|
|
|
|
জাঁকে টেক্কা মহিষাদলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মহিষাদল |
শিক্ষার পীঠস্থান ঐতিহ্যবাহী মহিষাদল। সরস্বতী বন্দনায় তাই পাশের শিল্পশহর হলদিয়ার থেকে কয়েক যোজন এগিয়েই রইল মহিষাদল।
কাছাকাছি দু’টি কলেজ ও ১২টি বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভিড়ে শুক্রবার রাস্তাঘাট ঠাসা মহিষাদলে। এ দিন বেলা বাড়তেই সেজেগুজে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে স্কুল কলেজ ছাত্র-ছাত্রীরা। রাজ কলেজ ও মহিলা কলেজের পুজোয় ভিড় হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়াও রাজ হাইস্কুল, গয়েশ্বরি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, আজরা অমূল্যরতন বালিকা বিদ্যালয়, গোপালপুর হাইস্কুল চত্বরে পড়ুয়াদের জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে প্রতিমা দর্শনের চেয়ে অলি-গলিতে ঘুরে বেড়াতেই মন ছিল কিশোর-কিশোরীদের। বাঙালির প্রেমের দিন সরস্বতী পুজোয় রাজ গড়ের ময়দানে বসে থাকতেও দেখা গেল অনেক স্কুল-কলেজ জুটিকে। রাজ কলেজের ছাত্র শিবশঙ্কর মেটা, মহিলা কলেজের তনুশ্রী দাস বলেন, “সরস্বতী পুজোর নিরিখে বিচার করলে মহিষাদলের পুজো জেলার সেরা। আড়ম্বর বরাবর থাকলেও এই বছর একটু বেশিই ভিড়।” তবে এই ভিড়ের মাঝে অনেকেই অসন্তুষ্ট বাইক রোমিওদের দৌরাত্ম্যে। রাজ কলেজের ছাত্রী অঙ্কিতা ঘোড়ইয়ের কথায়, “বাইক মিছিল থেকে কটূক্তি অস্বস্তি বাড়িয়েছে। প্রশাসনের কঠোর হওয়া উচিত।”
মহিষাদলের পুরনো সিনেমা হলের সামনে ছাত্র সমন্বয়ের পুজো পুরুলিয়ার ছৌ-নাচের থিমে। প্রখ্যাত শিল্পী ভাস্কর পালের শিল্পশৈলীতে ছৌ নাচের সাজে মৃণ্ময়ী বাগদেবী। পুজোর বাজেট প্রায় দু’লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সভাপতি নীলাঞ্জন চক্রবর্তীর কথায়, “পুরুলিয়া থেকে ২৫টি ছৌ-এর মুখোশ নিয়ে আসায় খরচ একটু বেশিই হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকেই কিছু বাঁচিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করেছি।” এই পুজোকেও টেক্কা দিয়ে ভিড় টানছে বাসস্ট্যান্ডের কাছে ‘সানডে’ ক্লাব। থিম লঙ্কায় সীতা হরণ। প্রায় দু’লাখ টাকার মণ্ডপে পিতলের কাজ। পিতলের প্রতিমাও আকর্ষণীয়। কোষাধ্যক্ষ শোভন সাউ বলেন, “সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার বাজেট। মুম্বই থেকে গায়ক বিনোদ রাঠোরও আসছেন।”
শিল্পনগরী হলদিয়ার স্কুল-কলেজেও ধূমধাম করে সরস্বতী পুজো হয়েছে। সিপিটি মার্কেট, হাজরা মোড়, টাউনশিপের আবাসনের পুজো দেখতে ভিড় হয় ভালই। |
|
|
|
|
|