কাল ফুটবলের বড়দিন • ফেডারেশনের নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত • বাগানের ফতোয়া লাল-হলুদেও
ডার্বি খেলাবেন দেশের চার ফিফা রেফারিই
ই লিগের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটতে চলেছে শনিবারের ডার্বিতে।
যুবভারতীতে ওডাফা-টোলগে বনাম চিডি-উগাদের ধুন্ধুমার যুদ্ধ সামলাতে শনিবার বাঁশি মুখে মাঠে নামবেন দেশের চার ফিফা রেফারিই! কেরলের এন ডি সন্তোষকুমার, তামিলনাড়ুর শ্রীকৃষ্ণা, দিল্লির মহম্মদ কামিল এবং গুজরাতের দীনেশ নায়ারএঁরা আজ পর্যন্ত কোনও লিগ ম্যাচেই এক সঙ্গে খেলাননি।
ডার্বিতে প্রথমবার স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে মণিপুরের প্রাক্তন পুলিশ কর্তা বি কে রোকাকে পাঠিয়েছে ফেডারেশন। দুই প্রধান ও পুলিশের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বলে তিনি সন্তুষ্ট। শুধু বলেছেন, খেলোয়াড়দের চোখে ইদানীং লেজার রশ্মি ফেলা হচ্ছে। সেটা বন্ধ করতে এবং মাঠ থেকে বেরোনোর সিঁড়ি পরিষ্কার করে রাখতে।
কিন্তু মাঠে বা মাঠের বাইরে প্রশাসন সতর্ক হলেও যাঁর একটা বাঁশিতেই সব ওলট পালট হয়ে যেতে পারে সেই রেফারি নিয়েও চিন্তিত ফেডারেশন। রেফারি বোর্ডের প্রধান গৌতম কর দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “ডার্বি ম্যাচ বরাবরই অত্যন্ত হাইভোল্টেজ হয়। প্রচুর দর্শক খেলা দেখতে আসেন। সেখানে যাতে রেফারিং নিয়ে কোনও বিতর্ক না হয় তাই দেশের চার সেরা রেফারিকে নামানো হচ্ছে।”
দু’মাস আগের কলঙ্কিত ডার্বিতে রেফারি ছিলেন গুজরাতের বিষ্ণু চৌহান। ম্যাচের পর তাঁর নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। মোহনবাগান প্রশ্ন তুলেছিল, কেন কোনও ফিফা রেফারিকে দিয়ে ম্যাচ খেলানো হল না? ডার্বি ম্যাচ খেলাতে অনভিজ্ঞ রেফারি যদি ওডাফাকে লালকার্ড না দেখাতেন, তা হলে ম্যাচটা ভেস্তে যেত না বলেও কোনও কোনও মহল থেকে বলা হয়। সে জন্যই এ বার ডার্বির রেফারি পোস্টিং কমিটিকে আলাদা করে ডেকে কথা বলেছিলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। তিনি রেফারি কর্তাদের বলে দেন, ডার্বির রেফারি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে।

ডার্বির চাপ ভুলতে। বইমেলায় এক ফ্রেমে যুযুধান করিম-চিডি। ছবি: উৎপল সরকার
ফিফার যা নিয়ম তাতে বিশ্বের যে কোনও পর্যায়ের খেলায় একই দেশের বা একই অঞ্চলের রেফারি দেওয়াই নিয়ম। যাতে সহকারী রেফারিদের সঙ্গে সাঙ্কেতিক ভাব বিনিময় ঠিক থাকে রেফারির। আই লিগের রেফারি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ফেডারেশন সেটাই করে। কিন্তু ডার্বির ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে। রেফারি প্রধান গৌতমবাবু বললেন, “অনেকগুলো ম্যাচ আছে নানা জায়গায়। ডার্বির জন্য এমন কোনও তিন জনকে এক সঙ্গে পাওয়া যায়নি যাতে নিশ্চিত হওয়া যায়। তা ছাড়া আমরা ঝুঁকিও নিতে চাইনি।” গৌতমবাবু যেটা বলেননি তা হল, রেফারিও মানুষ। একটা ভুল সিদ্ধান্ত হতেই পারে। কিন্তু সেটা যদি পেনাল্টি বা গোলের ক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত হয় তা ঝামেলা হবেই। ফিফা রেফারির বাঁশিতে তা হলে বলা যাবে, “দেশের সেরা রেফারিকেই পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল। আমরা আর কী করব?”
সন্তোষকুমার ও শ্রীকৃষ্ণ ফিফার রেফারি প্যানেলে আছেন। কামিল ও দীনেশ আছেন সহকারী রেফারি ও লাইন্সম্যান হিসাবে। ম্যাচ কমিশনার হয়ে এসেছেন কেরলের মামু কয়া। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ এবং সন্তোষকুমারের মধ্যে কার মুখে বাঁশি থাকবে উত্তেজক এই ম্যাচে? কাকে বেছে নেবেন মামু? শোনা যাচ্ছে কড়া ধাতের অভিজ্ঞ রেফারি সন্তোষেরই নাম। রেফারি অ্যাসেসর কমিটিরও নাকি তাতে সায় আছে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.