|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৭... |
|
কেবলই
উদ্ধারের
সমারোহ |
বইপোকা |
শেষ ঘণ্টা বাজিতে আর দুই দিন বাকি, হেনকালে মিলনমেলা প্রাঙ্গণে মার্জারীর উদয়। জিজ্ঞাসা করিলাম, এত দিন কোথায় ছিলেন? ‘ছিলাম এই মেলাতেই, কিন্তু একটু গা বাঁচাইয়া চলিতে হইয়াছে। মনুষ্যকেই অধুনা তোমরা কুকুর-বিড়াল জ্ঞান কর, বিড়ালকে কি আর মানুষ বলিয়া গণ্য করিবে! কে জানে কখন ম্যাও করিয়াছি বলিয়া ধরিয়া চাবকাইয়া দিবে!’ বুঝিলাম মার্জারী সদ্য বিবিধ অধিকার রক্ষা সমিতির স্টল ঘুরিয়া আসিয়াছে। শুধাইলাম, ‘সে যাহা হউক, নূতন কাঁটাটা-মুড়োটা পাইলে নাকি?’ তাহাতে বেজায় চটিয়া গেল মার্জারী। বলিল, ‘প্রসন্নর জলমিশ্রিত দুগ্ধ খাইয়া খাইয়া তোমার মাথাটি মোটা হইয়া গিয়াছে। শোন নাই কর্তাগণের ঘোষণা, দ্য থার্টিসেভেন্থ এডিশন অব কলকাতা বুকফেয়ার...। তোমাদিগের মেলাটি যেমন, পণ্যগুলিও ত তেমনই, নূতন বোতলে পুরাতন...। নূতন কাঁটা পাইব কোথা? কুড়ি কুড়ি কুড়ি বছরের পার বাসি মাছভাজাগুলি নূতন মোড়কে হাজির করিয়া গর্ব করিয়া বলিতেছ, সাহিত্যের কী কার্যটাই না উদ্ধার করিলে!’ কথা আর বিশেষ বাড়াইলাম না। সত্যই ত বলিয়াছে মার্জারী। কার্টুন হইতে কমিকস, কামসূত্র হইতে চণ্ডী, গ্রিক নাটক হইতে চিলড্রেন্স ডিটেকটিভ বাঙালির এই বইমেলায় উজ্জ্বল কিংবা অনুজ্জ্বল উদ্ধারেরই ত মহা সমারোহ। ভাগ্যিস ব্যাকরণ শিং খাদ্যবিশারদকে এই মেলায় কোনও বক্তৃতা দিবার জন্য ডাকা হয় নাই, নইলে সে তাহার বক্তৃতার আরম্ভ নিশ্চয় এই প্রকারে করিত: ‘ছাগলে কী না খায় সে সম্পর্কে বলিতে গিয়া প্রথমেই বলি, ছাগলে এই বইমেলার নব্বই শতাংশই খায় না। কারণ যে ৩৭ বৎসর খরচ হইয়া গিয়াছে তাহাতে এই সকল খাইয়া খাইয়া তাহারা এবং তাহাদের পূর্বপুরুষেরা হজম করিয়া ফেলিয়াছে!’ |
|
|
|
|
|