মেসির হাতে দুর্গা মূর্তি
বাবার জন্মে এত হাই এন্ড প্রোডাকশন সেট আপে কাজ করিনি কখনও। করব কী, এর আগে এ ভাবে ফুটবল ম্যাচ দেখানোই হয়নি ভারতে। আমাদের ফুটবল প্রোডাকশন মানেই দশ ক্যামেরার আইলিগ কিংবা সাকুল্যে আটটা ক্যামেরা চালিয়ে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ। এখানে অন্তত ষোলোটা হাই ডেফিনিশন ক্যামেরা যুবভারতীর এ-দিক ও-দিক ছড়ানো, প্রতিটা ক্যামেরা স্লো মোশন রিপ্লে শট দিতে পারবে, তেমনই ক্যামেরার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া আছে শক্তিশালী কিছু লেন্স। সব মিলিয়ে এলাহি আয়োজন। আর এ সব সামলানোর জন্য দেশের সেরা টেকনিশিয়ানরা তখন আমাদের প্রোডাকশন কন্ট্রোল রুমে। টেকনিশিয়ান, নন টেকনিশিয়ান মিলিয়ে প্রায় দুশো জনের ইউনিট। ম্যাচ দেখানো হবে মোট একশো বাহান্নটা দেশে। সকাল থেকে দুনিয়ার টিভি চ্যানেল থেকে ফোন আসছে। কোনটা সিঙ্গাপুর, কোনটা ইংল্যান্ড, কোনটা বুয়েনস এয়ার্স। বিভিন্ন রকম প্রশ্ন। স্যাটেলাইট ব্যান্ড উইডথ চেক করেছি কি না, সিগন্যাল থ্রু হচ্ছে কখন, কলকাতার সিটি শট কিছু পাওয়া যাবে কি নানানা প্রশ্ন, বায়নাক্কা। এরই মাঝে দুটো ভারতীয় চ্যানেল পিসিআর-এ এসে ঝামেলাই করে নিল। লোকাল এমএসও-কে ম্যানেজ করে একটি চ্যানেল অন্যের টেরিটরিতে ঢুকে পড়ছে, তা চলবে না। সুতরাং সিগন্যাল বন্ধ করো। এসবের মাঝেই দুটো ‘সুখবর’ এল। আমাদের প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার এসে খবর দিলেন, ভিস্যুয়াল মিক্সারটা বিগড়েছে। ঠিক করার চেষ্টা করছি। না ঠিক হলে বিপদ। আর ম্যাচের আয়োজক, বন্ধু ভাস্বর গোস্বামী বলল, “আর্জেন্টিনার একটা চ্যানেল রিভার্স অ্যাঙ্গেল প্রোডাকশন চাইছে। মানে ওদের উলটো দিক থেকেও ছবি লাগবে। লাইভ না হলেও হবে। কিন্তু করতেই হবে। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের অফিসিয়াল টিভি!”
লিওনেল মেসিকে ঠিক সেই সময় প্রথম বার দেখা। ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে গা ঘামিয়ে যুবভারতীর টানেল দিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছেন ড্রেসিং রুমে। তখন রীতিমতো ঘেঁটে যাওয়া মানসিক অ্যাফেয়ার। ১৫২টা দেশের লোক টিভি খুলে মেসিকে ‘লাইভ’ দেখতে পাচ্ছে না, ভাবলেই হৃদস্পন্দন বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুণ!
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মালপত্র তুলে, পি সি আর গুটিয়ে যখন শরীর এলিয়ে দিয়েছি চেয়ারে, তখনই আফসোসটা জাঁকিয়ে এল। ইস্, মেসিকে এত কাছ থেকে পেয়েও ভাল করে দেখলাম না! এক মিনিট খেলাও দেখা হল না স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে। ভাস্বরকে বলাতে বলল, “আর কোনও চান্স নেই। ওদের সিকিউরিটি খুব টাইট। কাউকে অ্যালাও করছে না,” ভাস্বরের গলায় নিখুঁত ডজ।
তা হলে উপায়? আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোডের কোনও এক চার্চ থেকে সেন্ট মাদার টেরিজা বোধহয় ভক্তের দুশ্চিন্তা, আকুতি সব শুনেছিলেন। বাংলাদেশ যাওয়ার আগে আর্জেন্টিনা কলকাতায় থেকে গেল আরও দু’দিন, আর পরদিনই টিম গেল মাদারের মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ-এ। সিকিউরিটি নিয়ে সংশয় থাকায় মেসি যেতে পারেননি। কোচ সাবেল্লোও নয়। মাথার দুষ্টু বুদ্ধিটা খুলে গেল তখনই। আর্জেন্টিনা টিমের লোকাল ম্যানেজার গোপাল ঘোষকে ফোন করে বললাম, সাবেল্লাকে মাদার টেরিজার মূর্তি দিতে চাই। কোচ যদি অ্যালাউ করেন, তা হলে মেসিকেও। ‘যদি’ বললাম ঠিক, কিন্তু মনের কোনায় কনফিডেন্স গিজগিজ করছিল, কোচ এই অফারটা ফেরাবেন না। মাদারের হোমে যেতে পারেননি। কিন্তু মাদারের আশীর্বাদ যেচে হাতে আসছে, কী করে আর ফেরাবেন! দুপুরে ফোন করে গোপাল বলল, “ডান। কোচ ডিনারের আগে মিট করবেন। তুমি হোটেলে চলে এসো।”
মেসিরা বিকেলে প্র্যাকটিসে যাওয়ার আগেই টিম হোটেলে হাজির। লবিটা তখন থিকথিক করছে লোকে। কয়েক জন মুম্বইয়ের সেলিব্রিটিকেও চোখে পড়ল। ছেলেমেয়ে নিয়ে মেসির অপেক্ষায়। আর্জেন্টিনা টিম বাস বাইরে অপেক্ষা করছে। পুলিশ দড়ি দিয়ে পুরো জায়গাটা কর্ডন করে রেখেছে। আগুয়েরা, মাসচারেনোরা একে একে ডান দিকের লিফট দিয়ে নীচে নামছেন। তুমুল উৎসাহে সবার চোখ ডান দিকে। কারণ ওই দিকটাই পুলিশ কর্ডন করে রেখেছে। সবার অপেক্ষা মেসি কখন নামবেন। হঠাৎই লবিতে একটা দৌড়ে যাওয়ার শব্দ। চোখ ফেরাতে সবাই দেখল, আর্জেন্টিনা ১০ নম্বর বাঁ দিকের লিফট দিয়ে নেমে বাসে উঠে গেলেন নিমেষের মধ্যে। ওটুক দেখেই যেন একটু দমে গেলাম। এ তো ধরা ছোঁওয়ার বাইরে। এরই মাঝে দেখলাম আমাদের জন্য রীতিমতো ম্যান মার্কিং শুরু হয়েছে। অফিশিয়াল টিভি চ্যানেলের দু’জন রিপোর্টার এসে ‘খেজুর’ শুরু করে দিয়েছে, “কী ব্যাপার, তোমরা এখানে?” ওদের সঙ্গে কথাবার্তার মাঝেই এস এম এস পাঠিয়ে যাচ্ছি, একটু দূরে বসে থাকা আমার ক্যামেরাম্যান আর সহকর্মী রিপোর্টারকে। “তোরা লুকিয়ে পড়। হোটেলে ব্যাঙ্কোয়েটের দিকটায় একটা স্মোকিং জোন আছে। ওটায় লুকিয়ে থাক। সঙ্গের প্যাকেটটাও লুকিয়ে ফেল। একটু পরে ওখানে ঢুকছি।”
সঙ্গের প্যাকেটটা অবশ্য না লুকিয়ে উপায় ছিল না। অ্যাবসলিউট মেটাল। রীতিমতো অস্ত্রসম্ভার। সকালেই ঢাকুরিয়া দক্ষিণাপন থেকে কিনে আনা হয়েছে। সহকর্মী, ক্যামেরাম্যানকে নিয়ে হোটেলে ঢুকতেই বেশ সমস্যায় পড়েছিল। শুরুতে এক্সরে মেশিনে দেখা যাচ্ছিল চকচক করছে অস্ত্রগুলো। তবুও সিকিউরিটি ম্যাডাম সব দেখেও নিজের কপালে দু’ বার হাত ঠেকিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু ভিতরে অত কিছু বুঝবে না। তাই লুকিয়ে ফেলাই ভাল। স্মোকিং জোনে যখন চুপি চুপি ঢুকলাম, তখন দেখলাম মা দুর্গাকে সেখানকার কয়েকটা টবের পেছনে চালান করা হয়েছে।
দুর্গার ভাবনাটা এসেছিল কিছুটা আগে। মাদার টেরিজার সঙ্গে মা দুর্গাকেও যদি ধরানো যায় মেসিদোনার হাতে, এই আশাতেই মাকে সঙ্গে নিয়ে আসা। মনের কোনায় জ্বলজ্বল করছিল ’৮৬ বিশ্বকাপের অমিয় তরফদারের তোলা সেই অমর ফ্রেম, নামাবলি গায়ে মারাদোনা। নিউজপ্রিন্টের ছবিটাই ফ্রেমবন্দি হয়ে পড়ার টেবিলে কত দিন ছিল! হবে নাকি সে রকম কিছু? দুর্গাপুজোর আগেই মা দুর্গার মূর্তি হাতে লিওনেল মেসি! অফিশিয়াল টিভি চ্যানেলের রিপোর্টাররা ততক্ষণে আমাদের খুঁজে পেয়েছে। স্মোকিং জোনে হাজির। ধোঁয়ায় কষ্ট হচ্ছে বলে বেরিয়ে এলাম। বাইরে এসে আবার এস এম এস। “ওদের ফোটা। তাড়াতাড়ি।” সহকর্মী ক্যামেরাম্যানের উত্তর এল, “ফুটছে না।” এ দিকে ডিনারের টাইম এগিয়ে আসছে।
এই ম্যানমার্কিং নিয়ে সাবেল্লার কাছে পৌঁছলে সারা দিনের এফর্ট যে একেবারে বাগজোলার পচা খালে, সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
ভেন্যু বদলে চলে গেলাম বেসমেন্টের কফিশপে। ক্যামেরাম্যানদের ডেকে নিলাম সেখানেই। মা দুর্গা তখনও টবের পিছনে লুকিয়ে!
গোপাল জানাল, সাবেল্লার সঙ্গে আবার কথা বলেছে। জানিয়েছে, “ডিনার অবধি ওয়েট করো। দেখছি।” ডিনার ক’টায়? “নাইন পি এম।” ইতিমধ্যে বোধহয় সিকিওরিটিরা আমাদের নিয়ে চোর-পুলিশ খেলা শুরু করেছে। বোধহয় কোনও অফিশিয়াল কমপ্লেন পেয়েই। কারণ ম্যাচের দুদিন পরও অফিশিয়াল টিভি পার্টনার ছাড়া কোনও ক্যামেরার প্রবেশাধিকার নেই হোটেলে। সমস্যা হতে পারে আন্দাজ করে আমরাও তৈরি ছোট্ট একটা ক্যামেরা নিয়ে। যাতে পকেটেই ঢুকে যায়। কিন্তু সেই প্যাকেটের কী হবে? যেখানে শায়িত ডোকরার মা দুর্গা, সপরিবারে।
ইনিই সেই লিওনেল আন্দ্রেজ মেসি। বিশ্বের সেরা ফুটবলার। এখনই কিংবদন্তি!
ওঁকে নিয়েই মারাদোনা বলেন, “মেসি আমার মতো। আমার মারাদোনা।”

৮টা ৫৫। সাবেল্লাকে দেখা গেল ডিনার রুমে ঢুকছেন। গোপাল গিয়ে ধরল তাঁকে। “স্যর, মাদার টেরিজার মূর্তি দেওয়ার ছিল আপনাদের।” সাবেল্লা বললেন, “আরও পাঁচ মিনিট বাকি আছে। ওয়েট করো।” আর ওয়েট! ‘ওয়েট’ তখন আমাদের বেশ ভারী লাগছে। ক্যামেরাম্যানের হাতে প্যাকেট দেখে তল্লাশি শুরু হয়েছে সিকিউরিটির। “কী আছে এতে? এই হাই সিকিউরিটি জোনে আপনারা ঢুকলেন কী ভাবে?”
ঠিক রাত ন’টা। সাবেল্লা আবার বেরিয়ে এলেন আর হাতের ইশারায় ডেকে নিলেন। ছোট্ট করিডোর পেরিয়ে ব্যাঙ্কোয়েট। দরজা খুলে ঢুকতেই চাঁদের হাট। ওই তো হিগুয়েন, ওই তো আগুয়েরা, ওই তো মেসি। গোল টেবিলে দলে দলে বসে আছেন। তখনও খাবার সার্ভ হয়নি। কিন্তু রোস্টেড চিকেন আর পার্মিসন চিজের গন্ধে ম’ ম’ করছে চারপাশটা।
মুহূর্তগুলো যেন ঘোরের মধ্যে কাটছিল। ইনিই সেই লিওনেল আন্দ্রেজ মেসি। বিশ্বের সেরা ফুটবলার। ওঁকে নিয়েই মারাদোনা বলেন, “মেসি আমার মতো। আমার মারাদোনা।” ওঁকেই ছোটবেলায় দেখে বার্সিলোনা লুফে নিয়েছিল। বল পায়ে হরিণের মতো দৌড় দেখে বুঝে নিয়েছিল ভবিষ্যতের কোহিনুর! ততক্ষণে মেসি এসে সামনে দাঁড়িয়েছেন। পাশে সাবেল্লা। দুর্গামূর্তিটাও ততক্ষণে প্যাকেট থেকে বার করে ফেলেছি। মেসির হাতে তুলে দিয়ে জানিয়েছিলাম, “ভারতের শক্তির দেবী। তুমি বাড়িতে সাজিয়ে রেখো।” এক বিন্দু বুঝছিলেন না। বোঝা যাচ্ছিল। ইংরেজি জানেন না বলে ততক্ষণে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন টিমের দোভাষী। পুরো বিষয়টা আবার শুনে স্প্যানিশে বুঝিয়ে দিলেন মেসিকে। আর বাধ্য ছাত্রের মতো মাথা নাড়ছিলেন মেসি। মাদার টেরিজার মূর্তিগুলো তুলে দেওয়ার সময় অবশ্য আলাদা করে কিছু বলতে হয়নি। মাদার নিজেই যে এই নিশ্ছিদ্র সাম্রাজ্যে ঢোকার পাসপোর্ট!
ডিনার রুম থেকে বেরিয়ে আবার কফিশপ। এবার স্বস্তির কফিতে চুমুক। অফিস থেকে ততক্ষণে ফোন এসে গেছে। ‘সকালে একস্ট্রা টাইমে ব্রেক করতে হবে এটা। তাড়াতাড়ি চলে এসো।” এবিপি আনন্দে আমাদের প্রোগ্রামের বয়স তখন ঠিক চার দিন।
সেপ্টেম্বরের রাত। কয়েক দিন পরেই দুর্গাপুজো। ছাতিম, শিউলির গন্ধ হু-হু করে ঢুকছে খোলা জানালা দিয়ে। আচ্ছা, ক্যাসেলডাফলসে শিউলি ফোটে? রোজারিওতে ছাতিম? না ফুটুক। শারদীয়ার গন্ধ হয়ে মা দুর্গাই তো ওখানে থাকবেন।
হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আছেন। টুইটারে পোস্ট করা তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটের ছবিতে ডোকরার দশ হাত খুঁজছিলাম। না, যতটুকু দেখা গেল তাতে অত ট্রফির ভিড়ে মা দুর্গা নেই। তবে রোজারিও ম্যানশন কিংবা ক্যাটালান সিটি মানসনের কোথাও নিশ্চয়ই দশমহাবিদ্যা আলবাৎ আছেন। তার পরেই তো জার্ড ম্যুলারের রেকর্ড ভাঙা হয়ে গেল। ব্যালন ডি’ওরের হ্যাটট্রিক হয়ে গেল। অ্যান্টনেলার কোল আলো করে এসে গেছে পুত্র থিয়াগো। আর কী চাই?
বাকি একটাই। নামাবলি মাহাত্ম্য ’৮৬-তে কিন্তু নীল-সাদা জার্সির একজনকে বিশ্বকাপটা জিতিয়ে দিয়েছিল।
দুর্গা মাহাত্ম্যে এ বার কিছু হবে না? ব্রাজিল বিশ্বকাপে! কে জানে?
জয় মা দুর্গা!

তফাত ০.৫
ট্রেভর জেমস মর্গ্যান প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইচুং ভুটিয়া
মারাদোনা মারাদোনা মারাদোনা
কেন কেন কেন
দেশ এবং ক্লাব ফুটবলে
মারাদোনা একক প্রচেষ্টায়
দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছে।
মেসি শুধু মাত্র ক্লাব ফুটবলে
একটা অসম্ভব ভাল দলে
অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে।
আর্জেন্তিনাকে একা বিশ্বকাপ দিয়েছে।
মেসি কোনও দিন দেশকে বিশ্বকাপ দিতে
পারলে নিশ্চয়ই ভেবে দেখব। আর ক্লাব ফুটবল?
ইনিয়েস্তা, জাভিদের পাশে নিয়ে চার বার বিশ্বের
সেরা হয়েছে মেসি। মারাদোনা একাই ইতালির
সে সময়ের ‘বালীর প্রতিভা নাপোলিকে
ঝুড়ি ঝুড়ি ট্রফি দিয়েছে। মেসি বড় ফুটবলার।
কিন্তু মারাদোনা মারাদোনাই।

বিশ্বকাপ জিতিয়েছে।
দশে কত দশে কত দশে কত
মারাদোনা- ৯.৫, মেসি- ৯ মারাদোনা- ৯.৫, মেসি- ৯ মারাদোনা- ৯.৫, মেসি- ৯
 



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.