|
|
|
|
শান্তিনিকেতনে সোমনাথের সঙ্গে দেখা করলেন বেবি |
সন্দীপন চক্রবর্তী • কলকাতা |
শান্তিনিকেতনের বাড়িতে হঠাৎ একটা ফোন! ও’প্রান্তে সিপিএমের এক পলিটব্যুরো সদস্য। বোলপুরের অদূরে অবস্থান করছেন। দলের প্রাক্তন সহকর্মীর বাড়িতে এক বার আসতে চান! সৌজন্য বিনিময় করতে চান।
অবাক হয়েই ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। একটু পরেই লোকসভার প্রাক্তন স্পিকারের অতিথি এম এ বেবি! সুদূর কেরল থেকে সিপিএমের বহিষ্কৃত নেতার শান্তিনিকেতনের ঠিকানায়! মিনিট কুড়ির এই বিস্ময় সাক্ষাতই সিপিএমের অন্দরে উস্কে দিয়েছে নতুন জল্পনা। তবে কি প্রাক্তন স্পিকারের প্রতি আস্তে আস্তে আরও নরম হচ্ছেন তাঁর পুরনো দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব?
সোমনাথবাবু অবশ্য রাজনীতির সমীকরণ নিয়ে ভাবছেন না। বেবির সফরে তিনি ‘মধুর বিস্ময়’ উপভোগ করছেন মাত্র! বর্ধমানে একটি অনুষ্ঠানে শুক্রবার ব্যস্ত ছিলেন জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক শিষ্য। তখনও তাঁর কাছে তাজা বুধবারের ঘটনার স্মৃতি। বললেন, “ইট ওয়াজ আ প্লেজ্যান্ট সারপ্রাইজ! আগে কিছু বলেনি। জয়দেবের মেলা থেকে হঠাৎই আসতে চাইল। এ দিকে এসে বুড়োটার কথা মনে হয়েছিল বোধহয়! ভাল লাগল!”
কী বললেন কেরলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী? সোমনাথবাবুর কথায়, “সৌজন্যের ব্যাপার। কতাবার্তা হল। ফুল দেখালাম। বাগানে যা করেছি। ফুলেরা তো কিছু ব্যাখ্যা দিতে পারে না, এই কথাটাও বলেছি! বেবি হেসেছে!”
বেবি অবশ্য দিনভর আলিমুদ্দিনে ব্যস্ত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটি ও পলিটব্যুরোর বৈঠকে। তাঁর বক্তব্য জানার ফুরসত তাই মেলেনি। কিন্তু এ ভাবে সোমনাথবাবুর বাড়িতে চলে যাওয়ায় তিনি আবার প্রকাশ কারাটের কোপে পড়বেন কি না, সেই আশঙ্কা অবশ্য উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দলীয় সূত্রে। এক পলিটব্যুরো সদস্যের বক্তব্য, “এ তো সৌজন্য। এর আগে সীতারাম ইয়েচুরি সোমনাথবাবুর কলকাতার বাড়িতে গিয়েছিলেন। এখন বেবি শান্তিনিকেতনে গিয়েছেন। এর মধ্যে অন্য কিচ্ছু নেই।” বস্তুত, কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শুরুর আগের দিন কলকাতায় পৌঁছে বেবি গিয়েছিলেন বীরভূমে জয়দেবের মেলা দেখতে। সেখানে লোকশিল্পী, বাউলেরা সমবেত হন, এই খবর তাঁর কাছে গিয়েছিল। জয়দেবের মেলা থেকেই সোমনাথ-সকাশে দরবার। সোমনাথবাবুও বলছেন, “ওর তো লোকসংস্কৃতিতে অনেক উৎসাহ। সেই জন্যই জয়দেবে এসেছিল বোধহয়। সেখান থেকেই ফোন করেছিল।” |
|
|
|
|
|