রাষ্ট্রপুঞ্জের জঙ্গি তালিকায় উপরের দিকেই তার নাম। তাকে ধরে দিতে পারলে মার্কিন সরকারের তরফে এক কোটি ডলার পুরস্কারের ঘোষণা। মুম্বই জঙ্গি-হামলার মূল চক্রী হিসেবে তাকে হাতে পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাক প্রশাসনের কাছে দরবার করছে ভারত। তাতে কী? ভারী নিশ্চিন্তেই দিন কাটছে লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের। গোটা ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রশাসন।
গত বছর এপ্রিলে মার্কিন প্রশাসনের এক কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণার পরে এক বছর অতিক্রান্ত। কিন্তু অধরাই মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ। পাক সরকারের বক্তব্য, সইদ-বিরোধী কোনও তথ্য-প্রমাণই নাকি মেলেনি! গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওবামা প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে পাক প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা বলয়ে দিব্যি ঘোরাফেরা করছে সে। লাহৌরে হাফিজের বাড়ি তথা লস্কর-ই-তইবার অফিসের সুরক্ষার দায়ভারও বকলমে নিজেদের হাতে রেখেছে পাক সরকার। সইদের বাড়ির আশেপাশে সর্বদাই থাকছে কড়া নিরাপত্তা। নিকটস্থ চেকপোস্টগুলিতে থাকছে কড়া নজরদারি। আত্মগোপন করে থাকা দূরের কথা, প্রকাশ্যেই একের পর এক জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছে সে। বিভিন্ন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারও দিচ্ছে! অভিযোগ, তাকে ধরার বদলে নিরাপত্তা দিচ্ছে পাক প্রশাসন। মার্কিন ড্রোন হামলার পরও হাফিজ বহাল তবিয়তেই। পাকিস্তানের মাটিই যে তার নিরাপদ ঘাঁটি, তা স্পষ্ট। পাক সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও প্রশাসনের সঙ্গে ভালই সম্পর্ক তার। গত সপ্তাহেই এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সইদ বুঝিয়েছে কেন পাকিস্তান তার কাছে নিরাপদ আশ্রয়। সেখানে সইদ বলেছে, “আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো জীবন কাটাই এখানে। আমার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ঈশ্বর, আমেরিকা নয়।
|
সেনা সংঘর্ষে হত ৬৪, সিরিয়ায় |
সেনা-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে গত ২৪ ঘণ্টায় দামাস্কাসে মৃত্যু হল ৬৪ জনের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন তিন মহিলা-সহ পাঁচ জন সাধারণ নাগরিক। সিরিয়ার নিরাপত্তারক্ষীদের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার রাজধানীর দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে প্রেসিডেন্ট বাসার-আল-আসাদ বিক্ষোভকারীদের দমন করার জন্য সেনা নামান। গত কয়েক মাস ধরেই সিরিয়ায় সংঘর্ষের জেরে নাগরিক জীবন থমকে গিয়েছে। নিহত অসংখ্য সাধারণ মানুষ। |