সব ঠিক থাকলে ফ্রেবুয়ারি মাসে শালকুমার হাট এলাকা দিয়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকরা। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের শালকুমার লাগোয়া পূর্ব জলদাপাড়া রেঞ্জে শুরু হয়েছে কার সাফারির জন্য নতুন টিকিট কাউন্টার তৈরির কাজ। এত দিন শুধু মাত্র মাদারিহাট এলাকা দিয়ে বন দফতরের কার সাফারির মাধ্যমে জলদাপাড়ারা গন্ডার হাতি দেখার সুযোগ পাওয়া যেত। গত বছর বন দফতরের কর্তারা আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের শালকুমার হাট দিয়ে পর্যটকদের জলদাপাড়া জঙ্গলে সাফারি করানোর বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হন। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “ফি বছর পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে মাদারিহাটে অত্যাধিক ভিড় হচ্ছে। অনেক পর্যটক কার সাফারির সুযোগ পাচ্ছেন না। তা ছাড়া শালকুমার হাট, প্রধানপাড়া, নতুনপাড়ার বাসিন্দারা আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের পূর্ব জলদাপাড়া রেঞ্জ দিয়ে কার সাফারি চালুর দাবি জানান। এত দিন পূর্ব জলদাপাড়া দিয়ে পর্যটকদের যাতায়াতের অনুমতি ছিল না। সে জন্য পূর্ব জলদাপাড়া রেঞ্জ এলাকায় কার সাফারির জন্য নতুন টিকিট কাউন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি জানুয়রি মাসে তা শেষ হয়ে যাবে। এতে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।” |
বন্যপ্রাণী ৩ বিভাগের ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর জানান, মাদারিহাট এলাকা দিয়ে কমপক্ষে ১৭টি জিপসি জলদাপাড়ায় যাতায়ত করে। এবার থেকে শালকুমার হাট দিয়েও পর্যটকরা জিপসি সাফারি করতে পারবেন। সে জন্য স্থানীয় বনবস্তিবাসীদের কাছ থেকে ৬ টি জিপসি গাড়ি চাওয়া হয়েছে। ফ্রেবুয়ারি মাসের মধ্যে গাড়ির ব্যবস্থা না হলে মাদারিহাট থেকে আপাতত গাড়ি এনে সাফারি চালু করাবে বন দফতর। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে মাদারিহাট দিয়ে কার সাফারিতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে যেতে একটি জিপসির জন্য ভাড়া পড়ে ১২৫০ টাকা। গাইড ২০০ টাকা নেন। প্রতিদিন সকাল ৫ টা থেকে ৭টা, ৭টা থেকে ৯টা ও বিকেল ৩ টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত কার সাফারি হয়। পূর্ব জলদাপাড়া রেঞ্জেও একই প্রবেশ মূল্য নেওয়া হবে। জলদাপাড়া বনবস্তির বাসিন্দা তথা জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সম্পাদক সীতারাম ছেত্রী জানান, দীর্ঘ দিন থেকে তাঁরা ওই দাবি করছেন। তিনি বলেন, “শালকুমার হাট হয়ে জলদাপাড়া জঙ্গলে পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। অবশেষে বন দফতর তা দিয়েছে।” খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা বাইরে থেকে ব্যবসায়ীরা লজ ও হোম ট্যুরিজম তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এলাকার বন দফতরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গাইড উত্তম ছেত্রী জানান, ১০ কিমি দূরে মাদারিহাটে গিয়ে পর্যটকদের জঙ্গলে আনতে হত। এ শালকুমার হাট দিয়ে পূর্ব জলদাপাড়া রেঞ্জ হয়ে পর্যটক ঢোকার বিষয়টি চালু হলে এলাকার প্রায় ১৫ জন গাইড উপকৃত হবে।”
|
কুড়ি হাজার ছাড়াল সূচক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
অবশেষে ২০ হাজারের উপরে উঠেই থিতু হল সেনসেক্স। আর এটা ফের ঘটল ২ বছর পর। এর আগে গত মঙ্গলবার সেনসেক্স ২০ হাজার ছুঁলেও বাজার বন্ধের সময়ে তা কিছুটা নীচে নেমে আসে। শুক্রবার সপ্তাহের শেষ লেনদেনে দিনের শেষে সেনসেক্স এসে দাঁড়ায় ২০,০৩৯.০৪ অঙ্কে। বৃদ্ধির পরিমাণ ৭৫ পয়েন্ট। বাজার কিন্তু বাড়ল সেই বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার বিনিয়োগের সুবাদেই। ডিজেলের দামে নিয়ন্ত্রণ আংশিক শিথিল হওয়ার খবরে তেল সংস্থাগুলির শেয়ারের চাহিদাই ছিল সব থেকে বেশি। বিদেশি সংস্থাগুলি এ দিন ওই শেয়ারেই লগ্নি করেছে। ওএনজিসি শেয়ারের দর এ দিন উল্লেখযোগ্য ভাবে ৭.৩১% বেড়ে যায়। |