এক কাউন্সিলরের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটার খোদাগঞ্জ লেনে। ওই এলাকার একটি বস্তিতে থাকেন সিপিএম কাউন্সিলর রাজীব বিশ্বাস। কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান রাজীববাবুর অভিযোগ, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তৃতার জেরেই এক দল তৃণমূল সমর্থক ওই কাজ করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিধায়ক, তৃণমূল নেতা পরেশ পাল জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ভাঙচুরের এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বেলেঘাটা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম সমর্থকেরা। |
ইটের ঘায়ে ভেঙেছে টালি। শুক্রবার, রাজীববাবুর বাড়ি। —নিজস্ব চিত্র |
কী ঘটেছিল ওই রাতে?
রাজীববাবুর কথায়, “রাত দেড়টা নাগাদ আমার বাড়ির সামনে চড়াও হয় তৃণমূলের সমর্থকেরা। ভাঙচুরের আওয়াজ হতেই ভয় পেয়ে যায় আমার ছেলে ও মেয়ে। ওরা আমাকে ঘর থেকে বেরোতে দেয়নি।” রাজীববাবুর স্ত্রী অপর্ণা বিশ্বাস বলেন, “আওয়াজ পেয়ে বস্তির আশপাশের লোকজন জেগে ওঠেন। হামলাকারীরা কয়েকটা টালি ভেঙে ফেলে। আমাদের লক্ষ করে ইটও ছোড়ে। প্রায় ৪০ মিনিট পরে ওরা বাড়ির সামনে থেকে যায়।”
পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনা নিয়ে রাজীববাবুর নেতৃত্বে একদল সিপিএম সমর্থক থানায় স্মারকলিপি দিয়েছেন। তবে সেখানে নির্দিষ্ট কারও নাম নেই। এমনকী, ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ রাজীববাবুর কাছে জড়িতদের নাম জানতে চান। তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি।
এ ব্যাপারে রাজীববাবুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যারা বাড়ি ভাঙচুর করেছে, তারা নিচু স্তরের সমর্থক। আসল তো জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শুভেন্দু অধিকারীরা। ওঁদের প্ররোচনাতেই এ সব হচ্ছে। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই নেতা-মন্ত্রীদের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।”
অভিযোগের জবাবে স্থানীয় বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা পরেশ পাল জানান, এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। তাঁর বক্তব্য, “কারা ওই ভাঙচুর করেছে, পুলিশকে তার তালিকা দিন রাজীববাবু। কেউ দোষী হলে পুলিশ ব্যবস্থা নিক। আমরা সব সময়ে এ ধরনের ঘটনার নিন্দা করি।” |