টুকরো খবর
ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চেয়ে চিঠি দিলেন আলতামাস
নারী নিগ্রহ রুখতে দেশের সব হাইকোর্টকে ফাস্ট ট্র্যাক গড়তে বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীর। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার কারণেই হয়তো মেয়েদের উপর যৌন নিগ্রহের ঘটনা বেড়ে চলেছে।” একটি চিঠিতে সব হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের এ কথা জানান কবীর। তাঁর বক্তব্য, এই মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করার সময় এসে গিয়েছে। বিচারক নিয়োগের সময় সমস্ত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিরা নিজের রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কিন্তু এ সবের মাঝেও কিছু আদালতকে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের মর্যাদা দেওয়া হোক। তাঁর কথায়, “মেয়েদের উপর যৌন হেনস্থা রুখতে অবিলম্বে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গড়া দরকার। এ ক্ষেত্রে ভেবে দেখতে হবে, কত জন বিচারক প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, কর্মী-সংখ্যাও বাড়ানো যেতে পারে। উন্নতি হোক পরিকাঠামোর।” সে ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত কর্মরত বিচারকদের দিয়েই ফাস্ট ট্র্যাক আদালত তৈরির কথা বলছেন কবীর। কবীর বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির কথা ভেবে রাজ্য সরকার কথাগুলো ফেলে দেবে না নিশ্চয়।” দিল্লির প্রসঙ্গে বলেন, “এই বীভৎস ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের প্রকাশ দেখা গিয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরেও। ধর্ষণ শুধু শারীরিক নিগ্রহ নয়, মানুষের আত্মাও জখম হয়।”

দেশে ফিরে সময় চাইলেন ওয়াইসি
উস্কানিমূলক বক্তৃতা নিয়ে হাজিরা দিতে পুলিশের কাছে চার দিন সময় চাইলেন বিধায়ক আকবরউদ্দিন ওয়াইসি। মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এমআইএম) দলের নেতা ওয়াইসির বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর করে আদিলাবাদ, নিজামাবাদ ও ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ। ২৪ ডিসেম্বর আদিলাবাদের নির্মল শহরে তিনি উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন ওয়াইসি। আজ শামসাবাদ বিমানবন্দরে নামার পরে ওয়াইসি পুলিশকে জানান, তিনি এখনও সুস্থ নন। তাই তাঁকে আরও কয়েক দিন সময় দিলে ভাল হয়। অভিযোগগুলি খারিজ করতে অন্ধ্র হাইকোর্টে আর্জিও জানিয়েছেন ওয়াইসি। ওয়াইসির বিষয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ‘নরম’ মনোভাব নিচ্ছে বলে দাবি বিজেপি নেতা বেঙ্কাইয়া নায়ডু। আগে কেন্দ্র ও অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ছিল এমআইএম। কংগ্রেসের সঙ্গে হায়দরাবাদ পুরসভায় এখনও জোট রয়েছে তাদের। তাঁর বক্তব্য, কংগ্রেসই এমআইএমকে বাড়তে সাহায্য করেছে। নায়ডুর মতে, নিজামের সাবেক রাজ্যে প্রভাব বাড়াতে চায় এমআইএম। তাই ওয়াইসি এই ধরনের কথা বলছেন।

গোষ্ঠী সংঘর্ষে নিহত চার
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এক কিশোর-সহ চার জন নিহত হয়েছেন। ১১৩ জন পুলিশ -সহ প্রায় ২০০ জন আহত। সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার মাধবপুরা ও মাচ্ছিবাজার এলাকায়। পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ মাধবপুরা এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি সামলাতে প্রথমে লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। র্যাফও নামানো হয়। এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে রবিবার সন্ধে থেকে ধুলের মাচ্ছিবাজার এলাকায় কার্ফু জারি হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এখন এলাকায় শান্তি বজায় আছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মাধবপুরায় একটি হোটেলের বিলের টাকা না মেটানো নিয়ে জনা চারেক ব্যক্তির সঙ্গে গোলমাল বাধে হোটেলকর্মীদের। মারধর করে ওই চার জনের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ওই হোটেলের কর্মীরা। মার খেয়ে ওই কয়েক জন চলে গেলেও পরে দলবল নিয়ে ফিরে আসে তারা। এর পর পাথর, সোডা, অ্যাসিড ও অ্যাসিডবোমাও ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। উত্তেজিত জনতা বাড়ি, গাড়ি ও দোকানেও আগুন লাগায়।

মেয়েটিরও দোষ ছিল: আশারামের মন্তব্যে বিতর্ক
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ড প্রসঙ্গে এ বার স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপু বললেন, “এক হাতে তালি বাজে না।” ধর্ষিতা তরুণীর নিজেরও দোষ আছে। রাজস্থানে এক ধর্মসভায় তিনি বলেন, “ওই ছ’জন যখন ছাত্রীটির উপর চড়াও হয়, মেয়েটির উচিত ছিল ঈশ্বরের নাম নেওয়া ও ওদের ভাই বলে ডাকা। বলা উচিত ছিল আমি অসহায়, তোমরা আমার ধর্ম-ভাই। ঈশ্বরের নাম নিয়ে, ওদের হাতে-পায়ে ধরলে এমন হত না। এমনকী সারস্বত মন্ত্র উচ্চারণ করলে সে ওই বাসেই উঠত না।” তাঁর মন্তব্যে দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিজেপি-র তরফে বলা হয়েছে, “এ ধরনের মন্তব্য খুবই দুঃখের। ওঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।” ক্ষতে প্রলেপ লাগাতে ইতিমধ্যেই তাঁর এক সহযোগী জানান, তাঁর গুরু বলতে চেয়েছেন, মেয়েটি ঈশ্বরের নাম নিলে, ভগবানই বিপদ থেকে বাঁচার পথ দেখিয়ে দিতেন।

নীতীশের সামনে নিজের হাতে ব্লেড
বেলা দেড়টা। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জনতা দরবারে নিজের চেয়ার থেকে উঠে অন্য দিনের মতোই প্রতিবন্ধীদের কাছে গিয়ে তাঁদের অভিযোগ শুনছেন। সরোজিনী দেবী নামে এক প্রতিবন্ধী তরুণীর লিখিত অভিযোগ পড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন সময় ২০ বছরের ওই প্রতিবন্ধী তরুণী ব্লেড বের করে নিজের হাতে চালিয়ে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষী সেই ব্লেড কেড়ে নিতে গিয়ে তাঁর হাতও সামান্য কেটে গেল। মুখ্যমন্ত্রী হতবাক। শুধু বললেন, “এটা কী করলেন! এটা কী অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি!” এ দিন মুখ্যমন্ত্রী যখন প্রতিবন্ধীদের অভিযোগ শুনতে যান তখন পটনার বাঢ় এলাকার ওই মেয়েটি নীতীশ কুমারকে তাঁর কম্পিউটার শেখার ইচ্ছের কথা জানান। সরোজিনী বলেন, “অনেক জায়গায় ঘুরেও যখন কিছু হয়নি, তখনই এখানে এসেছি।” মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি লিখিত আবেদনও দেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সেই আবেদন পত্রটি পড়ার সময়ই হাতে ব্লেড চালান তিনি। নীতীশ কুমার কিন্তু তাঁর ইচ্ছে পূরণ করেছেন। তিনি পটনার জেলাশাসককে বলেন, “আমার বেতন থেকে টাকা কেটে ওকে কম্পিউটার শেখার ব্যবস্থা করে দিন।”

মাওবাদী ষড়যন্ত্রে নিহত ৭ জওয়ান
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ফাঁদে ফেলে তাদের উপরে হামলা চালাল মাওবাদীরা। সোমবার ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার আমুয়াটিকার জঙ্গলে ওই ঘটনা ঘটেছে। মাওবাদীদের গুলিতে রাত পর্যন্ত সাত জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। রাত পর্যন্ত আহত আট জওয়ানকে ভর্তি করা হয়েছে ডালটনগঞ্জ হাসপাতালে।পুলিশ সূত্রের খবর, ওই জঙ্গলে প্রায় দু’শো মাওবাদী জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে পলামু থেকে তিন কোম্পানি সিআরপিএফ জওয়ান ট্রেনে করে এহেগড়া স্টেশনে এসে নামে। সেখান থেকে আমুয়াটিকার জঙ্গলের দিকে রওনা দেয় তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, জওয়ানদের ফাঁদে ফেলতেই মাওবাদীদের তরফ থেকেই ‘খবর’ পৌঁছনো হয়েছিল। জওয়ানরা এহেগড়া স্টেশনে নেমে জঙ্গলের ভিতর পাঁচ কিলোমিটার মতো যেতেই তাঁদের উপরে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি বর্ষণ শুরু হয়। গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই সাত জওয়ান মারা যান। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাত পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলছে।

বোমা ফেটে বাহকেরই মৃত্যু
বোমা নিয়ে যাওয়ার সময় সেই বোমা ফেটেই বোমাবাহকের মৃত্যু হল। গত রাতে মণিপুর-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, সীমান্ত শহর মোরে থেকে ১০ কিলোমিটার ভিতরে, কাওথা লামখাই এলাকায় বিস্ফোরণটি ঘটে। ঘটনাস্থলে একটি বাইক ও দু’টি ব্যাটারি পাওয়া যায়। পুলিশের দাবি, বোমাটি নিয়ে যাওয়ার সময় বা পাতার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে। তাতেই মারা যায় বোমাবাহক থংমিংলেন হাওকিপ। আজ সমাজকল্যাণমন্ত্রী এ কে মীরাবাই ও দফতরের কর্তারা মোরে সফরে যান। পুলিশের সন্দেহ মন্ত্রীর যাওয়ার পথে জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটাবার চক্রান্ত করেছিল। এ দিকে, আজ থৌবালের চাংগামদাবি লোউকন এলাকায় এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে।

খালাস ১০ মাওবাদী
৭৫ জন সিআরপিএফ জওয়ান-সহ ৭৬ জনের হত্যায় অভিযুক্ত দশ মাওবাদীকে বেকসুর খালাস করল ছত্তীসগঢ়ের আদালত। টারমেটলা মাওবাদী নাশকতার এক মাসের মধ্যে দশ মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়। সরকারি আইনজীবী জানান, সরকারপক্ষের ৪৩ জন সাক্ষীই বিরুদ্ধে মত দেয়। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তদের মুক্তি দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা জজ অনিতা দহারিয়া।

শীতের কামড়
হাড়-কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায় কাবু উত্তর ভারত। স্বাভাবিক জীবন-যাপন অনেকটাই ব্যাহত। প্রচণ্ড ঠান্ডায় উত্তর ভারতে আজই মারা গিয়েছেন ২৪ জন। সোমবার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

হঠাৎ আক্রমণ
এক আইএএস অফিসারের দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল। দাতিয়ার কালেক্টর জি বি কবীরপন্থীর দুই ছেলে টনি ও সম্ভবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা অনন্ত শ্রীবাস্তব নামে এক জনের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। অনন্তকে মারধর করা ও শূন্যে গুলি চালানো হয়। জি বি কবীরপন্থীর দাবি, তাঁর ছেলেরা নির্দোষ। অনন্তই মদ্যপ অবস্থায় তাদের মারধর করে।

রাজধানীতে ধর্ষণ
আবারও ধর্ষণ দিল্লিতে। ময়ূর বিহার অঞ্চলে শুক্রবার বাড়িতে একা ছিল নবম শ্রেণীর ছাত্রীটি। এ সময় দু’জন লোক বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে তাকে। এক জনের বয়স ১৭। বাড়িতে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। পুলিশ দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে।

আশ্রমে নিগ্রহ
ছত্তীসগঢ়ের নাহারপুরে একটি সরকারি আশ্রমের এক শিক্ষক ও পাহারাদার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল। গত এক বছর ধরে আশ্রমের ১১ জনের উপর যৌন নিগ্রহ চালিয়েছে তারা। ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণিত, ১১ জনের মধ্যে ৪ জন ধর্ষিত।

ট্রেন বাতিল না-করেই বিশেষ ট্রেন কুম্ভমেলায়
কোনও ট্রেন বাতিল না-করেই কুম্ভমেলায় বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করছে রেল। সোমবার বোর্ড-কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই মর্মে নির্দেশ দেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। হাওড়া-ইলাহাবাদ রুটের নিয়মিত ট্রেনগুলিতেও বাড়তি কামরা দেওয়া হবে। পূর্ব রেল ঠিক করেছিল, ৭ জানুয়ারি থেকে হাওড়া-বোলপুর, হাওড়া-আজিমগঞ্জ, হাওড়া-সিউড়ি, হাওড়া-দিঘার মতো কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করে সেই রেক দিয়ে কুম্ভমেলায় বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। কিন্তু এতে বোলপুর, তমলুক, দিঘা ও সিউড়ি এলাকায় ক্ষোভ দেখা দেয়। অধীরবাবু জানান, ওই সব ট্রেন বাতিল করা যাবে না। প্রয়োজনে অন্য জোনাল রেল থেকে রেক আনিয়ে কুম্ভমেলায় চালাতে হবে। তার পরেই পূর্ব রেল ট্রেন বাতিলের নির্দেশ বাতিল করে দেয়।

আইআইটির ফি বৃদ্ধি
প্রায় ৮০% টিউশন ফি বাড়ছে আইআইটিতে। এ বছর থেকে স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে গেলে বছরে ৫০ হাজার টাকার বদলে ৯০ হাজার টাকা দিতে হবে পড়ুয়াদের। গত বছর আইআইটির ফি আড়াই লক্ষ টাকা করার সুপারিশ করেছিল এক কমিটি। তা পুনর্বিবেচনা করে নতুন ফি অনুমোদন করল গভর্নিং বডি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.