১০ দিনের পুলিশ হেফাজত ইকবালের |
কালকা মেলের বি-থ্রি কামরায় হাওড়া পৌঁছল গার্ডেনরিচ কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না। মুন্না আসার আগেই সিআইডির দু’টি দল হাওড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল। আজ সকাল ৯.৩৬ নাগাদ কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে হাওড়া স্টেশনের ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামানো হয় মুন্নাকে। সেখান থেকে সিআইডির কর্তারা তাকে ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি করে সোজা ভবানী ভবনের উদ্দেশে নিয়ে যান। তাকে ৪৮ ঘণ্টার ‘ট্রানজিট রিমান্ড’-এ বিহার থেকে নিয়ে আসে সিআইডি। ধৃত এই তৃণমূল নেতার শারীরিক পরীক্ষার পর আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে আগে থেকই আদালত চত্বরে ভিড় জমান মুন্না-অনুগামীরা। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ভিড় রুখতে আদালতের এক দিকের গেটও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। |
আলিপুর আদালতে তোলা হয় ইকবালকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে সিআইডি। কিন্তু বিচারক এই নির্দেশ স্থগিত রাখেন বিচারক। এ দিকে, শুনানি শেষে সিআইডি মুন্নাকে নিয়ে আদালত চত্বর থেকে বেরনোর সময় তার সমর্থকরা গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় নামানো হয় র্যাফ । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কোর্ট লক আপে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়ে মুন্নাকে। জানা গিয়েছে, আদালত চত্বরে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন মুন্নার মেয়ে। |
আলিপুর আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি মুন্নাকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
|
ডোমজুড়ে লরির ধাক্কায় মা-ছেলের মৃত্যু |
লরির সঙ্গে বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল মা ও ছেলের। আজ সকাল ৯.১৫ নাগাদ হাওড়ার ডোমজুড়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাঁকরাইলের বাসিন্দা ঝর্ণা দে ও তাঁর ছেলে অসীম দে বাইকে করে আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। বাঁকড়ার কাছে একটি লরি এসে সজোরে ধাক্কা মারায় দু’জনেই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু মা ও ছেলের। এই ঘটনার পরই এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে লরি ও চালককে ধরে ফেলেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
|