পৃথিবী ঘেঁষে ছুট দেবে গ্রহাণু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একটা পাথরের টুকরো। এবং তা প্রবল গতিবেগে চলে যাচ্ছে পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে। আপাত ভাবে মনে হতেই পারে, এটা কোনও হলিউডি সিনেমার দৃশ্য। কিন্তু আজ, সরস্বতী পুজোর রাতে এমনটাই ঘটতে চলেছে বলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, আজ, শুক্রবার ভারতীয় সময় রাত ১টা নাগাদ ‘২০১২ ডিএ১৪’ নামে একটি গ্রহাণু পৃথিবী থেকে প্রায় ২৮ হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে ছুটে যাবে। গতিবেগ থাকবে প্রতি সেকেন্ডে ৮ কিলোমিটারের কাছাকাছি। গত বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ স্পেনের লা স্যাগরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ‘২০১২ ডিএ১৪’ নামে এই গ্রহাণুটি আবিষ্কার করেন। কী এই গ্রহাণু? কেন্দ্রীয় সংস্থা পজিশনাল অ্যাস্ট্রোনমি সেন্টারের অধিকর্তা সঞ্জীব সেন জানান, সাধারণত মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যে অবস্থানরত নানা মাপের পাথরের টুকরোকে গ্রহাণু বলা হয়। কিন্তু কিছু গ্রহাণু রয়েছে, যাদের কক্ষপথ বেশি উপবৃত্তাকার এবং তারা পৃথিবীর কক্ষপথকে ছেদ করে। অর্থাৎ শুধু মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যে ওই গ্রহাণুরা আটকে থাকে না। ‘২০১২ ডিএ১৪’ এমনই একটি গ্রহাণু। বিজ্ঞানের ভাষায়, এদের ‘নিয়ার আর্থ অবজেক্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
|
জাইতাপুর নিয়ে কথা মনমোহন-অঁলাদের |
ভারত-ফ্রান্স সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও কয়েক কদম এগিয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে ফ্রান্সের নয়া প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কো অঁলাদের বৈঠকে জাইতাপুরের প্রস্তাবিত পরমাণু প্রকল্প থেকে নতুন ফাইটার জেট চুক্তি উঠল সবই। রেল, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং মহাকাশ গবেষণা বিষয়ক চারটি চুক্তিপত্রেও সই করেছে দু’দেশ। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের যৌথ বিবৃতিতে নানা দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও গুরুত্ব পেয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অস্থিরতা ও সন্ত্রাসবাদ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পাক সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গটিও উঠেছে। বলা হয়েছে, ‘দু’দেশই এ ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে যে মুম্বই হামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পালন করুক পাকিস্তান।’ আজ শীর্ষ বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ জানিয়েছেন, “আমরা অনেকগুলি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। জাইতাপুর পরমাণু প্রকল্পের কাজ কতদূর এগোলো, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এই প্রকল্প রূপায়ণে যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা-ও তুলে ধরা হয়েছে।” অঁলাদে আজ বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধী, বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ, প্রধান বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গেও।
|