গ্রেফতার এড়াতে শেষ পর্যন্ত জঙ্গিপুর এসিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন নিলেন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। শুক্রবার জঙ্গিপুর এসিজেএম সঞ্জীব দারিক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের রঘুনাথগঞ্জ হাসপাতাল মোড়ের কাছেই রয়েছে নিজস্ব চেম্বার। প্রতি সন্ধ্যায় সেখানে নিয়ম করে বসেন তিনি। গত ২ জানুয়ারি সেখানেই এসেছিলেন এক মহিলা। অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন ওই চিকিৎসক। প্রতিবাদ করলে ওই মহিলাকে মারধও করা হয় বলে অভিযোগ। রঘুনাথগঞ্জ থানায় সে রাতেই অভিযোগ দায়ের করেন দুই সন্তানের মা ওই মহিলা। রঘুনাথগঞ্জ থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, শ্লীলতাহানির পাশাপাশি ওই চিকিৎসকরে বিরুদ্ধে অশ্রাব্য গালিগালাজ এবং মারধরেরও অভিযোগ রয়েছে।
চর্মরোগে আক্রান্ত ওই মহিলার বেশ কিছুদিন ধরেই চিকিৎসা চলছিল। গত কয়েক মাস ধরে ওই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই ছিলেন তিনি। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর বছর তিনেকের মেয়ে ও বারো বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। তিনি জানান, ওই চিকিৎসক তাঁর ছেলেকে চেম্বারের ঢুকতে দেননি। এই সময়ে চিকিৎসা করার ছলে তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ। বাধা দিলে তাঁকে ‘অকথ্য ভষায় গালিগালাজ’ এমনকী ‘মারধরও’ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ওই মহিলার চিৎকারে লোকজন ছুটে আসেন। ভিড় জমে যায় চেম্বারের সামনে। খবর পেয়ে মহিলার স্বামীও আসেন। এ দিকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনাটি ঘটে তাকলে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমি ওই চিকিৎসকের কাছে আসল ঘটনাটি জানতে চেয়েছিলাম। তিনি অবশ্য সে সব অভিোগ মানতে চাননি। এখন পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।” জেলা স্বাস্থ্য দফতরও অভিযোগ পেলে তদন্ত করবে বলে তিনি জানিয়েছেন। |