বিনোদন সমালোচনা হতেই পারে নাটকে,
চাপে পড়ে মন্তব্য সেই নেতার

নাট্যকারকে ভিডিও ক্যামেরার সামনে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন দিনহাটার তৃণমূল নেতা পার্থনাথ সরকার। নাটকের সংলাপে দুর্নীতিগ্রস্তদের মুখে ‘মা-মাটি’ শব্দবন্ধ বসানোর ‘অপরাধে’ প্রবীণ নাট্যকার বেণু চট্টোপাধ্যায়ের হেনস্থার ঘটনার নিন্দা উত্তরবঙ্গ তো বটেই, গোটা রাজ্যেও হচ্ছে। আর চাপের মুখে পড়ে ওই তৃণমূল নেতার উপলব্ধি, “সরকারের সমালোচনা করে নাটক হতেই পারে! তা নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই।”
সংশ্লিষ্ট নাট্যকারের লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসনও। বুধবারই কৃষ্ণনগরে শিক্ষামন্ত্রী তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু বলেন, “দিনহাটায় বেণুবাবুকে হেনস্থার তীব্র নিন্দা করছি। ঘটনাটা জানার পরেই আমি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবকে ফোন করেছিলাম। উনি জানান, ওই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। দলের কেউ যুক্ত থাক না থাক, আমি নিজেও খোঁজ নিচ্ছি। কাজটা যারাই করে থাকুক, ঠিক হয়নি।” তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির চেয়ারম্যান, মন্ত্রী গৌতমবাবুও বলেছেন, “দিনহাটার ঘটনা নিয়ে কোচবিহার জেলা কমিটির কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা জানার পরে পদক্ষেপ করা হবে।”
এ দিন পার্থনাথবাবু বলেন, “আগামী দিনে ওই নাটক ওঁরা করতেই পারেন।” তা হলে নাট্যকারকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করলেন কেন? পার্থনাথবাবুর সাফাই, “নাটকে ‘মা-মাটি-মানুষ’ বা ‘দিদি দুর্নীতি সামলে নেবেন’ গোছের সংলাপ ছিল। জনতা খেপে যায়। গোলমালের আশঙ্কায় ক্ষমা চাইতে বলা হয়।”
দিনহাটায় নাট্যোৎসবে আমন্ত্রিত হয় কলকাতার ‘নিউ থিয়েটার’ গোষ্ঠী। ১৪ জানুয়ারি অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেতুবন্ধন’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। সেখানে একটি দৃশ্যে দেখানো হয়, সেতু নির্মাণে দুর্নীতির তদন্তকারী ইঞ্জিনিয়ারকে ফোনে বলা হচ্ছে, ‘এটা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। ওটা মা-মাটি হয়ে গিয়েছে।’ মঙ্গলবার সকালে নাট্যকারকে ক্ষমা চাওয়ানো হয়। পার্থনাথবাবুকে সমর্থন করে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, মূল নাটক বিকৃত করে সংলাপ ঢুকিয়ে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে।
নাট্যকারকে হেনস্থা, হুমকি ও ক্ষমা চাওয়ানোর বিষয়টি পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটেছে বলে অভিযোগ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল জানান, পুলিশের কারও ভূমিকা নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলাশাসক মোহন গাঁধীরও একই বক্তব্য।

চলচ্চিত্র উৎসব
দ্বাদশ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হল বোলপুরে। বুধবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ ও শান্তিনিকেতন এলাকার বিক্ষণ নামে একটি সিনে ক্লাবের উদ্যোগে এই উৎসব শুরু হয়েছে। সাত দিন ধরে চলবে। পর্তুগাল, ইরান-সহ ৬টি দেশের সিনেমা দেখানো হবে বলে উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.