জাতীয় স্তরের তবলা প্রতিযোগিতায় দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন রায়গঞ্জের মিলনপাড়ার বাসিন্দা ধ্রুবজ্যোতি দাস। গত ৭ থেকে ৯ মার্চ প্রয়াগ সঙ্গীত সমিতির উদ্যোগে উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে ওই প্রতিযোগিতা হয়। সেখানে তিন ও চোদ্দমাত্রা তালের উপরে দীর্ঘ লহড়া বাজিয়ে ধ্রুবজ্যোতি দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন। প্রতিযোগিতায় দেশের ১৮টি রাজ্য থেকে ১৫০ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। প্রথম স্থান দখল করেন উত্তরপ্রদেশের বেনারসের বাসিন্দা সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী।
সমিতির তরফে সম্পাদক অরুণ কুমার, সভাপতি মিলন মুখোপাধ্যায় তাঁকে রূপোর পদক, নটরাজের মূর্তি, শংসাপত্র ও নগদ ৬ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন। সোমবার রায়গঞ্জে ফিরলে তাঁকে সঙ্গীতসদন মিউজিক স্কুলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ধ্রুবজ্যোতি বলেন, “বাবা মায়ের অনুপ্রেরণা ও তবলার শিক্ষকদের সহযোগিতা ছাড়া জাতীয় স্তরে সাফল্য পেতাম না। ভবিষ্যতে একজন তবলার শিক্ষক হতে চাই।”
২৬ বছর বয়সী ধ্রুবজ্যোতি গত ১৪ বছর ধরে তবলা শিখছেন। সঙ্গীতসদন মিউজিক স্কুলের প্রয়াত শিক্ষক নৃপেন কর্মকারের কাছে তাঁর তবলা শিক্ষার হাতেখড়ি। বর্তমানে তিনি নৃপেণবাবুর ছেলে দীপেন্দু কর্মকার ও কলকাতার তবলা শিক্ষক সজল কর্মকারের কাছে নিয়মিত তবলা শিখছেন। এছাড়াও তিনি কলকাতার একটি মিউজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টাল দলে তবলা বাজান। ২০০৩ সালে ধ্রুবজ্যোতি এলাহাবাদ বোর্ডের অধীনে তবলায় রূপোর পদক নিয়ে বি-মিউজ যোগ্যতা অর্জন করেন। ২০০৭ সালে তিনি রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স নিয়ে স্নাতক হন। রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় ধ্রুবজ্যোতি একাধিকবার সফল হলেও জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় এই প্রথম অংশ নিয়ে সফল হয়েছেন। রাজ্য ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের উদ্যোগে কলকাতায় ২০১০ ও ২০১১ সালে আয়োজিত রাজ্য ছাত্র যুব উৎসবে তিনি তবলা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন। ধ্রুবজ্যোতির বাবা বীরেন্দ্রবাবু রায়গঞ্জ জেলা আদালতের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। মা অনিতাদেবী গৃহবধূ। একমাত্র বোন দেবলীনা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বীরেন্দ্রবাবু বলেন, “ছেলে ছোটবেলা থেকেই তবলা নিয়ে পড়ে থাকত। পেনশনের টাকায় সংসার চলে। যুবকল্যাণ দফতর ছেলেকে বৃত্তির ব্যবস্থা করলে খুব ভাল হয়।” |
|
|
দু’জনে:
একটি ছবির প্রচারে
প্রভুদেবা
ও সোনাক্ষী
সিংহ। ছবি: পিটিআই |
আত্মা-প্রচার:
শহরে এসেছেন বিপাশা বসু ও
নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। নিজেদের অভিনীত একটি
হিন্দি
ছবির প্রচারে। সোমবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী |
|