মাদুর বা প্লাস্টিকের উপরে পসরা সাজিয়ে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে বসত শতাব্দী প্রাচীন নবাবী এস্টেটের বাগডাঙ্গা হাট। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী হাটের মাঝখানেই অবৈধ ভাবে ৮০০ স্কোয়ার ফুটের তিন তলা বাড়ি বানাতে শুরু করেছেন। আর এতেই বন্ধ হতে বসেছে ডোমকলের ঐতিহ্যবাহী নবাবি হাট। অবশ্য দিন কয়েক আগে নির্মাণ রোখার জন্য প্রশাসন আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে হাটের প্রবেশ পথ। আর এতেই ৩০টি স্থায়ী দোকানের ব্যবসায়ীরা ছাড়াও সমস্যায় পড়েছেন শতাধিক ছোট দোকানিরা। এলাকারবাসীদের অভিযোগ, নবাবি এস্টেটের গাফিলতিতেই বাড়বাড়ন্ত অবৈধ নির্মাণকারীদের।
এলাকার ভাই ভাই সংঘের সম্পাদক মাসুদ আলম বলেন, “বারবার বলা সত্ত্বেও এস্টেট ও ব্লকের প্রশাসন ওই নির্মাণ বন্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা হাটে বেড়া দিয়েছি। আমরা চাই ওই জায়গা জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকুক।” এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডোমকলের বিডিও রবীন্দ্রনাথ মিশ্র বলেন, “বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনাও রয়েছে। |
২৬ নভেম্বর সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসব।” স্থানীয় মধুরকুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের এজাজুল হক বলেন, “হাট রক্ষার ব্যাপারে এস্টেটের কোনও ভ্রূক্ষেপই নেই। ফলে দিনের পর দিন সেখানে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। দুই-তিনতলা বাড়িও হয়েছে ওই জায়গায়। সুযোগ বুঝে অনেকেই হাটের মাঝে পাকা দোকান করেছিলেন। তাতেই এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ।” বাগডাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “হাটের মধ্যে আমাদের অনেক সদস্যের দোকান আছে। তবুও বলব ওই এলাকায় অবৈধ নির্মাণ বন্ধ হোক। এলাকার মানুষের ব্যবহারের একমাত্র সম্বল এই হাট।” মুশির্দাবাদ এস্টেট ম্যানেজার অমিতাভ ভট্টচার্য বলেন, “বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আগামী ২৬ তারিখ ওই সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসার কথা।” এস্টেটের গাফিলতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নোটিশ দিয়ে নির্মাণ বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কান দেননি কেউ। এবার আমরা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।” |