মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম সাংস্কৃতিক সম্পদ শব্দগান। জেলার পশ্চিমাংশে রাঢ় অঞ্চলে ওই গানের প্রচলন নেই। শব্দের দ্বারা সর্বশক্তিমান আল্লার এবাদৎ করার ধর্মীয় চেতনা যুক্ত গানই শব্দগান। ওই গান ধর্মীয় হলেও ধর্মের বহির্ভূত অনেক বিষয়ও শব্দগানের বিষয়গত (কনটেন্ট)। জাতপাত, কাম-প্রেম, নারী-পুরুষের সর্ম্পক এবং লোকজীবনের সুখ-দুঃখ শব্দগানে প্রতিফলিত হয়। ওই গানের ভিতরে রয়েছে শরিয়ত ও মারফতের ফল্গু ধারা। রয়েছে সুফি প্রভাবিত তত্ত্ব। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকলে শব্দগানের সারমর্ম উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। ফর্মের দিক থেকে শব্দগানের সঙ্গে কবিগানের সাদৃশ্য মেলে। এই গানের আসরেও থাকে দু’টি পক্ষ। থাকে মূল গায়েন ও দোহার। শব্দগানের পোশাক ও সুনির্দিষ্ট। পরনে থাকে সাদা লুঙ্গি ও পাঞ্জাবি। মাথায় টুপি ব্যবহৃত হয় না। শব্দগানে থাকে আল্লা ও মুর্শিদ বন্দনা। বাদ্যযন্ত্র হিসাবে থাকে খোল, খমক ও একতারা বা দোতারা। কট্টরপন্থী ও রক্ষণশীল অনেক মুসলমান বাদ্যযন্ত্র-সহ শব্দগানকে স্বীকৃতি দেন না। কারণ, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বাদ্য অনুসঙ্গ সহযোগে সংগীত ‘হারাম’ শ্রেণিভুক্ত। শব্দগানের জনপ্রিয়তা মূলত মুসলিম দিনমজুর সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সম্পন্ন ও শিক্ষিত মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ওই গান কৌলিন্য লাভ করতে পারেনি। হারিয়ে যাচ্ছে শব্দগান।
সুভাষ ঘোষ হাজরা, পাঁচথুপি।
|
রঘুনাথগঞ্জ শহর থেকে উমরপুর মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পর্যন্ত গোটা রাস্তাটি সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে ডুবে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী, বাস, লরি, ট্রেকার, অটো ইত্যাদি যানবাহন যাতায়াত করে। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে ওই রাস্তাটিতে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলে না। ওই রাস্তার মাঝামাঝি এলাকার মিঞাপুর থেকে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে জঙ্গিপুর স্টেশন পর্যন্ত। ওই রাস্তাটিতেও কোনও আলো জ্বলে না। একদিকে জাতীয় সড়কের মোড়, অন্যদিকে জঙ্গিপুর মহকুমার শহর রঘুনাথগঞ্জ। মধ্যবর্তী এলাকার ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দু’টি দিয়ে রাতে ভোগান্তি বরাদ্দ থাকে। অন্ধকারের ওই ভোগান্তি থেকে পথচারীদের রেহাই দিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি সব পক্ষের কাছে আবেদন জানাই।
মাসিদুল শেখ, রঘুনাথগঞ্জ।
|
গত শারদোৎসবের আগে কান্দি পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের রাজপথগুলির অনেক এলাকা ভাঙাচোরা থাকায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। শারদোৎসব ও শ্যামাপুজোর দিকে লক্ষ রেখে কান্দি পুরসভার পক্ষ থেকে ওই ভাঙাচোরা রাস্তাগুলি সংস্কার করা হয়। তবে সব রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। রাস্তাগুলি সংস্কার করতে ব্যবহার করা হয়েছে পাথর ও পাথরের গুঁড়ো। ফলে মোটরবাইক বা অন্য যানবাহন চলে যাওয়ার পর ক্ষণে ধুলোর মেঘে ঢেকে যায় গোটা এলাকা। চোখ-নাক-মুখে ধুলো ঢোকে। পরিস্কার জামাকাপড় নোংরা হয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর ধুলো থিতিয়ে গেলে ওই এলাকা তখন কোনও মতে যাতায়াতের যোগ্য হয়। সংস্কার করার সময় বলা হয়েছিল, পাথর টুকরোর উপরে বিছিয়ে দেওয়া পাথরের গুড়ে জমে গেলে পিচ দিয়ে সড়কপথ মুড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আজও তা হয়নি। পরন্তু অসম্পূর্ণ ভাবে সংস্কার করা ওই পথের অনেক এলাকা থেকে পাথরের টুকরো ও পাথরের গুড়ো উধাও হয়ে গিয়ে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। আর সেই সব রাস্তা দিয়ে ধুলোর মেঘ ছড়িয়ে দিয়ে মোটরবাইক ও দ্রুতগতির অন্য যানবাহনের চলাফেরা করার আতঙ্কে পথচারীরা সব সময় ভুগছেন। রাস্তাগুলি কবে ভাল ভাবে জমাট বাঁধবে ও পিচ দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হবে?
স্বরূপ মণ্ডল, কান্দি।
|
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামীণ এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে ‘ভিশন ২০২০’ ডকুমেন্ট। ওই প্রকল্পের অধীন কৃষ্ণনগর ১ নম্বর ব্লকের দেপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিমুলতলায় বিদ্যুৎচালিত একটি জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় কয়েক বছর আগে। ১৩৬ সি ইউ এম ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎচালিত ওই জলাধার নির্মাণ-সহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হয়েছে ২০১১ সালে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের উদ্যোগে জলাধার নির্মাণ করা হলেও গত দু’বছর ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়নি। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করার পরেও কেবল বিদ্যুৎ সংযোগ না হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জল পান করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তন্ময় ঘোষ, কৃষ্ণনগর।
|
নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার প্রত্যন্ত এলাকার পোস্ট অফিস গুলিতে অনেক দিন ধরে পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, খাম ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প অমিল। ফলে অনেক অর্থ ও সময় খরচ করে জেলাসদর বহরমপুর, অথবা কৃষ্ণনগরে গিয়ে হেডপোস্ট অফিস থেকে তা জোগাড় করতে হচ্ছে। স্থানীয় পোস্ট অফিসগুলি ‘পোস্টাল সেভিংস ব্যাঙ্ক’-এ পরিণত হয়েছে।
হামিম হোসেন, নওদা। |