিশের জিপ। রাত জাগা পাখির মতোই সারা শহর টহল দিচ্ছে তারা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.