টুকরো খবর
হাতির হামলা
পিছু নিয়েছে দলমার বড় দল। কী ভাবে যেন সেই খবর পেয়েছে ময়ূরঝর্ণার ছোট দল। বাঁকাদহের জঙ্গল ছেড়ে তারা তাই বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা, গোয়ালতোড় এলাকায় ক্ষতি করে দলমার প্রায় ১০০টি হাতির বড় দলটি এখন বাঁকাদহমুখী। বনকর্মীরা এ খবর দিয়েছেন। মুখে মুখে তা এলাকায় ছড়িয়েও পড়েছে। আতঙ্কও ছড়িয়েছে বাঁকাদহ লাগায়ো গ্রামগুলিতে। ওই বাঁকাদহের জঙ্গলেই এত দিন ময়ূরঝর্ণার ২৫টি হাতি আস্তানা নিয়েছিল। বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাতেই হঠাৎ দেখা যায়, ময়ূরঝর্ণার দলটি গুটিগুটি বিষ্ণুপুরের জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যায়। পথে বাঁকাদহ জঙ্গল লাগোয়া ভালুকা গ্রামের আলু খেতে তাণ্ডব চালায়। বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে পৌঁছে ঢাংগাশোল গ্রামে কয়েকটি কাঁচা বাড়িও তারা ভাঙচুর করে। বন দফতরের বাঁকাদহ রেঞ্জের আধিকারিক বিজয় চক্রবর্তী বলেন, “দলমার প্রায় ১০০ হাতির বড় দলটি আমাদের এলাকার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। ওদের এড়াতে ময়ূরঝর্ণা থেকে আসা ছোট দলটি পিছু হটে বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে চলে গিয়েছে।” বিষ্ণুপুরের রেঞ্জ আধিকারিক প্রকাশ ওঝা বলেন, “আমরা ওই ছোট দলটির গতিবিধির উপর নজর রাখছি।”

জলাশয় ভরাট, নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন
—নিজস্ব চিত্র।
প্রশাসন ও পুলিশের নাকের ইংরেজবাজার পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দপল্লিতে দেদার জলা ভরাট চলছে। বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেও ভরাট বন্ধ করতে পারেনি। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “আজই জলা ভরাটের খবর পেয়েছি। জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।” জেলার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সঞ্জীব চাকী জানান, ইংরেজবাজার ব্লক ভূমি ভূমি রাজস্ব আধিকারিকে জলাভরাট বন্ধ করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মালদহ ও মানিকচক রাজ্য সড়কের পাশে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দপল্লিতে ৫-৬ দিন ধরে একটি জলা ভরাট হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মানিকচকের নূরপরের জনৈক বোটন নামে এক ব্যক্তি এই জলা ভরাট করছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা বাধা দিলে শাসানো হয়েছে। ভয়ে এখন এলাকার বেশির ভাগ মানুষই পিছিয়ে গিয়েছেন। এখন বিনা বাধায় দেদার জলাভরাট চলছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল ৪-৫ জন দিনমজুর কোদাল দিয়ে পুকুরে মাটি ফেলছে। তাঁদের দুজন শেখ হাবিব ও শেখ মিন্টু বলেন, “মানিকচকের বোটন আমাদের কাজে নিযুক্ত করেছে। আমরা মাটি পুকুরে ফেলে ড্রেসিং করছি। মালিক না বললে আমরা পুকুর ভরাট বন্ধ করতে পারব না। এলাকার যারা বাধা দিয়েছিল তাঁরা তো এখন আর আসে না।”

জখম ব্যক্তির মৃত্যু
চিতাবাঘের হানায় জখম চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে তিনি মারা যান। মৃতের নাম পাশাং শেরপা (৪০)। পেশায় গাড়ির চালক। ২৬ ডিসেম্বর রাতে দার্জিলিঙের কাকঝোরা এলাকায় একটি চিতাবাঘের দেখা মেলে। সেটি পাশাং শেরপার বাড়ির বাথরুমে ঢুকে বসেছিল। মৃত ব্যক্তি বাথরুমে ঢুকে জন্তুটিকে দেখে পড়ে যান। মাথায়, শরীরের নানা জায়গায় চিতাবাঘটি তাঁকে জখম করে। রাতে তাকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। অন্য দিকে, টুনসুংয়ে চিতাবাঘের হানায় মৃত্যুর পর এলাকায় দুটি খাঁচা পাতা হলেও এখনও চিতাবাঘ ধরা পড়েনি।

হাতিমৃত্যুর প্রতিবাদ
রেল লাইনে একের পর এক হাতির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে যৌথভাবে আন্দোলনে নামছে বিভিন্ন পরিবেশ প্রেমী সংগঠন। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে ‘জয়েন্ট ফোরাম অব ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড নেচার লাভার্স’ নামেতাদের যৌথ মঞ্চের তরফে এ কথা জানিয়েছেন। বনাঞ্চলের মধ্যে থাকা রেল লাইনে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ এবং সীমিত ট্রেন চলাচলের দাবি জানান তারা। আজ, বুধবার শিলিগুড়ি স্টেডিয়াম চত্বর থেকে সমস্যা সমাধানের দাবিতে তারা মিছিল করবেন। রেল এবং বন দফতরকেও তারা তাদের দাবির বিষয়গুলি জানিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলবেন।

হত চোরাশিকারি
বনরক্ষীদের গুলিতে মারা গেল এক শিকারি। ঘটনাটি ঘটেছে ওরাং রাজীব গাঁধী জাতীয় উদ্যানে। ডিএফও সুশীলকুমার দায়লা জানান, গত কাল রাতে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে রামকং এলাকায় টহলদার বনরক্ষীরা শিকারিদের উপস্থিতি বুঝতে পারেন। চোরাশিকারিদের আত্মসমর্পণ করতে বললে তারা গুলি চালায়। বনরক্ষীরাও পাল্টা গুলি চালান। কিছুক্ষণ পরে শিকারিদের তরফে গুলি চালানো বন্ধ হয়ে যায়। আজ সকালে হাতি নিয়ে জঙ্গলে তল্লাশি চালাবার সময় এক শিকারির মৃতদেহ মেলে। মেলে একটি বন্দুক ও তাজা কার্তুজ।

চিতাবাঘের চিকিৎসা
সোমবার নাগরাকাটার বামনডাঙা চা বাগানের টন্ডু ডিভিশনে ঢুকে পড়া চিতাবাঘটির চিকিৎসা চলছে। সেটির হানায় চা বাগানের ৬ জন আহত হন। পাশাপাশি, হাসুয়া ও লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম চিতাবাঘটির চিকিৎসাও চলছে। হষায় জখম তার পেছনের ডান পায়ের ক্ষতস্থানটি সেলাই করা হয়েছে। আর কোমরে চোট থাকায় সেটির উঠে দাঁড়াতেও সমস্যা হচ্ছে।

কচ্ছপ উদ্ধার
নিষিদ্ধ। তবু বিক্রি হচ্ছিল কচ্ছপ। সেই অপরাধেই চারজন ব্যবসায়ীকে বন দফতর আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিল। সোমবার হাসনাবাদের রুপমারি গ্রাম থেকে তাদের ধরা হয়। তাদের কাছে থেকে শতাধিক কচ্ছপ উদ্ধার করেছে বনদফতর। চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বনবিড়াল উদ্ধার
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সুর্পানগরে উদ্ধার হল একটি বনবিড়াল। ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) এস কুলন ডেইভাল জানান, বনবিড়ালটির পায়ে সামান্য চোট ছিল। চিকিৎসার পরে জঙ্গলে ছাড়া হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.