টুকরো খবর
‘শো-কজ’ প্রধান শিক্ষক
প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।
ছাত্র ভর্তিতে বেনিয়মের অভিযোগে বাঁকুড়া জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক কর্মীকে ‘শো-কজ’ করলেন জেলাশাসক। শুক্রবার বিকেলে জেলাশাসক তথা জোল স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি বিজয় ভারতী প্রধান শিক্ষক সোমনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে তাঁর দফতরে ডেকে পাঠান ও ছাত্র ভর্তির রেজিস্টার পরীক্ষা করে দেখেন। সন্ধ্যায় জেলাশাসক বলেন, “ওই স্কুলে ৩ ফেব্রুয়ারি ছাত্র ভর্তির শেষ দিন ছিল। তার পরেও প্রধান শিক্ষক কিছু ছাত্রকে স্কুলে ভর্তি করেন। এ জন্য প্রধান শিক্ষক ও চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীকে ‘শো-কজ’ করা হয়েছে।” জেলা স্কুলে ছাত্র ভর্তিতে বেনিয়ম করা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন মহল অভিযোগ তুলছিল। অভিভাবকেরা এ দিন দুপুর থেকে স্কুলে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে জেলাশাসক প্রধান শিক্ষককে ডাকেন। বিকেলে প্রধান শিক্ষক স্কুলে ছাত্র ভর্তির খাতা নিতে এলে অভিভাবকেরা তাঁকে কিছু ক্ষণ ঘেরাও করে রেখে বিক্ষোভ দেখান। শেষে পুলিশের আশ্বাসে তাঁরা প্রধান শিক্ষককে ছেড়ে দেন। তবে এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক মন্তব্য করতে চাননি।

ডাকাতি-ধর্ষণে ধৃত অভিযুক্তরা
ইন্দাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ দুষ্কৃতীকে ধরল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে চণ্ডীপুরের কয়ালচক গ্রাম থেকে ওই দুষ্কৃতীদের ধরা হয়। ধৃতরা হল শেখ সইদুল, শেখ রাজু, তপন ঘোড়ই, শেখ শাহ আলম ও শেখ সিদ্দিক। এর মধ্যে সিদ্দিকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। বাকিরা কয়ালচকের বাসিন্দা। বাঁকুড়ার ইন্দাস এলাকায় পূর্ত দফতরের পাকা রাস্তা মেরামতির কাজ করছিল একটি ঠিকাদার সংস্থা। কাজের জন্য ওই এলাকায় সংস্থার একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে ছিলেন কয়েকজন কর্মী। ক্যাম্পে মজুত ছিল বেশ কয়েক ব্যারেল বিটুমিন। গত ৪ মার্চ রাতে একটি দুষ্কৃতী দল ওই ক্যাম্পে হানা দিয়ে ৩৩ ব্যারেল বিটুমিন, কর্মীদের থেকে ৭টি মোবাইল ছিনতাই করে। অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীরা এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের সার্কেল ইন্সপেক্টর পার্থ সান্যাল বলেন, “মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে জানা যায়, দুষ্কৃতীদের মধ্যে অনেকে পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এরপরই তল্লাশি চালাই আমরা।” বাঁকুড়ার এসপি মুকেশ কুমার বলেন, “ধৃতেরা প্রাথমিক জেরায় পিচ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।”

অধ্যাপক ধৃত
কলেজের ল্যাপটপ ও আলমারির চাবি আটকে রাখার অভিযোগে প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে পুরুলিয়ার জগন্নাথ কিশোর কলেজের অধ্যাপক আবু সুফিয়ানকে ধরা হয়। বর্তমানে তিনি কলেজের ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধান। জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “পুরুলিয়া সদর থানায় ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ছিল। হাইকোর্টে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় পুলিশ গ্রেফতার করে।” চেষ্টা করেও আবু সুফিয়ানের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি কে পি সিংহ দেও-র অভিযোগ, “আবু সুফিয়ানকে এক বছর আগে সরিয়ে অন্য একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। কিন্তু তাঁকে কলেজের আলমারির চাবি ও ল্যাপটপ না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন। তাই থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল।”

প্রশ্ন ফাঁস
সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেল। সোমবার ওই পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, শুক্রবার পরীক্ষাগৃহে প্রথম পত্রের দ্বিতীয় বিভাগের প্রশ্নের প্যাকেট খোলার সময় দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন বেরিয়ে আসে। এর জেরে প্রথম পত্রের দ্বিতীয় বিভাগের পরীক্ষাও এ দিন নেওয়া যায়নি। উপাচার্য শমিতা মান্না বলেন, “প্রশ্নপত্র প্যাকেটে ঢোকানোর সময় কোনও ভাবে ভুল হয়ে থাকতে পারে। ইংরেজি প্রথম পত্রের দ্বিতীয় বিভাগের পরীক্ষা সোমবার নেওয়া হবে। ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৫ মার্চ।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.