পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে তাড়িয়ে দেওয়া হল প্রায় সত্তর জন পড়ুয়াকে। প্রতিষ্ঠানের নাম হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছর মে মাসের ঘটনা। ফাইনাল পরীক্ষার একটার অংশ বাড়িতে বসেই দেওয়ার কথা ছিল। সে সময়ই ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ একসঙ্গে বসে, একে অপরের দেখাদেখি করে পরীক্ষা দেয়। ঠিক কত জন অভিযুক্ত, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি জানান, ২৭৯ জন পড়ুয়ার মধ্যে ‘প্রায় অর্ধেকই’ পরীক্ষায় নকল করেছিল বলে সন্দেহ। গত শুক্রবার, হার্ভার্ডের ডিন মাইকেল ডি স্মিথ শিক্ষক এবং ছাত্রদের চিঠি পাঠান। সেখানে তিনি জানান, অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীদের “অর্ধেকেরও বেশি” জনকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। বাকিদের গতিবিধি নজর রাখা হবে। তাতেই অনুমান, বহিষ্কৃত পড়ুয়ার সংখ্যাটা ৭০-এর আশপাশে।
বহিষ্কৃত ছাত্রদের টিউশন ফি ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পরিচালন পর্ষদ নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, শেষ দুই থেকে চারটি সেমেস্টারে ওই ছাত্রদের বের করে দেওয়া হয়েছে। পরে ওই ছাত্ররা ফিরে আসতেই পারে।
হার্ভার্ডের মতো নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় প্রত্যেক বছরই গড়ে ১৭ জন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়। তবে এ বার এত কঠোর পদক্ষেপ করা সত্ত্বেও হার্ভার্ডের মুখে কালি পড়লই, দাবি অনেকের। সেই সঙ্গে ঘটনার নিষ্পত্তি করতে এত সময় লাগার জন্যও অধ্যাপক থেকে প্রাক্তন ছাত্ররা, পরিচালন পর্ষদকেই দুষছে সকলে। সেই সঙ্গে, এক বহিষ্কৃত পড়ুয়ার আইনজীবীর অভিযোগ, ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, জড়িত অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন পর্ষদ। |