প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রকল্পেও এ বার থেকে বাধ্যতামূলক হচ্ছে আধার কার্ড নম্বর।
সরকারি নির্দেশে জানানো হয়েছে, পুরনো এবং নতুন, সব সদস্যকেই দাখিল করতে হবে ওই নম্বর। ৫ কোটিরও বেশি পুরনো সদস্যকে তা জানাতে হবে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে। আর, যাঁরা ১ মার্চ থেকে প্রকল্পে যোগ দেবেন, সেই নতুন সদস্যদের তখনই কেওয়াইসি (নো ইওর কাস্টমার) বিধির শর্ত পূরণের জন্য আধার কার্ড নম্বর দিতে হবে। কারও আধার কার্ড না-থাকলে পরিচিতির জন্য নিয়োগকারীর কাছ থেকে আপাতত ‘এনরোলমেন্ট আইডি’ আনলেই চলবে।
এই পিএফ প্রকল্পের আওতায় পেনশন নেওয়ার সময়ে কোথায় জমা দিতে হবে আধার কার্ড নম্বর? পেনশন পেতে ব্যাঙ্কের যে-শাখায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেখানে বা পিএফ দফতরে তা জমা দিতে হবে, খবর পিটিআইয়ের।
এ দিকে নয়া ব্যবস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। তাদের বক্তব্য, দেশের বহু অঞ্চলে ওই কার্ড এখনও চালুই হয়নি। তা ছাড়া পিএফের অছি পরিষদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা না-করেই এই নিয়ম চালু করার প্রতিবাদ করেছে তারা। তবে অছি পরিষদের বৈঠক বসছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। জানা গিয়েছে, সেখানে বিষয়টি নিয়ে কথা হবে।
পিএফ দফতর দীর্ঘ দিন ধরেই প্রতিটি সদস্যের জন্য ‘ইউনিক নম্বর’ চালুর চেষ্টা করছে। যাতে কেউ বদলি হলে বা চাকরি বদলালে পিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর পাল্টাতে না-হয়। আধার নম্বর এর সহায়ক হবে বলে পিএফ কর্তৃপক্ষের আশা। |