দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে ‘বিশ্বরূপম’-বির্তকের অবসান। শনিবার, সংখ্যালঘু নেতৃত্বের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষে পরিচালক কমলহাসন জানালেন, তাঁদের দাবি মেনে বাদ দেওয়া হবে ছবিটির সাতটি দৃশ্য। বাকি বিতর্কিত অংশের সংলাপ শোনানো হবে না।
গত কালের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় সংখ্যালঘু নেতৃত্বের সঙ্গে এ দিন ফের বৈঠকে বসেন কমল। গত কালের মতোই এ দিনও দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আর রাজাগোপাল। |
সংবাদমাধ্যমের সামনে কমলহাসন। ছবি: পি টি আই |
মুম্বইয়ে ‘বিশ্বরূপম’-এর প্রচার কাজ সেরে ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ে ফিরে এসেছেন কমল। সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুতে ‘বিশ্বরূপম’-এর মুক্তি নিয়ে জয়ললিতার সাহায্যের আশ্বাসে আপাতত নিশ্চিন্ত কমল। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত ভাবে ধন্যবাদ জানাতে খুব শিগগির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনেও যাবেন তিনি।
শুক্রবারই ‘বিশ্বরূপম’-এর মুক্তি প্রসঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েক জন নেতা, কমলহাসনের ভাই চন্দ্রহাসন এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। বৈঠক শেষে চন্দ্রহাসন সাংবাদিকদের জানান, সংখ্যালঘু নেতৃত্ব ‘বিশ্বরূপম’-বির্তক সংক্রান্ত বৈঠকে কমলের উপস্থিতি চাইছেন। চন্দ্র আরও জানান, সংখ্যালঘু নেতারা চান ছবিটির কিছু অংশ বাদ দেওয়া হোক। তবে কমলহাসনের অনুপস্থিতিতে কোনও পক্ষই কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চাননি। শনিবারের বৈঠকেই ‘বিশ্বরূপম’-বিতর্কের ইতি ঘটবে বলে আশা রেখেছিলেন সকলেই। বৈঠকের শুরুতে কমল বলেছিলেন “আমার মনে হয় না ছবিটির কোনও অংশ বাদ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। আমি আমার সংখ্যালঘু ভাইদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব।” শনিবারের বৈঠক শেষে কমলের আশাভঙ্গ হলেও ‘বিশ্বরূপম’-বিতর্কের অবসান হল বলে ধরে নেওয়াই যায়। |
ছবিটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে তৎপর মালয়েশিয়া সরকারও। সামনের সপ্তাহেই ‘বিশ্বরূপম’-এর পরিবেশকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাঁরা আশাবাদী যে, পরিবেশকদের সঙ্গে এই বৈঠকেই মিলবে সমাধান সূত্র।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসামুদ্দিন হুসেন এ দিন বলেন, “পরিবেশক সংস্থার মালিক আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা একটা সমাধান বের করবই।” |
তিন কন্যা |
|
এক ফ্রেমে সত্যজিৎ রায়ের তিন নায়িকা। কলকাতা বইমেলায় এক
আলোচনা সভায় অর্পণা, মাধবী এবং শর্মিলা। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র |
|